পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিম রচনাবলী গিরিশ বলিলেন, “ভদ্ৰো প্রজাপতি, বিষ্ণ, এবং আমি, এই তিন জনে যে সকল নিয়ম নিবন্ধ করিয়া সন্টিস্থিতিলায় করিতেছি, তাহার ব্যতিক্ৰমে কখন মঙ্গল হয় না। ষে মঙ্গল হইবার তাহা সেই সকল নিয়মাবলির বলেই ঘটবে। কাঞ্চনগোলকের কোন প্রয়োজন নাই। যদি ইহার কোন মঙ্গলপ্রদ গণ হয়, তবে নিয়ম ভঙ্গ দোষে লোকের অনিন্ট হইবে। তবে তোমার অন্যারোধে উহাকে একটি বিশেষ গণযক্ত করিলাম। বসিয়া উহার কায্য দশন কর।” কালীকান্ত বস বড় বাব। বয়স বৎসর পয়ত্ৰিশ, দেখিতে সন্দির পরিষ, কয় বৎসর হইল, পানন্দবার দীর পরিগ্রহ করিয়াছেন। তাঁহার সত্ৰী কামসন্দরীর বয়ঃক্রম আঠার বৎসর। তাঁহার পত্নী তাহার পিতৃভবনে ছিল। কালীকান্তবাব স্ত্রীর সম্ভাষণে শ্বশরবাড়ী যাইতেছিলেন। শ্বশর বিশেষ সম্পন্ন ব্যক্তি-গঙ্গাতীরবত্তীর্ণ গ্রামে বাস। কালীকান্ত, ঘাটে নৌকা লােগাইয়া পদব্রজে যাইতেছিলেন, সঙ্গে রামা চাকর একটা পোর্টমাণ্টো বহিয়া যাইতেছিল। পথিমধ্যে কালীকান্তবাব দেখিলেন, একটি সাবণ গোলক পড়িয়া আছে। বিস্মিত হইয়া তাহা উঠাইয়া লইলেন। দেখিলেন, সবণ বটে। প্রীত হইয়া তাহা ভৃত্য রামাকে রাখিতে দিলেন; বিলিলেন, “এটা সোণায়, কেহ হারাইয়া থাকিবে। কেহ খোঁজ করে, বাহির করিয়া দিব। নাহিলে বাড়ী লইয়া যাইব। এখন রাখি।” রামা বস্ত্রমধ্যে গোলকটি ল্যুকাইয়া রাখিবার অভিপ্ৰায়ে, পথে পোর্টমাটাে নামাইল। পরে কালীকান্তবাবর হস্ত হইতে গোলকটি গ্রহণ করিয়া বস্ত্রমধ্যে ল্যুকাইল। কিন্তু রামা আর পোর্টমাটো মাথায় তুলিল না। কালীকান্তবাব স্বয়ং তােহা উঠাইয়া মাথায় করিলেন। রামা অগ্রসর হইয়া চলিল, বাব মোট মাথায় পশ্চাৎ পশ্চাৎ চলিলেন। তখন রামা বলিল, “ওরে রাম।” বােব বলিলেন, “আজ্ঞা ?” রামা বলিল, “তুই বড় বেআদব, দেখিস যেন আমার শ্বশরবাড়ী গিয়া বেআদবি করিস না। তাহারা ভদ্রলোক ৷” বােব বলিলেন, “আজ্ঞে তা কি পারি? আপনি হচ্ছেন মনিব-আপনার কাছে কি বেআদবি করিতে পারি?” কৈলাসে গৌরী বলিলেন, “প্রভো, আমি ত কিছই বঝিতে পারিতেছি না। আপনার সবণ গোলকের কি গণ এ ?” মহাদেব বলিলেন, “গোলকের গণ চিত্তবিনিময়। আমি যদি নন্দীর হাতে এই গোলক নন্দীকে ভাবিব মহাদেব। রামা ভাবিতেছে, আমি কালীকান্ত বস, কালীকান্তকে ভাবিতেছে, এ রামা চাকর। কালীকান্ত ভাবিতেছে, আমি রামা খানসামা, রামকে ভাবিতেছে, কালীকান্তবাবা।” কালীকান্তবাব, যখন শ্বশরবাড়ী পৌঁছিলেন, তখন তাঁহার শ্বশর অন্তঃপারে। কিন্তু বাহিরে একটা গান্ডগোল উঠিল। দ্বারবান রামদীনা পাঁড়ে বলিতেছে, “আরে ও খানসামাজি, তোম হয়া মৎ বইঠিও-তোম হামারা পাশ আও।” শনিয়া রামা গরম হইয়া, চক্ষ রক্তবাণ করিয়া বলিতেছে, “যা বেটা মেড়য়াবাদী যা-তোর আপনার কাজ করগে।” দ্বারবান পোর্টমাণ্টো নামাইয়া নিল। কালীকান্ত বলিল, “দরওয়ানজি, বাবকে আমন করিয়া অপমান করিও না। উনি রাগ করিয়া চলিয়া যাইবেন।” ” দ্বারবান জামাইবাবকে চিনিত, খানসামাকে চিনিত না। --নািস্কদের মখে এইরূপ কথা শনিয়া মনে করিল, যেখানে জামাইবােবই ইহাকে বােব বলিতেছেন, সেখানে ইনি কোন ছদ্মবেশী বড় লোক হইবেন । দ্বারবান, তখন ভক্তিভাবে রামাকে যক্ত করে আশীব্বাদ করিয়া কহিল, “গোলামকি কসর মাপ কিজিয়ে!” রামা কহিল, “আচ্ছা, তামাক ভেজ দেও!” अनिल ब्राभ, उकिमान्न श्लान निल्ला, उाशइ भाँईलङ । কালীকান্ত চাকরীদের ঘরে গিয়া, BDDDBBD DBBB DBB DDBB S S BB DDBB BBBD DBDDSDD DDDBDS S S D SE কালীকান্ত কহিল, “ওঁর সাক্ষাতে কি তামাকু থাইতে পারি?” { \ 啤门 f. *,喀* 2 's R S. l