পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম, টালবয়স-হাইলাঁর সম্প্রদায় বলিতে পারেন, কৃষ্ণ, জলিয়াস কাইসরের মত, দ্বেষবিশিষ্ট বন্ধগণ কত্ত্বক নিহত হইয়াছিলেন। এরপ কথা কোন গ্রন্থেই নাই। f দ্বিতীয়, তিনি যোগাবলম্বন করিয়া দেহত্যাগ করিয়াছিলেন। পাশচাত্ত্য বৈজ্ঞানিকদিগের শিষ্যগণ যোগাবলম্বনে দেহত্যাগের কথাটার বিশ্বাস করিবেন না। আমি নিজে অবিশ্বাসের কারণ দেখি না। যাঁহারা যোগাভ্যাসকালে নিশ্বাস অবরাদ্ধ করা অভ্যাস করিয়াছেন, তাঁহারা নিশবাস অবরাদ্ধ করিয়া আপনার মাতু্য সম্পাদনা করিতে পারেন না, এমন কথা আমি সাহস করিয়া বলিতে পারি না। এরপ ঘটনা বিশ্বস্তসত্রে শনাও গিয়া থাকে। অন্যে বলিতে পারেন, ইহা আত্মহত্যা, সতরাং পাপ; সতরাং আদশ মনষ্যের অনাচরণীয়, আমি ঠিক তাহা বলিতে পারি না। প্রাচীন বয়সে, জীবনের কায সমস্ত সম্পন্ন হইলে পরে, ঈশ্বরে লীন হইবার জন্য, মনোমধ্যে তন্ময় হইয়া, শ্বাসরোধকে আত্মহত্যা বলিব, না। “ঈশ্বরপ্রাপ্তি” বলিব ? সেটা বিচারস্থল। আত্মহত্যা মহাপাপ স্বীকার করি, জীবনশেষে যোগবলে প্রাণত্যাগও কি তাই ? তৃতীয়, জরাব্যাধের শরাঘাত। চতুৰ্থ, এই সময়ে কৃষ্ণের বয়স শত বর্ষের অধিক হইয়াছিল বলিয়া বিষ্ণপরিাণে কথিত হইয়াছিল। এ জরাব্যাধ, জরাব্যাধি নয় তা ? যাঁহারা কৃষ্ণকে মনষ্যমাত্র বিবেচনা করিয়া তাঁহার ঈশ্বরত্ব স্বীকার করেন না, তাঁহারা এই চারিটি মতের যে কোনটি গ্রহণ করিতে পারেন। আমি কৃষ্ণকে ঈশ্বরাবতার বলিয়া সম্বীকার করি। অতএব আমি বলি, কৃষ্ণের ইচ্ছাই কৃষ্ণের দেহত্যাগের কারণ। আমার মত ইহা বটে যে, জগতে মনষ্যিত্বের আদশ প্রচার তাঁহার ইচ্ছা এবং সেই ইচ্ছা পরিণজন্য তিনি মানষিী শক্তির দ্বারা সকল কৰ্ম্মম নিৰ্ব্বাহ করেন, কিন্তু তাহা বলিলেও ঈশ্বরাবতারের জন্মমােত্যু তাঁহার ইচ্ছাধীন মাত্র বলিতে হইবে। অতএব আমি বলি, কৃষ্ণের ইচ্ছাই কৃষ্ণের দেহত্যাগের একমাত্র কারণ। মৌসলপিব্ব মহাভারতের প্রথম স্তরের অন্তগত কি না, তাহার। আমি বিচার করি নাই । বিশেষ প্রয়োজন নাই, বলিয়া সমালোচনা করি নাই । বিশেষ প্রয়োজন নাই কেন, তাহাও বলিয়াছি। স্থলে ঘটনাটা কতক সত্য বলিয়াই বোধ হয়। তবে তাহা হইলেও, ইহা মহাভারতের প্রথম স্তরের অন্তগত নহে বলিয়াই বোধ হয়। যাহা পরাণ ও হরিবংশে আছে, কৃষ্ণজীবনঘটিত এমন আর কোন ঘটনাই মহাভারতে নাই। একটিই কেবল পরাণাদিতেও আছে, হরিবংশেও আছে, মহাভারতেও আছে। পান্ডবদিগের সম্পবন্ধে যাহা কিছ কৃষ্ণ করিয়াছিলেন, তাহা ভিন্ন আর কোন কৃষ্ণবত্তান্ত মহাভারতে নাই ও থাকিবার সম্ভাবনা নাই। এইটিই কেবল সে নিয়মবহিভূত। কৃষ্ণ এখানে ঈশ্বরাবতার, এটি দ্বিতীয বা তৃতীয় স্তরের চিহ্ন পর্বে বলিয়াছি। এরপ বিবেচনা করিবার অন্যান্য হেতুও নিন্দেশ করা যাইতে পারে, কিন্তু প্রয়োজনাভাব। তবে, ইহা বলা কৰ্ত্তব্য যে, অনফ্রেমণিকাধ্যায়ে মৌসলপকেবর কোন প্রসঙ্গই নাই। পরীক্ষিতের জন্মবত্তান্তের পরবত্তীর্ণ কোন কথাই অনাক্ৰমণিকাধ্যায়ে নাই। আমার বিবেচনায় পরীক্ষিতের জন্মই আদিম মহাভারতের শেষ। তার পরবত্তীৰ্ণ যে সকল কথা, তাহা দ্বিতীয় বা তৃতীয় স্তরের। দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ-উপসংহার সমালোচকের কায্য প্রয়োজনানসারে দ্বিবিধ:-এক প্রাচীন কুসংস্কারের নিরাস; অপর সত্যের সংগঠন। কৃষ্ণচরিত্রে প্রথমোক্ত কাৰ্য্যই প্রধান ; এজন্য আমাদিগের সময় ও চেন্টা সেই দিকেই বেশী গিয়াছে। কৃষ্ণের চরিত্ৰে সত্যের নাতন সংগঠন করা অতি দরহে ব্যাপার, কেন না, মিথ্যা ও অতিপ্রকৃত উপন্যাসের ভাসেম অগ্নি। এখানে এরপ আচ্ছাদিত যে, তাহার সন্ধান পাওয়া ভার। যে উপাদানে গড়িয়া প্রকৃত কৃষ্ণচরিত্র পািনঃ সংস্থাপিত করিব, তাহা মিথ্যার সাগরে DDDB DBDBBS DBDBBBD DBD DBB BBDS DBD DDBD BDD DDBB S উপসংহারে দেখা কত্তব্য যে, যতটকু সত্য পরাণেতিহাসে পাওয়া যায়, ততটকুতে কৃষ্ণচরিত্র কিরুপ প্ৰতিপন্ন হইল। বান্দাবন হিং সরক্ষিত a द्धाभक्रएछ दgछ६७ करGमा भट्टा গোচরণকালে গোপালগণের সঙ্গে সর্বদা ক্রীড়া ও ব্যয়ামাদিতে তিনি GS