পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৃষ্ণচরিত্র কৃষ্ণের কায্যকারিণী বত্তি সকলও চরমসফৰ্ত্তিপ্রাপ্ত। তাঁহার সাহস, ক্ষিপ্রকারিতা, এবং সবকক্ষেম তৎপরতার অনেক পরিচয় দিয়াছি। তাঁহার ধৰ্ম্মম এবং সত্য যে অবিচলিত, এই গ্রন্থে তাহার প্রমাণ পরিপািণ। সব্বজনে দয়া ও প্রীতিই এই ইতিহাসে পরিস্ফাট হইয়াছে। বলদপ্তগণের অপেক্ষা বলবান হইয়াও লোকহিতাৰ্থ তিনি শান্তির জন্য দঢ়যত্ন এবং দঢ়প্ৰতিজ্ঞ। তিনি সব্বলোকহিতৈষী, কেবল মনষ্যের নহে-গোবৎসাদি তিয্যক যোনির প্রতিও তাঁহার দয়া। গিরিষজ্ঞে তাহা পরিস্ফােট। ভাগবতকারকথিত বাল্যকালে বানরদিগের জন্য নবনীত চুরির এবং ফলবিক্রেত্রীর কথা কতদার কিম্বদন্তীমালক, বলা যায় না। কিন্তু যিনি গোবৎসের উত্তম ভোজন জন্য ইন্দ্ৰযজ্ঞ বন্ধ করাইলেন, ইহাও তাঁহার চরিত্রানমোদিত। তিনি আত্মীয় সবজন জ্ঞাতি গোকণ্ঠীর কিরােপ হিতৈষী, তাহা দেখিয়াছি, কিন্তু ইহাও দেখিয়াছি, আত্মীয় পাপাচারী হইলে তিনি তাহার শত্র। তাঁহার অপরিসীম ক্ষমাগণ দেখিয়াছি, আবার ইহাও দেখিয়াছি যে, সময় উপস্থিত দেখিলে তিনি অয়োনিমিত হৃদয়ে অকুণ্ঠিতভাবে দন্ডবিধান করেন। তিনি সর্বজনপ্রিয়, কিন্তু লোকহিতাথে স্বজনের বিনাশেও তিনি কুষ্ঠিত হইতেন না। কংস মাতুল ; পান্ডবেরা যাহা, শিশপােলও তােহা :-পিতৃঅবসার পত্র; উভয়কেই দণ্ডিত করিলেন; তারপর, পরিশেষে স্বয়ং যাদবেরা সরাপায়ী ও দনীতিপরায়ণ হইলে, তাহাদিগকেও রক্ষা করিলেন না। এই সকল শ্রেচঠি বত্তি কৃষ্ণে চরম সাফাত্তি প্রাপ্ত হইয়াছিল বলিয়া, চিত্তরঞ্জিনী বত্তির অনশীলনে তিনি অপরাঙামািখ ছিলেন না, কেন না, তিনি আদশ মনষ্যে। যে জন্য বান্দাবনে ৱিজলীলা, পরিণত বয়সে সেই উদ্দেশ্যে সমদ্রবিহার, যমনাবিহার, রৈবতক-বিহার। তাহার বিস্তারিত বর্ণনা আবশ্যক বিবেচনা করি নাই । কেবল একটা কথা এখন বাকি আছে। ধৰ্ম্মতত্ত্বে বলিয়াছি, ভক্তিই মনষ্যের প্রধানা বত্তি। কৃষ্ণ আদশ মনষ্যে, মনষ্যিত্বের আদশ প্রচারের জন্য অবতীর্ণ।--তাঁহার ভক্তির সাফত্তি দেখিলাম কই। কিন্তু যদি তিনি ঈশ্বরাবতার হয়েন, তবে তাঁহার এই ভক্তির পাত্র কে ? তিনি নিজে * নিজের প্রতি যে ভক্তি, সে কেবল আপনাকে পরমাত্মা হইতে অভিন্ন হইলেই উপস্থিত হয়। ইহা জ্ঞানমাগের চরম। ইহাকে আত্মরতি বলে। ছান্দোগ্য উপনিষদে উহা এইরপ কথিত হইয়াছে —“য এবং পশ্যন্বেবং মন্দবান এবং বিজানান্নাত্মরতিরাত্মক্রীড় আত্মমিথন আত্মানন্দঃ সা সাবরাড় उछवठीठ ।' “যে ইহা দেখিয়া, ইহা ভাবিয়া, ইহা জানিয়া, আত্মায় রত হয়, আত্মাতেই ক্ৰীড়াশীল হয়, আত্মাই যাহার মিথনি (সহচর), আত্মাই যাহার আনন্দ, সে সবরাট ।” ইহাই গীতায় ব্যাখ্যাত হইয়াছে, কৃষ্ণ আত্মারাম ; আত্মা জগন্ময়; তিনি সেই জগতে প্ৰীতিবিষ্ণু,পরমাত্মার আত্মরত আর কােন প্রকার ব্যক্তিতে পারি না। অন্ততঃ আমি বন্ধটিতে १°ादू का । উপসংহারে বক্তব্য, কৃষ্ণ সব্বত্র সবসময়ে সব্বগণের অভিব্যক্তিতে উত্তজবল। তিনি অপরাজেয়, অপরাজিত, বিশদ্ধ, পণ্যময়, প্রীতিময়, দয়াময়, অনন্ঠেয় কম্মেম অপরাঙামািখ-ধৰ্ম্মমাত্মা, বেদজ্ঞ, নীতিজ্ঞ, ধৰ্ম্মম জ্ঞ, লোকহিতৈষী, ন্যায়নিম্ঠ, ক্ষমাশীল, নিরপেক্ষ, শাস্তা, নিৰ্ম্মম, নিরহঙ্কার, যোগষক্ত, তপস্বী। তিনি মানষিী শক্তির দ্বারা কম্পম নিৰ্ব্ববাহ করেন, কিন্তু তাঁহার চরিত্র অমানষ। এই প্রকার মানষিী শক্তির দ্বারা অতিমানষ চরিত্রের বিকাশ হইতে তাঁহার মনষ্যেত্ব বা ঈশ্বরত্ব অনমিত করা বিধেয় কি না, তাহা পাঠক আপনি বদ্ধিবিবেচনা অনসারে স্থির করিবেন। যিনি মীমাংসা করিবেন যে, কৃষ্ণ মনকেষ্যমাত্র ছিলেন, তিনি অন্ততঃ Rhys, Davids LBBBDBDuBB BBB BBBDB BDBBYS BDBB BBDuBu BDDBB SLLLLL LSLLLLL LLLL CLLCLlLLLLLLL of the Hindus.” আর যিনি বঝিবেন যে, এই কৃষ্ণচরিত্র ঈশ্বরের প্রভাব দেখিতে পাওয়া যায়, তিনি যক্ত করে, বিনীতভাবে এই গ্রন্থ সমাপনকালে আমার সঙ্গে বলেন নাকারণাৎ কারণ দ্বা কারণকারণ ন চ | শরীরগ্রহণং বাপি ধৰ্ম্মমাত্রাণায় তে পরম ৷ যে সকল অংশে তাঁহাকে শিবোপাসক বলিয়া বাণিত হইয়াছে, তাহা প্রক্ষিপ্তের व्कचि । 6 flO