পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিম রচনাৰলী কালীকান্ত বলিল, “যদি আপনার কাছে কেহ আমার এমন নিন্দা করিয়া থাকে, তবে সে ঠিক কাম কৰেিয়ছে। আপনার কাছে হাতযোড় করিতেছি, আপনি আমার গবেজেন, আমার छाgशा लिन।” কামসন্দরী রসিকতাপ্রিয় ; মনে করিল যে, এ একতর নাতন রসিকতা বটে। বলিল, “প্ৰাণাধিক, তুমি কত রসিকতা শিখিয়া আসিয়াছ, তাহা বঝা যাইবে।” এই বলিয়া স্বামীর দই হস্ত ধারণা করিয়া আসনে বসাইবার জন্য টানিতে লাগিল । হস্তধারণ মাত্ৰ কালীকান্ত সকবনাশ হইল মনে করিয়া “বাবা রে, গেলাম রে, এগো রে, আমায় মেরে ফেল্পে রে” বলিয়া চীৎকার আরম্ভ করিল। চীৎকার শনিয়া গহস্থ সকলে ভীত হইয়া দৌড়িয়া আসিল। মা, ভগিনী, পিসী প্রভৃতিকে দেখিয়া কামসন্দরী স্বামীর হস্ত ছাড়িয়া দিল । কালীকান্ত অবসর পাইয়া উদ্ধবশ্বাসে পলায়ন করিল। গহিণী কামসন্দরীকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “কি লা কামি—জামাই অমন করে উঠলো। কেন ? তুই কি মেরেছিস ?” বিস্মিতা কামসন্দরী মৰ্ম্মপীড়িত হইয়া কহিল, “মারিব কেন ? আমি মারিব কেন— আমার যেমন পোড়া কপাল!” ক্ৰমে ক্রমে সরে কাঁদনিতে চড়িতে লাগিল—“আমার যেমন পোড়া কপাল-কোন আবাগী আমার সব্বনাশ করেছে-কে ওষধ করেছে-“ বলিতে বলিতে কামসন্দরী কাঁদিয়া হাট লাগাইল। সকলেই বলিল, “হাঁ তুই মেরেছিস ; নাহিলে অমন কাতরাবে কেন ?" এই বলিয়া সকলে কামকে “পাপিষ্ঠা” “ডাইনী” “রাক্ষসী” ইত্যাদি কথায় ভৎসনা করিতে লাগিল। কামসন্দরী বিনাপরাধে নিন্দিতা ও ভৎসিতা হইয়া কাঁদিতে কাঁদিতে ঘরে গিয়া দ্বারা দিয়া শইয়া পড়িল । এদিকে কালীকান্ত বাহিরে আসিয়া দেখিল যে, বড় একটা গোলযোগ বাধিয়া উঠিয়াছে। নীলরতনবাব স্বয়ং এবং দ্বারবান ও উদ্ধব, সকলে পড়িয়া যে যেখানে পাইতেছে, সে সেইখানে রামাকে প্রহার করিতেছে; কিল, লাতি, চড়, চাপড়ের বন্টির মধ্যে রামা চাকর কেবল বলিতেছে, “ছেড়ে দে রে, বাবারে, জামাই মারে, এমন কখন শনি নাই, আমার কি-তোদেরই মেয়েকে একাদশী করতে হবে।” নিকটে দাঁড়াইয়া তরঙ্গ চাকরাণী হাসিতেছে, সে সব্বদা কালীকান্তবাবর বাড়ীতে যাতায়াত করিত, সে রামা চাকরকে চিনিত, সেই বলিয়া দিয়াছে। কালীকান্তবাব মারপিট দেখিয়া ক্ষিপ্তের ন্যায় উঠানময় বেড়াইতে লাগিল, বলিতে লাগিল, “কি সব্বনাশ হইল! বাবকে মারিয়া ফেলিল।” ইহা দেখিয়া নীলরতনবাব আরও কোপাবিল্ট হইয়া রামাকে বলিতে লাগিলেন, “তুই বেটাই জামাইকে কি খাওয়াইয়া পাগল করিয়া দিয়াছিস-মার বেটাকে জাতো।” এই কথা বলায়, যেমন শ্রাবণ মাসে বান্টির উপর বলিস্ট চাপিয়া আইসে, তেমনি নিন্দোষী রামার উপর প্রহারবণ্টি চাপিয়া আসিল। মারপিটের চোটে বস্ত্রমধ্য হইতে লকান সর্বণ গোলকটি পড়িয়া গেল। দেখিয়া তরঙ্গ চাকরাণী তাহা কুড়াইয়া লইয়া নীলরতনবাবর হস্তে দিল। বলিল, “ও মিন্সে চোর! দেখান, ও একটা সোণার তাল চুরি করিয়া রাখিয়াছে।” “দেখি” বলিয়া নীলরতনবাব সবৰ্ণগোলক হস্তে লইলেন,-আমনি তিনি রামাকে ছাড়িয়া দিয়া, সরিয়া দাঁড়াইয়া কোঁচার কাপড় খলিয়া মাথায় দিলেন ; তরঙ্গও মাথার কাপড় খলিয়া, কোঁচা করিয়া পরিয়া, পাদকো হন্তে রামাকে মারিতে প্ৰবত্ত হইল। উদ্ধাব তরঙ্গকে বলিল, “তুই মাগি আবার এর ভিতর এলি কেন ?” ऊबक्र बलिल, “काटक भार्गका बर्षाब्लटउछिन् ?” ऐटकद दक्गिल, ‘डाक।” “আমাকে ঠাট্টা ?” এই বলিয়া তরঙ্গ মহাক্ৰোধে হস্তের পাদকার দ্বারা উদ্ধবকে প্রহার করিল। উদ্ধবও ক্রদ্ধ হইয়া, সন্ত্রীলোককে মারিতে না পারিয়া, নীলরতনবাবরে দিকে চাহিয়া বলিল, “দেখােন দেখি কত্তা মহাশয়, মাগির কত বড় পদ্ধা, আমাকে জােতা মারে!” কত্তা তখন একটখানি ঘোমটা টানিয়া, একটা রসের হাসি হাসিয়া, মাদাসম্বরে কহিলেন, “তা মেরেছেন মেরেছেন, তুমি রাগ করিও না। মনিব, মারতে পারেন।” BBD BB BBC DD BBD DBBSL BDBDBD DBD DDDYiLg DBS DDDD চাকরি! আপনি এমনি আজ্ঞা করেন ! আমি আপনারই চাকর, ওর চাকর কেন হব ? আমি qभन्ा bाकन्न कन्न ना ।” 会曾