পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बष्कम ब्राफ़नाबव्ौं শিষ্য। প্রথমতঃ, মক্তি সখি নয়-সখি দঃখ মাত্রেরই অভাব। দ্বিতীয়তঃ, মক্তি যদিও সখিবিশেষ বলেন, তথাপি সখমাত্র মক্তি নয়। আমি দইটা মিঠাই খাইলে সখী হই, আমার কি তাহাতে মাক্তি লাভ হয় ? গর। তুমি বড় গোলযোগের কথা আনিয়া ফেলিলে। সখি এবং মাক্তি, এই দইটা কথা আগে বঝিতে হইবে, নাহিলে অনশীলনতত্ত্ব বাবা যাইবে না। আজ আর সময় নাই-আইস, একটা ফলগাছে জল দিই, সন্ধ্যা হইল। কাল সে প্রসঙ্গ আরম্ভ কবা। যাইবে। ञ्चिङीन्न अक्षाझ—नाथ कि ? শিষ্য। কাল আপনার কথায় এই পাইলাম যে, আমাদের শারীরিক ও মানসিক শক্তি সকলের সম্যক অনশীলনের অভাবই আমাদের দঃখের কারণ। বটে ? গর। তার পর ? শিষ্য। বলিয়াছি যে, বাচস্পতির নিবাসনের একটি কারণ এই যে, তাঁহার ঘর পড়িকা গিয়াছে। আগমন কাহার দোষে কি প্রকারে লাগিল, তাহা কেহ বলিতে পারে না-কিন্তু বাচস্পতির নিজ দোষে নহে, ইহা এক প্রকার নিশ্চিত। তাঁহার কোন অনশীলনের অভাবে গহ দগ্ধ হইল ? গর। অনশীলনতত্ত্বটা না বঝিয়াই আগে হইতে কি প্রকারে সে কথা বঝিবে ? সখদঃখ মানসিক অবস্থা মাত্র-সখদঃখের কোন বাহ্যিক অস্তিত্ব নাই। মানসিক অবস্থা মাত্রেই যে সম্পণেরপে অনশীলনের অধীন, তাহা তুমি স্বীকার করবে। এবং ইহাও বঝিতে পরিবে: ફ মানসিক শক্তি সকলের যথাবিহিত অনশীলন হইলে গাহদাহ আর দঃখ বলিয়া বোধ (< NT । শিষ্য। অর্থাৎ বৈরাগ্য উপস্থিত হইলে হইবে না। কি ভয়ানক ! গর। সচরাচর যাহাকে বৈরাগ্য বলে, তাহা ভযানক ব্যাপার হইলে হইতে পারে। কিন্তু তাহার কথা হইতেছে কি ? শিষ্য। হইতেছে বৈ কি ? হিন্দধমেমরি টান সেই দিকে। সাংখ্যকার বলেন, তিন প্রকাব্য দঃখের অত্যন্ত নিবত্তি পরমপরিষার্থ। তার পর আর একস্থানে বলেন যে, সখ্য এত অ-প যে, তাহাও দঃখ পক্ষে নিক্ষেপ করিবে। অর্থাৎ সখি দঃখ সব ত্যাগ করিয়া, জড়পিলোড পরিণত হও। আপনার গীতোক্ত ধৰ্ম্মম ও তাই বলেন। শীতোষ্ণ সংখদঃখাদি দািবন্দ্ব সকল তুল্য জ্ঞান করিবে। যদি সখে সখী না হইবে-তবে জীবনে কাজ কি ? যদি ধন্মের উদ্দেশ্য সখি পরিত্যাগ, তবে আমি সেই ধৰ্ম্ম চাই না। এবং অনশীলনতত্ত্বের উদ্দেশ্য যদি ঈদশ ধৰ্ম্মই হয়, তবে আমি অনশীলনতত্ত্ব শানিতে চাই না। গর। অত রাগের কথা কৈছা নাই-আমার এই অনশীলনতত্ত্বে তোমার দইটা মিঠাই খাওয়ার পক্ষে কোন আপত্তি হইবে না-বরং বিধিই থাকিবে। সাংখ্যদশানকে তোমাকে ধৰ্ম্মম বলিয়া গ্রহণ করিতে বলিতেছি না। শীতোষ্ণসখদঃখাদি দ্বন্দ্ব সম্প্ৰবন্ধীয় যে উপদেশ, তাহারও এমন অর্থ নহে যে, মনষ্যের সখিভোগ করা। কৰ্ত্তব্য নহে। উহার অর্থ কি, তাহার কথায় এখন কাজ নাই। তুমি কাল বলিয়াছিলে যে, বিলাতী অনশীলনের উদ্দেশ্য সখি, ভারতবষীয় অনশীলনের উদ্দেশ্য মাক্তি। আমি তদত্তরে বলি, মক্তি সখের অবস্থাবিশেষ। সখের পণ্যমাত্রা এবং চরমোৎকর্ষ। যদি এ কথা ঠিক হয়, তাহা হইলে ভারতবষীয অনশীলনের উদ্দেশ্যও সখি। শিষ্য। অর্থাৎ ইহকালে দঃখ ও পরকালে সখি। গর। না, ইহকালে সখি ও পরকালে সখি। শিষ্য। কিন্তু আমার আপত্তির উত্তর হয় নাই-আমি ত বলিয়াছিলাম যে, জীব মক্ত হইলে সে সখদঃখের অতীত হয়। সখশান্য যে অবস্থা, তাহাকে সখি বলিব কেন ? গর। এই আপত্তি খন্ডন জন্য, সখি কি ও মাক্তি কি, তাহা বঝা প্রয়োজন। এখন, মাক্তির কথা থাক। আগে সখি কি, তাহা বঝিয়া দেখা যাক। শিষ্য। বলন। ○ げ&り