পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बब्दिान्ञ ब्रpनाबढी বাহস্থিত অঙ্গালিগালিকে অনশীলনে এরপ পরিণত করিয়াছ যে, এখনই পাঁচ মিনিটে তুমি এই পন্ঠা কাগজে লিখিয়া ফেলিবে, কিন্তু ঐ মালী দশ দিন চেন্টা করিয়া তোমার মত একটি “ক” লিখিতে পরিবে না। তুমি যে না ভাবিয়া, না যত্ন করিয়া অবহেলায় যেখানে যে আকারের যে অক্ষরের প্রয়োজন, তাহা লিখিয়া যাইতেছ, ইহা উহার পক্ষে অতিশয় বিস্ময়কর, ভাবিয়া সে কিছল বঝিতে পারে না। সচরাচর অনেকেই লিখিতে জানে, এই জন্য সভ্য সমাজে লিপিবিদ্যা বিস্ময়কর অনশীলন বলিয়া লোকের বোধ হয় না। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে এই লিপিবিদ্যা ভোজবাজির অপেক্ষা আশচয্য অনশীলনফল। দেখ, একটি শব্দ লিখিতে গেলে, মনে কর এই অনশীলন শব্দ লিখিতে গেলে,-প্রথমে এই শব্দটির বিশ্লেষণ করিয়া উহার উপাদানভূত বৰ্ণগলি স্থির করিতে হইবে-বিশ্লেষণে পাইতে হইবে, অ, ন, উ, শ, ঈ, ল, না। ইহা প্রথমে কেবল কৰ্ণে, তাহার পর প্রত্যেকের চাক্ষষি দ্রষ্টব্য অবয়ব ভাবিয়া মনে আনিতে হইবে। এক একটি অবয়ব মনে পড়িবে, আবার এক একটি কাগজে অকিতে হইবে। অথচ তুমি এত শীঘ্ৰ লিখিবে যে, তাহাতে বক্সাইবে যে, তুমি কোন প্রকার মানসিক চিন্তা করিতেছ না। অনশীলন গণে অনেকেই এই অসাধারণ কৌশলে কুশলী। অনশীলনজনিত আরও প্ৰভেদ এই মালীর তুলনাতেই দেখ। তুমি যেখানে পাঁচ মিনিটে দই পদ্ঠা কাগজে লিখিবে, মালী তেমনি পাঁচ মিনিটে এক কাঠা জমিতে কোদালি দিবে। তুমি দই ঘণ্টায়, হয়ত দই প্রহরেও তাহা পারিয়া উঠিবে না। এ বিষয়ে তোমার বাহ উপযক্তিরাপে চালিত অর্থাৎ অনশীলিত হয় নাই, সমচিত পরিণতি প্রাপ্ত হয় নাই। অতএব তোমার ও মালীর উভয়েরই হস্ত কিয়দংশে অপরিণত; সব্বাঙ্গীণ পরিণতি প্রাপ্ত হয় নাই। আবার এক জন শিক্ষিত গায়কের সঙ্গে তোমার নিজের তুলনা করিয়া দেখা। হয়ত, শৈশবে তোমার কন্ঠ ও গায়কের কণ্ঠে বিশেষ তারতম্য ছিল না; অনেক গায়ক সচরাচর সর্বভাবতঃ সৎকন্ঠ নহে। কিন্তু অনশীলন গণে গায়ক সকণ্ঠ হইয়াছে, তাহার কন্ঠের সব্বাঙ্গীণ পরিণতি হইয়াছে। আবার দেখ-বল দেখি, তুমি কয় ক্রোশ পথ হটিতে পাের ? শিষ্য। আমি বড় হাঁটিতে পারি না; বড় জোর এক ক্ৰোশ । গর। তোমার পদদ্বয়ের সব্বাঙ্গীণ পরিণতি হয় নাই। দেখ তোমার হােত, পা, গলা, তিনেরই সহজ পল্টি ও পরিণতি হইয়াছে—কিন্তু একেরও সব্বাঙ্গীণ পরিণতি হয় নাই। এইরাপ আর সকল শারীরিক প্রত্যঙ্গের বিষয়ে দেখিবো। শারীরিক প্রত্যঙ্গ মাত্রেরই সব্বাঙ্গীণ পরিণতি না হইলে শারীরিক সব্বাঙ্গীণ পরিণতি হইয়াছে বলা যায় না; কেন না, ভগ্নাংশগলির পণ্যতাই ষোল আনার পণেতা। এক আনায় আধ্য পয়সা কম হইলে, পরা টাকাতেই কমতি হয়। যেমন শরীর সম্পবন্ধে বক্সাইলাম, এমনই মন সম্পবন্ধে জানিবে। মনেরও অনেকগালি প্রত্যঙ্গ আছে, সেগালিকে বত্তি বলা গিয়াছে। কতকগলির কাজ জ্ঞানাঙ্গজনি ও বিচার। কতকগলির কাজ কায্যে প্রবত্তি দেওয়া-যথা ভক্তি, প্ৰীতি, দয়াদি। আর কতকগলির কাজ আনন্দের উপভোগ, সৌন্দৰ্য্য, হৃদয়ে গ্রহণ, রসগ্রহণ, চিত্তবিনোদন। এই ত্ৰিবিধ মানসিক ব্যক্তিগলির সকলের পন্টি ও সম্পণে বিকাশই সব্বাঙ্গীণ পরিণতি। শিষ্য। অর্থাৎ জ্ঞানে পান্ডিত্য, বিচারে দক্ষতা, কায্যে তৎপরতা, চিত্তে ধৰ্ম্মমাত্মতা এবং সািরসে রসিকতা, এই সকল হইলে, তবে মানসিক সব্বাঙ্গীণ পরিণতি হইবে। আবার তাহার উপর শারীরিক সব্বাঙ্গীণ পরিণতি আছে অৰ্থাৎ শরীর বলিষ্ঠ, সংস্থ, এবং সববিধ শারীরিক ক্রিয়ায় সদক্ষ হওয়া চাই। কৃষ্ণাতজন আর শ্ৰীরাম লক্ষণ ভিন্ন আর কেহ কখন এরপ হইয়াছিল। कि ना, ऊाश भान नाई। গর। যাহারা মনষ্যেজাতির মধ্যে উৎকৃষ্ট, তাহারা চেন্টা করিলে যে সম্পণেরপে মনষ্যত্ব লাভ করিতে পরিবে না, এমত কথা স্বীকার করা যায় না। আমার এমনও ভরসা আছে, যােগান্তরে যখন মনকেষ্যজাতি প্রকৃত উন্নতি প্রাপ্ত হইবে, তখন অনেক মনীষাই এই আদর্শনাযাযী হইবে। সংস্কৃত গ্রন্থে প্রাচীন ভারতবর্ষের ক্ষত্রিয় রাজগণের যে বণনা পাওয়া যায়, তাহাতে দেখা যায়, সেই রাজগণ সম্পণেরপে এই মনীষ্যত্ব প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। সে বর্ণনাগলি যে অনেকটা লেখকদিগের কপোলকলিপাত, তাহাতে সন্দেহ নাই। কিন্তু এরপ রাজগণবণনা যে স্থলে সাধারণ, সে স্থলে ইহাই অন মেয় যে, এইরূপ একটা আদশ সে কালের ব্রাহ্মণ ক্ষত্ৰিয়াদিগের সম্মখে ছিল। আমিও সেইরােপ আদশ তোমার সম্মখে স্থাপন করিতেছি। যে যাহা হইতে «ኔSS&