পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লোক রহস্য শনিয়া কত্তা আবার একটি মধর হাসি হাসিয়া বলিলেন, “মরণ আর কি! বড়ো বয়সে মিন্সের রস দেখ! আমার চাকর আবার তুমি কিসে হতে গেলে ?” উদ্ধাব অবাক হইল, মনে করিল, “আজ কি পাগলের পাড়া পড়িয়াছে নাকি ? উদ্ধব বিস্মিত হইয়া রামাকে ছাড়িয়া দাঁড়াইল । এমত সময়ে বাড়ীর গোরক্ষক গোবদ্ধন ঘোষ সেইখানে আসিয়া উপস্থিত হইল। সে তরঙ্গের স্বামী। তে তরঙ্গের অবস্থা ও কাৰ্য্য দেখিয়া বিস্মিত হইল-তরঙ্গ তাহাকে গ্রাহ্যও করিল না। এদিকে কত্তামহাশয় গোবদ্ধনকে দেখিয়া ঘোমটা টানিয়া এক পাশে দাঁড়াইলেন। গোবদ্ধনকে আড়ে আড়ে দেখিয়া চুপি চুপি বলিলেন, “তুমি উহার ভিতর যাইও না।” গোবদ্ধন তরঙ্গের আচরণ দেখিয়া অত্যন্ত রাস্ট হইয়াছিল-সে কথা তাহার কাণে গেল না; সে তরঙ্গের চুল ধরিতে গেল। “নচ্ছার মাগি, তোর হায়া নেই” এই বলিয়া গোবদ্ধন অগ্রসর হইতেছিল, দেখিয়া তরঙ্গ বলিল, “গোবরা, তুইও কি পাগল হয়েছিস না কি ? যা, গোেরর যাব দিগে যা” শনিয়া গোবদ্ধন, তরঙ্গের কেশাকর্ষণ করিয়া উত্তম মধ্যম আরম্ভ করিল। দেখিয়া নীলরতনবাব বলিলেন, “যা! পোড়াকপালে মিন্সে কত্তাকে ঠেঙ্গিয়ে খােন করলে।” এদিকে তরঙ্গও ক্রদ্ধ হইয়া “আমার গায়ে হাত তুলিস” বলিয়া গোবদ্ধনকে মারিতে আরম্ভ করিল। তখন একটা বড় গোলযোগ হইয়া উঠিল। শনিয়া পাড়ার প্রতিবাসী রাম মখোপাধ্যায়, গোবিন্দ চট্টোপাধ্যায় প্রভৃতি আসিয়া উপস্থিত হইল। রাম মখোপাধ্যায় একটা সবৰ্ণ-গোলক পড়িয়া আছে দেখিয়া গোবিন্দ চট্টোপাধ্যায়ের হস্তে দিয়া বলিলেন, “দেখােন দেখি মহাশয়, এটা কি ?” কৈলাসে পাববতী বলিলেন, “প্ৰভো! আপনার গোলক সম্পবরণ করান-ঐ দেখােন গোবিন্দ চট্টোপাধ্যায় বদ্ধ রাম মখোপাধ্যায়ের অন্তঃপারমধ্যে প্রবেশ করিয়া রামের বাদ্ধা ভাৰ্য্যাকে পত্নী সবোধনে কৌতুক করিতেছে। আর রাম মখোপাধ্যায়ের পরিচারিকা তাহার আচরণ দেখিয়া সম্মাডিজনী প্রহার করিতেছে। এদিকে বদ্ধ রাম মখোপাধ্যায়, আপনাকে যাবা গোবিন্দ চট্টোপাধ্যায় মনে করিয়া, তাঁহার অন্তঃপরে গিয়া তাঁহার। ভাৰ্য্যাকে টপ্পা শনাইতেছে। এ গোলক আর মহত্তকাল পথিবীতে থাকিলে গহে গহে বিশঙ্খলা হইবে। অতএব আপনি ইহা সম্পবরণ করান।” মহাদেব কহিলেন, “হে শৈলসাঁতো! আমার গোলকের অপরাধ কি ? এ কান্ড কি আজি নািতন পথিবীতে হইল ? তুমি কি নিত্য দেখিতেছি না যে, বদ্ধ যাবা সাজিতেছে, যােবা বদ্ধ সাজিতেছে, প্ৰভু ভূত্যের তুল্য আচরণ করিতেছে, ভূত্য প্ৰভু হইয়া বসিতেছে। কবে না দেখিতেছ। যে, পরিষ স্ত্রীলোকের ন্যায় আচরণ করিতেছে, সত্ৰীলোক পরিষের মত ব্যবহার করিতেছে ? এ সকল পথিবীতে নিত্য ঘটে, কিন্তু তাহা যে কি প্রকার হাস্যজনক, তাহা কেহ দেখিয়াও দেখে না। আমি তাহা একবার সকলের ত করাইলাম। এক্ষণে গোলক সম্পাবত করিলাম। আমার ইচ্ছায় সকলেই পনেকবার সব সব প্রকৃতিস্থ হইবে, এবং যাহা ঘাঁটিয়া গিয়াছে, তাহা কাহারও সুরকিবে না। তবে, লোকহিতাৰ্থে আমার বরে বঙ্গদর্শন এই কথা পথিবীমধ্যে প্রচারিত ৱিবে ।” states to be কোন বিলাতী সমালোচক প্রণীত প্রায় নিম্পন্ন শ্রেণীর ইউরোপীয় কবিদিগের তুল্য। হিন্দী কবির পক্ষে ইহা সামান্য গৌরবের গ্রন্থকার যে আর কিছদিন যত্ন করিলে একজন সািকবি হইতেন, তদ্বিষয়ে সন্দেহ এই কাব্যগ্রন্থখানির স্থলে তাৎপৰ্য্য, বানরদিগের মাহাত্ম্যাবশ্যন। বানরেরা বোধ হয়, আধনিক Bonerwal নামা হিমাচল প্রদেশবাসী অনায্য জাতিগণের পদবীপরাষ। অনাৰ্য্য বানারগণকর্তৃক লণ্ডকাজয় ও রাক্ষসদিগের সবংশে নিধন, ইহার বণনীয় বিষয়। তখন আয্যেরা অসভ্য ও অনায্যেরা সভ্য ছিল। R