পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপযক্ত কোন কারণ দেখান নাই। আপনি ইহা বৰঝাইয়াছেন বটে যে, ইন্দুিয়াদির অধিক DBBDB D DDBDDBD BB BBDDSDD BDBDBDB DBDD DDD DD BBBS BB BDS আমি ইন্দ্ৰিয়সমুখে বঞ্চিত হই কেন ? গর। তাহা হইলে আমি বলিব, তুমি কিস্কিন্ধ্যা হইতে পথ ভুলিযা আসিয়াছ। যাহা হউক, তোমার কথার আমি উত্তর দিব। ইন্দ্ৰিয়-পরিতৃপ্তি সখি ? ভাল, তাই হউক। আমি তোমাকে অবাধে ইন্দ্ৰিয় পরিতৃপ্ত করিতে অনািমতি দিতেছি। আমি খত লিখিয়া দিতেছি ষে এই ইন্দ্ৰিয়-পরিতৃপ্তিতে কখন কেহ কোন বাধা দিবে না, কেহ নিন্দা করিবে না-যদি করে, আমি গণিাগারি দিব। কিন্তু তোমাকেও একখানি খত লিখিয়া দিতে হইবে। তুমি লিখিয়া দিবে যে, “আর ইহাতে সখি নাই” বলিয়া তুমি ইন্দ্ৰিয়-পরিতৃপ্তি ছাড়িয়া দিবে না। শ্ৰাস্তি ক্লান্তি, রোগ, মনস্তাপ, আয় ক্ষয়, পশত্বে অধঃপতন প্রভৃতি কোনরাপ ওজর আপত্তি করিয়া ইহা কখন ছাড়িতে পরিবে না। কেমন, রাজি আছ ? শিষ্য। দোহাই মহাশয়ের! আমি নই। কিন্তু এমন লোক কি সব্বদা দেখা যায না, যাহারা যাবতজীবন ইন্দ্ৰিয়-পরিতৃপ্তিই সার করে? অনেক লোকই ত এইরপ ? গর। আমরা মনে করি বটে, এমন লোক অনেক। কিন্তু ভিতরের খবর রাখি না। ভিতরের খবর এই-যাহাদিগকে যাবজীবন ইন্দ্রিয়পরায়ণ দেখি, তাহাদিগের ইন্দ্ৰিয়-পরিতৃপ্তি চেন্টা বড় প্রবল বটে, কিন্তু তেমন পরিতৃপ্তি ঘটে নাই। যেরপ তৃপ্তি ঘটিলে ইন্দ্রিয়পরায়ণতার দঃখটা বঝা যায়, সে তৃপ্তি ঘটে নাই। তৃপ্তি ঘটে নাই বলিয়াই চেষ্টা এত প্রবল। অনশীলনের দোষে, হৃদয়ে আগােন জবলিয়াছে—দাহ নিবারণের জন্য তারা জল খাজিয়া বেড়ায় ; জানে না যে, অগ্নিদন্ধের ঔষধ জল নয়। শিষ্য। কিন্তু এমনও দেখি যে, অনেক লোক অবাধে অনাক্ষণ ইন্দ্ৰিয়বিশেষ চরিতাৰ্থ করিতেছে, বিরাগও নাই। মদ্যপ ইহার উৎকৃষ্ট উদাহরণস্থল। অনেক মাতাল আছে, সকাল হইতে সন্ধ্যা পয্যন্ত মদ খায়, কেবল নিদ্রিত অবস্থায় ক্ষান্ত। কই, তাহারা তা মদ ছাড়ে নাछफुंड फ्राश ना ! গর। একে একে বাপ। আগে “ছাড়ে না” কথাটাই বাবা। ছাড়ে না, তাহার কারণ আছে। ছাড়িতে পারে না। ছাড়িতে পারে না, কেন না। এটি ইন্দ্ৰিয়-তৃপ্তির লালসা মাত্র নহে -এ একটি পীড়া। ডাক্তারেরা ইহাকে Dipsomania বলে। ইহার ঔষধ আছে- চিকিৎসা আছে। রোগী মনে করিলেই রোগ ছাড়িতে পারে না। সেটা চিকিৎসকের হােত। চিকিৎসা নিৰ্ম্মফল হইলে রোগের যে অবশ্যম্ভাবী পরিণাম, তাহা ঘটে;—মতু্য আসিয়া রোগ হইতে মক্ত করে। ছাড়ে না, তাহার কারণ এই। “ছাড়িতে চায় না”-এ কথা সত্য নয়। যে মাখে বাহা বলক, তুমি যে শ্রেণীর মাতালের কথা বলিলে, তাহাদিগের মধ্যে এমন কেহই নাই যে, মদ্যের হাত হইতে নিম্প্রকৃতি পাইবার জন্য মনে মনে অত্যন্ত কাতর নহে। যে মাতাল সপ্তাহে এক দিন মদ খায়, সেই আজিও বলে “মদ ছাড়িব কেন ?” তাহার মদ্যপানের আকাঙ্ক্ষা আজিও পরিতৃপ্তি হয নাই-তৃষ্ণা বলবতী আছে। কিন্তু যাহার মাত্রা পণ্যে হইষাছে, সে জানে যে, পথিবীতে যত দল্লখ আছে, মদ্যপানের অপেক্ষা বড় দঃখ বঝি আর নাই। এ সকল কথা মদ্যপ সম্পবন্ধেই যে খাটে, এমত নহে। সৰবৰ্ণপ্রকার ইন্দ্রিয়পরায়ণের পক্ষে খাটে। কমিকের অন্যচিত অনশীলনের ফলও একটি রোগ। তাহারও চিকিৎসা আছে এবং পরিণামে অকালম,তু্য আছে। এইরপ একটি রোগীর কথা আমি আমার কোন চিকিৎসক বন্ধর কাছে এইরূপ শানিলাম যে, তাহাকে হাসপাতালে লইয়া গিয়া তাহার হােত পা বধিয়া রাখিতে হইয়াছিল, এবং সে ইচ্ছামত অঙ্গ সঞ্চালনা করিতে না পারে, এজন্য লাইকরলিটি দিয়া তাহার অঙ্গের স্থানে স্থানে ঘা করিয়া পরিচিত ছিলেন। DDBBDB SDBuDuD DBDBDDBB D BBB DDD 峦 আক্রান্ত হইয়াছিলেন। তিনি বেশ জানিতেন যে, দাম্পচনীয় দ্রব্য আহার করিলেই তাঁহায় পীড়া বন্ধি হইবে। সে জন্য লোভ সবরণের যথেস্ট চেন্টা করিতেন, কিন্তু কোন মতেই কৃতকাৰ্য্য ye's y