পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

aty i ategu i ಸ್ವಸ್ಥ್ಯ * \ যখন বলিব, তখন এ কথা মনে থাকে যেন। এখন যাহা বলিতেছিলাম, তাহা বলি। (২) বত্তি সকলের এইরুপ পরস্পর সাপেক্ষতা হইতে শারীরিকী বত্তি অনশীলনের দ্বিতীয় প্রয়োজন, অথবা ধেমের দ্বিতীয় বিঘের কথা পাওয়া যায়। যদি অন্যান্য ব্যক্তিগলি শারীরিক ব্যক্তির সাপেক্ষ হইল, তবে জ্ঞানাজজনী প্রভৃতি ব্যক্তির সম্যক অনশীলনের জন্য শারীৱিকী ব্যক্তি সকলের সম্যক অনশীলন চাই। বান্তবিক, ইহা প্রসিদ্ধ যে, শারীরিক শক্তি সকল বলিষ্ঠ ও পাস্ট না থাকিলে মানসিক শক্তি সকল বলিষ্ঠ ও পাট হয় না, অথবা অসম্পর্শ স্ফত্তি প্রাপ্ত হয়। শারীরিক সবাস্থ্যের জন্য মানসিক সবাস্থ্যের প্রয়োজন, মানসিক সবাস্থ্যের জন্য শারীরিক সর্বাস্থ্যের প্রয়োজন, ইউরোপীয় বিজ্ঞানবিদ পন্ডিতেরা শরীর ও মনের এই সম্পবিন্ধ উত্তমরূপে প্রমােণীকৃত করিয়াছেন। আমাদের দেশে এক্ষণে যে কালোজি শিক্ষাপ্রণালী প্রচলিত, তাহার প্রধান নিন্দাবাদ এই যে, ইহাতে শিক্ষাথীদিগের শারীরিক সাফত্তির প্রতি কিছ মাত্র দণ্টি থাকে না, এজন্য কেবল শারীরিক নহে, অকালে মানসিক অধঃপতনও উপস্থিত হয়। ধৰ্ম্ম মানসিক শক্তির উপর নির্ভর করে; কাজে কাজেই ধমেরও অধোগতি ঘটে। ৷ (৩) কিন্তু এ সম্পবন্ধে তৃতীয় তত্ত্ব, বা তৃতীয় বিঘা আরও গরতর। যাহার শারীরিক বত্তি সকলের সমচিত অনশীলন হয় নাই, সে আত্মরক্ষায় অক্ষম। যে আত্মরক্ষায় অক্ষম, তাহার নিৰিবাঘেন্ন ধৰ্ম্মমাচরণ কোথায় ? সকলেরই শত্ৰ আছে। দস্য আছে। ইহারা সব্বদা ধৰ্ম্মাচরণের বিঘা করে। তস্তিন্ন অনেক সময়ে যে বলে শত্ৰদমন করিতে না পারে, সে বলাভাব হেতুই আত্মরক্ষাৰ্থ অধৰ্ম্ম অবলম্বন করে। আত্মরক্ষা এমন অলঙ্ঘনীয় যে, পরম ধাৰ্ম্মিকও এমন অবস্থায় অধৰ্ম্মম অবলম্বন পরিত্যাগ করিতে পারে না। মহাভারতকার, “অশ্বথামা হত ইতি গজঃ” ইতি উপন্যাসে ইহার উত্তম উদাহরণ কলপনা করিয়াছেন। বলে দ্ৰোণাচাৰ্য্যকে পরাভব করিতে অক্ষম হইয়া ব্যধিস্ঠিরের ন্যায় পরম ধাম্পিমােকও মিথ্যা প্ৰবঞ্চনায় প্রবত্ত হইয়াছিলেন। শিষ্য। প্রাচীন কালের পক্ষে এ সকল কথা খাটিলে খাটিতে পারে, কিন্তু এখনকার সভ্য সমাজে রাজাই সকলের রক্ষা করেন। এখন কি আত্মরক্ষায় সকলের সক্ষম হওয়া তােদশ eo ? গর। রাজা সকলকে রক্ষা করিবেন। এইটা আইন বটে। কিন্তু কাৰ্য্যতঃ তাহা ঘটে না। রাজা সকলকে রক্ষা করিয়া উঠিতে পারেন না। পারিলে এত খান, জখম, চুরি, ডাকাতি, দাঙ্গা মারামারি প্রত্যহ ঘটিত না। পলিসের বিজ্ঞাপন সকল পড়িলে জানিতে পরিবে যে, যাহারা আত্মরক্ষায় অক্ষম, সচরাচর তাহদের উপরেই এই সকল অত্যাচার ঘটে। বলবানের কাছে কেহ। আগ হয় না। কিন্তু আত্মরক্ষার কথা তুলিয়া কেবল আপনার শরীর বা সম্পত্তি রক্ষার কথা আমি বলিতেছিলাম না, ইহাও তোমার বাবা কৰ্ত্তব্য। যখন তোমাকে প্রীতিবত্তির অনশীলনের কথা বলিব, তখন বঝিব যে, আত্মরক্ষা যেমন আমাদের অনন্ঠেয় ধৰ্ম্মম; আপনার স্ত্রীপত্র পরিবার সর্বজন কুটম্পব প্রতিবাসী প্রভৃতির রক্ষাও তােদশ আমাদের অনন্ঠেয় ধৰ্ম্মম। যে ইহা করে না, সে পরম অধাৰ্ম্মিক। অতএব যাহার তদপেযোগী বল বা শারীরিক শিক্ষা হয় নাই, সেও অধ্যাম্পিমাক । (৪) আত্মরক্ষা, বা সর্বজনরক্ষার এই কথা হইতে ধর্মের চতুৰ্থ বিঘের কথা উঠিতেছে। এই তত্ত্ব অত্যন্ত গরতের ; ধর্মের অতি প্রধান অংশ। অনেক মহাত্মা এই ধর্মের জন্য, প্রাণ পৰ্যন্ত, প্রাণ কি, সম্ভব সখি পরিত্যাগ করিয়াছেন। আমি স্বদেশরক্ষার কথা বলিতেছি। যদি আত্মরক্ষা এবং সর্বজনরক্ষা ধৰ্ম্মম হয়, তবে স্বদেশরক্ষাও ধৰ্ম্মম । সমাজস্থ এক এক ব্যক্তি যেমন অপর ব্যক্তির সব বসব অপহরণ মানসে আক্রমণ করে, এক এক সমাজ বা দেশও অপর সমাজকে সেইরূপ আক্রমণ করে। মনীষা যতক্ষণ না রাজার শাসনে বা ধন্মের শাসনে নিরন্ধ হয়, ততক্ষণ কাড়িয়া খাইতে পারিলে ছাড়ে না। ষে সমাজে রাজশাসন নাই, সে সমাজের ব্যক্তিগণ যে যার পারে, সে তার কাড়িয়া খায়। তেমনি, বিবিধ সমাজের উপর কেহ এক জন রাজা না থাকাতে, যে সমাজ বলবান, সে দৰবল সমাজের কড়িয়া খায়। অসভ্য সমাজের কথা বলিতেছি না, সভ্য ইউরোপের এই প্রচলিত রীতি!! আজি ফ্রান্স জন্মানির কড়িয়া খাইতেছে, কাল জৰ্ম্মানি ফ্রান্সের কাড়িয়া খাইতেছে ; আজ তুক গ্রীসের কাড়িয়া খায়, কাল, রস তুকের কাড়িয়া খায়। আজ Rhenish Frontier, কাল পেলাশড়, পৱশ বলেগেরিয়া, आंख-चक्र to « ዶሏ