পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অঙ্কিজ রচনাবলী বলি যে, ইন্দ্ৰিয় সংযম মানসিক বত্তির অনশীলনের অধীন; মানসিক শক্তি ভিন্ন ইহা ঘটে না। অতএব যেমন ইতিপক্ষোিব দেখিয়াছ যে, মানসিক ব্যক্তির উচিত। অনশীলন শারীরিকী ব্যক্তির অনশীলনের উপর নির্ভর করে, তেমনি এখন দেখিতেছি যে, শারীরিক বাত্তির উচিত অনশীলন আবার মানসিক বত্তির উপর নিভাির করে। শারীরিক ও মানসিক বত্তিগলি এইরূপ সম্পবিন্ধবিশিষ্ট’; একের অনশীলনের অভাবে অন্যের অনশীলনের অভাব ঘটে। অতএব যে সকল ধক্ষেমাপদেশটা কেবল মানসিক বত্তির অনশীলনের উপদেশ দিয়াই ক্ষান্ত, তাঁহাদের কথিত ধৰ্ম্ম অসম্পর্ণে। যে শিক্ষার উদ্দেশ্য কেবল জ্ঞানোেপাক্তজন, সে শিক্ষা অসম্পপণ্য, সতরাং ধৰ্ম্মবিরাদ্ধ। কলেজে ছেলে পড়াইলেই ছেলে মানষ হয় না এবং কতকগলা বহি পড়িলে পিন্ডিত হয় না। পান্ডিত্য সম্পবন্ধে এই প্রথাটা বড় অনিষ্টকারী হইয়া উঠিয়াছে। नवञ ऊञश्चान्न-ख्खानाञ्जनौ बद्ध শিষ্য। শারীরিক বাত্তির অনশীলন সম্পবন্ধে কিছ উপদেশ পাইয়াছি, এক্ষণে জ্ঞানাঞ্চজনী ধত্তির অনশীলন সম্পবন্ধে কিছ শনিতে ইচ্ছা করি। আমি যত দরে বঝিয়াছি, তাহা এই যে, অন্যান্য বত্তির ন্যায়। এ সকল বত্তির অনশীলনে সখি, ইহাই ধৰ্ম্মম। অতএব জ্ঞানাতজনী বত্তি সকলের অনশীলন এবং জ্ঞানোপাডজািন করিতে হইবে। গর। ইহা প্রথম প্রয়োজন। দ্বিতীয় প্রয়োজন, জ্ঞানোপাঙ্গজনি ভিন্ন অন্য বত্তির সম্যক অনশীলন করা যায় না। শারীরিক বাত্তির উদাহরণদ্বারা ইহা বঝাইয়াছি। ইহা ভিন্ন তৃতীয় প্রয়োজন আছে। তাহা বোধ হয়, সব্বাপেক্ষা গরতর। জ্ঞান ভিন্ন ঈশ্বরকে জানা যায় না। ঈশ্বরের বিধিপৰিবাক উপাসনা করা যায় না। শিষ্য। তবে কি মাখের ঈশ্বরোপাসনা নাই ? ঈশ্বর কি কেবল পন্ডিতের জন্য ? গর। মাখের ঈশ্বরোপাসনা নাই। মাখের ধৰ্ম্ম নাই বলিলে অত্যুক্তি হয় না। ● যত জ্ঞানকৃত পাপ দেখা যায়, সকলই প্ৰায মাখের কৃত। তবে একটা ভ্ৰম সংশোধন করিয়া দিই। যে লেখাপড়া জানে না, তাহাকেই মািখ বলিও না। আর যে লেখাপড়া কবিয়াছে তাহাকেই জ্ঞানী বলিও না। জ্ঞান পস্তকপাঠ ভিন্ন অন্য প্রকারে উপাডিজত হইতে পারে: জ্ঞানাডজনী বত্তির অনশীলন বিদ্যালয় ভিন্ন অন্যত্র হইতে পারে। আমাদের দেশের প্রাচীন পত্রীলোকেরা ইহার উত্তম উদাহরণস্থল। তাঁহারা প্রায় কেহই লেখাপড়া জানিতেন না, কিন্তু তাঁহাদের মত ধাম্পিমােকও পথিবীতে বিরল। কিন্তু তাঁহারা বহি না পড়ন, মাখ ছিলেন না। আমাদের দেশে জ্ঞানোেপাজনের কতকগলি উপায় ছিল, যাহা এক্ষণে লগুপ্তপ্রায় হইয়াছে। কথকতা ইহার মধ্যে একটি। প্রাচীনারা কথকের মাখে পরাণেতিহাস শ্রবণ করিতেন। পরাণেতিহাসের মধ্যে অনন্ত জ্ঞানভান্ডার নিহিত আছে। তচ্ছবিণে তাঁহাদিগের জ্ঞানাজজনী বত্তি সকল পরিমাডিজত ও পরিতৃপ্ত হইত। তস্তিন্ন আমাদিগের দেশে হিন্দধমের মাহাম্ম্যে পরিষপরম্পরায় একটি অপব্ব জ্ঞানের স্রোত চলিযা আসিতেছিল। তাঁহারা তাহার অধিকারিণী ছিলেন। এই সকল উপায়ে তাঁহারা শিক্ষিত বাবদিগের অপেক্ষা অনেক বিষয় ভাল বঝিতেন। উদাহরণস্বরপ অতিথিসংকারের কথাটা ধরা। অতিথিসৎকারের মাহাত্ম্য জ্ঞানলভ্য; জাগতিক সত্যের সঙ্গে ইহা সম্পবিন্ধবিশিস্ট। আমাদের শিক্ষিত সম্প্রদায় অতিথির নামে জবলিয়া উঠেন; ভিখারী দেখিলে লাঠি দেখান। কিন্তু যে জ্ঞান ইহাদের নাই প্রাচীনাদের ছিল; তাঁহারা অতিথিসৎকারের মাহাত্ম্য বঝিতেন। এমনই আর শত শত উদাহরণ দেওয়া যাইতে পারে। সে সকল বিষয়ে নিরক্ষর প্রাচীনারাই জ্ঞানী, এবং আমাদের শিক্ষিত সম্প্রদায় অজ্ঞানী, देशई बलिऊ श्व। শিষ্য। ইহা শিক্ষিত সম্প্রদায়ের দোষ নহে, বোধ হয় ইংরেজী শিক্ষাপ্রণালীর দোষ । গর। সন্দেহ নাই। আমি যে অনশীলনতত্ত্ব তোমাকে বঝাইলাম অর্থাৎ সকল বত্তিগলির সামঞ্জস্যপকেবািক অনশীলন করিতে হইবে, এই কথাটি না বঝাই এ দোষের &করণ । কাহারও কোন কোন বত্তির অনশীলন কৰ্ত্তব্য, এরপ লোক-প্রতীতি আছে, এবং তদনরাপ কাষ্য হইতেছে। এইরূপ লোক-প্রতীতির ফল আধনিক শিক্ষাপ্রণালী। সেই RNS SR