পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মমতত্ত্ব শিক্ষাপ্রণালীতে তিনটি গারতের দোষ আছে। এই মনীষাতত্ত্বের প্রতি মনোযোগী হইলেই, সেই সকল দোষের আবিস্কার ও প্রতিকার করা যায়। শিষ্য। সে সকল দোষ কি ? গর। প্রথম, জ্ঞানাজনী বত্তিগলির প্রতিই অধিক মনোযোগ; কাৰ্য্যকারিণী বা চিত্ত রঞ্জিনীর প্রতি প্ৰায় অমনোযোগ । এই প্রথার অন্যবিত্তী হইয়া আধনিক শিক্ষকেরা শিক্ষালয়ে শিক্ষা দেন। বলিয়া, এ দেশে ও ইউরোপে এত অনিষ্ট হইতেছে। এ দেশে বাঙ্গালীরা অমানষি হইতেছে ; তক কুশলী, বাগামী বা সলেখক-ইহাই বাঙ্গালীর চরমোৎকর্ষের স্থান হইয়াছে। ইহারই প্রভাবে ইউরোপের কোন প্রদেশের লোক কেবল শিলপকুশল, অর্থগধী, সবার্থপর হইতেছে ; কোন দেশে রণপ্ৰিয়, পরস্বাপহারী পিশাচ জন্মিতেছে। ইহারই প্রভাবে ইউরোপে এত যাদ্ধ, দািব্বলের উপর এত পীড়ন। শারীরিক বাত্তি, কাৰ্য্যকারিণী বত্তি, মনোরঞ্জিনী বত্তি, যতগলি আছে, সকলগলির সঙ্গে সামঞ্জস্যযোগ্য যে বদ্ধিবত্তির অনশীলন, তাহাই মঙ্গলকর ; সেগলির অবহেলা, আর বদ্ধিবত্তির অসঙ্গত সাফাত্তি মঙ্গলদায়ক নহে। আমাদিগের সাধারণ লোকের ধৰ্ম্মসংক্রান্ত বিশ্বাস এরপ নহে। হিন্দরে পজিনীয় দেবতাদিগের প্রাধান্য, রূপবান চন্দ্ৰে বা বলবান কাত্তিকেয়ে নিহিত হয় নাই; বদ্ধিমান বহিস্পতি বা জ্ঞানী ব্ৰহ্মায অপিত হয় নাই: রসজ্ঞ গন্ধৰ্ব্ববরাজ বা বাগোদাবীতে নহে। কেবল সেই সব্বাঙ্গসম্পন্ন-অৰ্থাৎ সব্বাঙ্গীণ পরিণতিবিশিস্ট ষড়ৈশ্বৰ্য্যশালী বিষ্ণতে নিহিত হইয়াছে। অনশীলন নীতির স্থল গ্রন্থি এই যে, সব্বপ্রকার বত্তি পরস্পর পরস্পরের সহিত সামঞ্জস্যবিশিষ্ট হইযা অনশীলিত হইবে, কেহ কাহাকে ক্ষমা করিয়া অসঙ্গত বদ্ধি পাইবে না। শিষ্য। এই গেল একটি দোষ। আর ? গর। আধনিক শিক্ষাপ্রণালীর দ্বিতীয় ভ্ৰম এই যে, সকলকে এক এক, কি বিশেষ বিশেষ বিষয়ে পরিপক্ক হইতে হইবে-সকলের সকল বিষয় শিখিবার প্রয়োজন নাই। যে পারে, সে ভাল করিয়া বিজ্ঞান শিখক, তাহার সাহিত্যের প্রয়োজন নাই। যে পারে, সে সাহিত্য উত্তম করিয়া শিখক, তাহার বিজ্ঞানে প্রয়োজন নাই। তাহা হইলে মানসিক বত্তির সকলগলির সাফত্তি ও পরিণতি হইল কৈ ? সবাই আধখানা করিয়া মানষি হইল, আস্ত মানষ পাইব কোথা ? যে বিজ্ঞানকুশলী, কিন্তু কাব্যরসাদির আসবাদনে বণ্ডিত, সে কেবল আধখানা মানষ। অথবা যে সৌন্দৰ্য্যদত্তপ্রাণ, সব্বসৌন্দয্যের রাসগ্রাহী, কিন্তু জগতের অপব্ব বৈজ্ঞানিক তত্ত্বে অজ্ঞ-সেও আধখানা মানষ। উভয়েই মনষ্যবিহীন, সতরাং ধৰ্ম্মে পতিত। যে ক্ষত্রিয় যদ্ধবিশারদ-কিন্তু রাজধৰ্ম্মেম অনভিজ্ঞ-অথবা যে ক্ষত্রিয় রাজধৰ্ম্মে অভিজ্ঞ, কিন্তু রণবিদ্যায় অনভিজ্ঞ, তাহারা যেমন হিন্দীশাস্ত্রানসারে ধৰ্ম্ম চুত, ইহারাও তেমনি ধৰ্ম্মমচু্যত-এই প্রকৃত হিন্দধমের মক্ষম। শিষ্য। আপনার ধৰ্ম্মম ব্যাখ্যা অনসারে সকলকেই সকল শিখিতে হইবে। গর। না, ঠিক তা নয়। সকলকেই সকল মনোব্যক্তিগলি সংকষিত করিতে হইবে। শিষ্য। তাই হউক।-কিন্তু সকলের কি তাহা সাধ্য ? সকলের সকল ব্যক্তিগলি তুল্যরাপে তেজস্বিনী নহে। কাহারও বিজ্ঞানানশীলনী ব্যক্তিগলি অধিক তেজস্বিনী, সাহিত্যান যায়িনী বত্তিগলি সেরাপ নহে। বিজ্ঞানের অনশীলন করিলে সে একজন বড় বৈজ্ঞানিক হইতে পারে, কিন্তু সাহিত্যের অনশীলনে তাহার কোন ফল হইবে না, এ স্থলে সাহিত্যে বিজ্ঞানে তাহার কি তুল্যরপ মনোযোগ করা উচিত ? গর। প্রতিভার বিচারকালে যাহা বলিয়াছি, তাহা স্মরণ কর। সেই কথা ইহার উত্তর। তার পর তৃতীয় দোষ শােন। জ্ঞানাভজনী ব্যক্তিগলি সম্পবন্ধে বিশেষ একটি সাধারণ ভ্ৰম এই যে সংকষাণ অর্থাৎ শিক্ষার উদ্দেশ্য জ্ঞানাজািন, বত্তির সফরণ নহে। যদি কোন বৈদ্য, রোগীকে উদর ভরিয়া পথ্য দিতে ব্যতিব্যস্ত হয়েন, অথচ তাহার ক্ষধাবদ্ধি বা পরিপাকশক্তির প্রতি কিছমাত্ৰ দণ্টি না করেন, তবে সেই চিকিৎসক যেরপ ভ্ৰান্ত, এই প্ৰণালীর শিক্ষকেরাও সেইরাপ ভ্ৰান্ত। যেমন সেই DDBD DDB D BDBuuS BBDDSTBDBDD Bg DBBuDBB DDBuB DBDBTS দিগের শিক্ষার ফল মানসিক অজীণ-বত্তি সকলের অবনতি। মখস্থ কর, মনে রােখ, জিজ্ঞাসা st