পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बम्काब ब्रा5नाबढी গর। তুমি যে ফলের নাম করিলে, যাঁহারা তাহা অধিক পরিমাণে ভোজন করিয়া থাকেন, এ কথাটা তাহাদিগের বিদ্ধি হইতেই উদ্ভূত হইয়াছে। দেখ, বিধি বিধান ব্যবস্থা সকলই ব্ৰাহ্মণের হাতেই ছিল। নিজ হন্তে সে শক্তি থাকিতেও তাঁহারা আপনাদের উপজীবিকা সম্পবন্ধে কি ব্যবস্থা করিয়াছেন ? তাঁহারা রাজ্যের অধিকারী হইবেন না, বাণিজ্যের অধিকারী হইবেন। না, কৃষিকায্যের পয্যন্ত অধিকারী নহেন। এক ভিন্ন কোন প্রকার উপজীবিকার অধিকারী নহেন। যে একটি উপজীবিকা ব্রাহ্মণেরা বাছিয়া বাছিয়া আপনাদিগের জন্য রাখিলেন, সেটি কি ? যাহার পর দঃখের উপজীবিকা আর নাই, যাহার পর দারিদ্র্য আর কিছতেই নাইভিক্ষা। এমন নিঃসবার্থ উন্নত চিত্ত মনষ্যিশ্রেণী ভূমন্ডলে আর কোথাও জন্মগ্রহণ করেন নাই। তাঁহারা বাহাদারির জন্য বা পণ্যসঞ্চায়ের জন্য, বাছিয়া বাছিয়া ভিক্ষাব্যক্তিটি উপজীবিকা বলিয়া গ্রহণ করেন নাই। তাঁহারা বঝিয়াছিলেন যে, ঐশ্বৰ্য্যসম্পদে মন গেলে জ্ঞানোেপাক্তজনের বিঘা ঘটে, সমাজের শিক্ষাদানে বিঘা ঘটে। একমন, একধ্যান হইয়া লোকশিক্ষা দিবেন। বলিয়াই সৰস্বত্যাগী হইযাছিলেন। যথাৰ্থ নিম্প্রকাম ধৰ্ম্মম যাহাদের হাড়ে হাড়ে প্রবেশ করিয়াছে, তাহারাই পরিহিত ব্ৰত সঙ্কলপ করিয়া এরােপ সব্বত্যাগী হইতে পারে। তাঁহারা যে আপনাদিগের প্রতি লোকের অচলা ভক্তি আদিন্ট করিয়াছিলেন, তাহাও সবাৰ্থেব জন্য নহে। তাঁহারা বঝিয়াছিলেন যে, সমাজশিক্ষকদিগের উপর ভক্তি ভিন্ন উন্নতি নাই, সে জন্য ব্রাহ্মণভক্তি প্রচার করিয়াছিলেন। এই সকল করিয়া তাঁহারা যে সমাজ ও যে সভ্যতার সন্টি করিয়াছিলেন, তাহা আজিও জগতে অতুল্য, ইউরোপ আজিও তােহা আদশ স্বরপ গ্রহণ করিতে পারে। ইউরোপে আজিও যাদ্ধটা সামাজিক প্রযোজন মধ্যে। কেবল ব্ৰাহ্মণেরাই এই ভয়ঙ্কর দঃখ-সকল দঃখের উপর শ্রোিঠ দঃখ-সকল সামাজিক উৎপাতের উপর বড় উৎপাত-সমাজ হইতে উঠাইয়া দিতে পারিয়াছিলেন। সমাজ ব্রাহ্মণ্য নীতি অবলম্পবন করিলে যাদ্ধের আর প্রয়োজন থাকে না। তাঁহাদের কীত্তি অক্ষয়। পথিবীতে যত জাতি উৎপন্ন হইয়াছে, প্রাচীন ভারতের ব্রাহ্মণদিগের মত প্ৰতিভাশালী, ক্ষমতাশালী, জ্ঞানী ও ধাৰ্ম্মিমক কোন জাতিই নহে। প্রাচীন এথেন্স বা রোম, মধ্যকালের ইতালি, আধনিক জাম্পমানি বা ইংলন্ডবাসী-কেহই তেমন প্রতিভাশালী বা ক্ষমতাশালী ছিলেন না; রোমক ধৰ্ম্মযাজক, বৌদ্ধ ভিক্ষ বা অপর কোন সম্প্রদায্যের লোক ८ऊन् ख्खन्ी त्रा क्षकांक छळ क्षा । শিষ্য। তা যাক। এখন দেখি ত ব্ৰাহ্মণেরা লাচিও ভাজেন, রািটীও বেচেন, কালী খাড়া করিয়া কসাইয়ের ব্যবসাও চালান। তাঁহাদিগকে ভক্তি করিতে হইবে ? গর। কদাপি না। যে গণের জন্য ভক্তি করিব, সে গণ যাহার নাই, তাহাকে ভক্তি করিব কেন ? সেখানে ভক্তি অধৰ্ম্ম। এইটকু না বঝাই, ভারতবর্ষোিব অবনতির একটি গারতের কারণ। যে গণে ব্ৰাহ্মণ ভক্তির পাত্র ছিলেন, সে গণ যখন গেল, তখন আর ব্রাহ্মণকে কেন ভক্তি করিতে লাগিলাম ? কেন আর ব্ৰাহ্মণের বশীভুত রহিলাম ? তাহাতেই কুশিক্ষা হইতে লাগিল, কুপথে যাইতে লাগিলাম। এখন ফিরিতে হইবে। শিষ্য। অর্থাৎ ব্রাহ্মণকে আর ভক্তি করা হইবে না। গর। ঠিক তাহা নহে। যে ব্রাহ্মণের গণ আছে, অর্থাৎ যিনি ধামিক, বিদ্বান, নিম্পাকাম, লোকের শিক্ষক, তাঁহাকে ভক্তি করিব; যিনি তাহা নহেন, তাঁহাকে ভক্তি করিব না। তৎপরিবত্তে যে শব্দ্র ব্রাহ্মণের গণষক্ত, অৰ্থাৎ যিনি ধামিক, বিদ্বান, নিম্পাকাম, লোকের শিক্ষক, তাঁহাকেও ব্ৰাহ্মণের মত ভক্তি করিব। শিষ্য। অর্থাৎ বৈদ্য কেশবচন্দ্র সেনের ব্রাহ্মণ শিষ্য; ইহা আপনি সঙ্গত মনে করেন ? গর। কেন করিব না? ঐ মহাত্মা সৱাহ্মণের শ্রেষ্ঠ গণসকলে ভূষিত ছিলেন। তিনি সকল ব্ৰাহ্মণের ভক্তির যোগ্য পাত্র। শিষ্য। আপনার এরপ হিন্দয়ানিতে কোন হিন্দৰ মত দিবে না। গর। না দিক, কিন্তু ইহাই ধৰ্ম্মেমরি যথাৰ্থ মৰ্ম্ম। মহাভারতের বনপর্বে মাকাণ্ডেয়সমস্যাপৰবাধ্যায়ে ২১৫ অধ্যায়ে ঋষিবাক্য এইরুপ আছে;-“পাতিত্যজনক কুক্ৰিয়াসক্ত, দাম্ভিক, ব্ৰাহ্মণ প্রাজ্ঞ হইলেও শািন্দ্রসদশে হয়, আর যে শব্দ্র সত্য, দাম ও ধৰ্ম্মেম সতত। অন্যরক্ত, তাহাকে আমি ব্ৰাহ্মণ বিবেচনা করি। কারণ, ব্যবহারেই ব্ৰাহ্মণ হয়।” পানশাচ বনপর্বে অজগর-পব্বাধ্যায়ে ১৮০ অধ্যায়ে রাজষি নহষ বলিতেছেন, “বেদমলেক সত্য দান ক্ষমা অনশংস্য অহিংসা ও Vy:.bf