পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

are পবিত্র বৈরাগ্য, সকৰ্ম্ম বৈরাগ্য; Asceticism কোথাও নাই। আপনি যথার্থই বলিয়াছেন এমন আশ্চৰ্য্য ধৰ্ম্ম এমন সত্যময় উন্নতিকর ধৰ্ম্ম, জগতে আর কখন প্রচারিত হয় নাই। গীতা ్నూర్డ్నైట్టూ এই ধর্মের প্রথম প্রচারকের কাছে কেহই ধৰ্ম্মমবেত্তা বলিয়া গণ্য হইতে * फ्र७शा হইতে পারেন না। এ গর। যে অজ্ঞজনের রথে চড়িয়া, কুরক্ষেত্রে, যাদ্ধের অব্যবহিত পৰেব এই সকল কথাগালি বলিয়াছিলেন, তাহা আমি বিশ্বাস করি না। না বিশ্বাস করিবার অনেক কারণ আছে। গীতা মহাভারতে প্রক্ষিপ্ত, এ কথা বলা যাইতে পারে, কিন্তু কৃষ্ণ যে গীতোক্ত ধৰ্ম্মের সন্টিকৰ্ত্তা, তাহা আমি বিশ্বাস করি। বিশ্বাস করিবার কারণ আছে। ফলে তুমি দেখিতে পাইতেছ যে, এক নিৰ্ভকামবাদের দ্বারা সমদায় মনীষাজীবন শাসিত, এবং নীতি ও ধৰ্ম্মের সকল উচ্চ তত্ত্ব একতা প্রাপ্ত হইয়া পবিত্র হইতেছে। কাম্য কম্পেমাির ত্যাগই সন্ন্যাস, নিস্কাম কমই সন্ন্যাস, নিঅকাম কম্পমত্যাগ সন্ন্যাস নহে। কাম্যান্যাং কৰ্ম্মণাং ন্যাসং সন্ন্যাসং কবয়ো বিদঃ। সব্বকৰ্ম্মফলত্যাগং প্রাহন্ত্যোগং বিচক্ষণঃ ৷ ১৮ ।। ২ যে দিন ইউরোপীয় বিজ্ঞান ও শিলপ, এবং ভারতবষের এই নিস্কাম ধৰ্ম্ম একত্রিত হইবে, সেই দিন মনষ্য দেবতা হইবে। তখন ঐ বিজ্ঞান ও শিল্পের নিন্দকাম প্রয়োগ ভিন্ন সকাম প্রয়োগ হইবে না। শিষ্য। মানষের অদস্টে কি এমন দিন ঘটিবে ? গর। তোমরা ভারতবাসী, তোমরা করিলেই হইবে। দই-ই তোমাদের হাতে। এখন ইচ্ছা করিলে তোমরাই পথিবীর কত্তা ও নেতা হইতে পার। সে আশা যদি তোমাদের না থাকে, তবে ব্যথায় আমি বকিয়া মরিতেছি। সে যাহা হউক, এক্ষণে এই গীতোক্ত সন্ন্যাসবাদের প্রকৃত তাৎপৰ্য্য কি ? প্রকৃত তাৎপৰ্য্য এই যে, কম হীন সন্ন্যাস নিকৃষ্টণ্ট সন্ন্যাস। কম, বাবাইয়াছিভক্ত্যাত্মিক। অতএব এই গীতোক্ত সন্ন্যাসবাদের তাৎপৰ্য্য এই যে, ভক্তাত্মক কমব্যক্ত সন্ন্যাসই যথাৰ্থ সন্ন্যাস । সপ্তদশ অধ্যায়-ভক্তি भान दिखाना গর। ভগবদগীতা পাঁচ অধ্যায়ের কথা তোমাকে বঝাইয়াছি। প্রথম অধ্যায়ে সৈন্যদশান, দ্বিতীয়ে জ্ঞানযোগের স্থলোভাষ, উহার নাম সাংখ্যযোগ, তৃতীয়ে কলমযোগ, চতুর্থে জ্ঞান-কম্পমন্যাসযোগ, পশ্চিমে সন্ন্যাসযোগ, এ সকল তোমাকে বঝাইয়াছি। ষন্ঠে ধ্যানযোগী। ধ্যান জ্ঞানবাদীর অনষ্ঠান, সতরাং উহার পথিক, আলোচনার প্রয়োজন নাই। যে ধ্যানমাগাবলম্বী সে যোগী। যোগী কে, তাহার লক্ষণ এই অধ্যায়ে বিবত হইয়াছে। যে অবস্থায় চিত্ত যোগানিস্তান দ্বারা নিরদ্ধ হইয়া উপরন্ত হয়; ষে অবস্থায় বিশদ্ধান্তঃকরণের দ্বারা আত্মাকে অবলোকন করিয়া আত্মাতেই পরিতৃপ্ত হয়; সে অবস্থায় বদ্ধিমাত্রলভ্য, অতীন্দ্ৰিয়, আত্যন্তিক সখি উপলব্ধ হয়; যে অবস্থায় অবস্থান করিলে আত্মতত্ত্ব হইতে পরিচু্যত হইতে হয় না; যে অবস্থা লাভ করিলে, অন্য লাভকে অধিক বলিয়া বোধ হয় না, এবং যে অবস্থা উপস্থিত হইলে গারতের দঃখও বিচলিত করিতে পারে না, সেই অবস্থার নামই যোগ-নাহিলে খাওয়া ছাড়িয়া বার বৎসর একঠাই বসিয়া চোক বজিয়া ভাবিলে যোগ হয় না। কিন্তু যোগীর মধ্যেও প্রধান ーエー যোগিনামপি সন্বেষাং মদগতেনান্তরাত্মনা। শ্রদ্ধাবান ভজতে যো মাং স মে যক্ততমো মতঃ ৷ ৬ ৷৷ ৪৭ “যে আমাতে আসক্তমনা হইয়া শ্রদ্ধাপর্বক আমাকে ভজনা করে, আমার মতে যোগব্যক্তি ব্যক্তিগণের মধ্যে সে-ই শ্রেষ্ঠ।” ইহা ভগবদ্যুক্তি। অতএব এই গীতোক্ত ধন্মে, জ্ঞান কৰ্ম্ম ধমান সন্ন্যাসী-ভক্তি ব্যতীত কিছই লক্ষপণ নহে। ভক্তিই সব্বসাধনের সার। সপ্তমে বিজ্ঞানযোগ। ইহাতেই ঈশ্বর, আপনি সরবরাপ কহিতেছেন। ঈশ্বর আপনাকে নিগণ 9.