পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बकिंबंध ब्रछन्नावली জয়া যম প্রভৃতি সকল ভয়ই দরি হয়, সেই অনন্ত ঈশ্বর হৃদয়ে থাকিতে আমার ভয় কিসের?” সেই “ভয়োদ্বেগৈমক্তো” কথা মনে কর। তার পর হিরণ্যকশিপ, সপগণকে আদেশ করিলেন যে, উহাকে দংশন করা। কথাটা উপন্যাস, সতরাং এরপ বৰ্ণনায় ভরসা করি, তুমি বিরক্ত হইবে না। সাপের কামড়ে প্ৰহাদ মরিল না-সে কথাও তোমার বিশ্বাস করিয়া কাজ নাই। কিন্তু যে কথার জন্য পরাণকােব এই সাপদংশন-বত্তান্ত লিখিয়াছেন, তৎপ্রতি মনোযোগ 卒东一 স ত্বাসিক্তমতিঃ কৃষ্ণে দশ্যমানো মহোরগৈঃ । ন বিবোদাত্মনো গাত্ৰং তৎসম ত্যাহাদসংস্থিতঃ ॥ প্ৰহাদের মন কৃষ্ণে তখন এমন আসক্ত যে, মহাসাপ সকল দংশন করিতেছে, তথাপি কৃষ্ণসমতির আহাদে তিনি ব্যথা কিছই জানিতে পারিলেন না। এই আহাদের জন্য সখি দঃখ সমান জ্ঞান হয়। সেই ভগবদ্বাক্য আবার সমরণ করা “সমদঃখসখঃ ক্ষমী!” “ক্ষমী” কি, পরে বঝিবে, এখন “সমদঃখসখ” বঝিলে ? শিষ্য। বঝিলাম। এই যে ভক্তের মনে বড় একটা ভাঁর সখ রাত্ৰি দিন রহিয়াছে বলিয়া, অন্য সখি দঃখ, সখি দঃখ বলিয়াই বোধ হয় না। গর। ঠিক তাই। সাপ কর্তৃক প্ৰহাদ বিনন্ট হইল না, দেখিয়া হিরণ্যকশিপ মত্ত হস্তিগণকে আদেশ করিলেন যে, উহাকে দাঁতে ফাড়িয়া মারিয়া ফেল। হস্তীদিগের দাঁত ভাঙ্গিয়া গেল, প্ৰহাদের কিছই হইল না; বিশ্বাস করিও না—উপন্যাস মাত্র। কিন্তু তাহতে প্ৰহাদ পিতাকে কি বলিলেন শন,— দন্তা গজানাং কুলিশাগ্রনিদ্ঠ্যরাঃ শীর্ণ যন্দেতে ন বলং মমৈতৎ । মহাবিপৎপাপবিনাশনোহয়ং জনান্দনান স্মরণানভােবঃ ॥ “কুলিশাগ্রকঠিন এই সকল গজদন্ত যে ভাঙ্গিযা গেল, ইহা আমার বল নহে। যিনি মহাবিপৎ ও পাপের বিনাশন, তাঁহারই সমরণে হইয়াছে।” আবার সেই ভগবদ্বাক্য সমরণ করা “নিমমো নিরহণ্ডকার” ইত্যাদি * ইহাই নিরহণ্ডকার। ভক্ত জানে যে, সকলই ঈশ্বর করিতেছেন এই জন্য ভক্ত নিরহাভকার। হস্তী হইতে প্ৰহাদের কিছ হইল না দেখিযা হিরণ্যকশিপ আগনে পোড়াইতে আদেশ করিলেন। প্ৰহাদ আগমনেও পড়িল না। প্ৰহাদ “শীতোষ্ণসখদঃখেষ সমঃ,” তাই প্ৰহাদের সে আগান পদ্মাপত্রের ন্যায়। শীতল বোধ হইল। তখন দৈত্যপারোহিত ভাগ বেরা দৈত্যপতিকে বলিলেন যে, “ইহাকে আপনি ক্ষমা করিয়া আমাদের জিম্মমা করিয়া দিন। তাহাতেও যদি এ বিষ্ণভক্তি পরিত্যাগ না করে, তবে আমরা অভিচারের দ্বারা ইহাকে বধ করিব। আমাদের কৃত অভিচার কখন বিফল হয় না।” দৈত্যেশ্বর এই কথায় সম্মত হইলে, ভাগ বেরা প্ৰহাদকে লইয়া গিয়া, অন্যান্য দৈত্যগণের সঙ্গে পড়াইতে লাগিলেন। প্ৰহাদ সেখানে নিজে একটি ক্লাস খালিয়া বসিলেন। এবং দৈত্যপত্রগণকে একত্ৰিত করিয়া তাহাদিগকে বিষ্ণভক্তিতে উপদেশ দিতে লাগিলেন। প্ৰহাদের বিষ্ণভক্তি আর কিছই নহে-পরহিতৱত মাত্র বিস্তারঃ সব্বভুতস্য বিফোবিশ্বমিদং জগৎ। দ্রস্টব্যমাত্মবং তস্মাদভেদেন বিচক্ষণৈঃ৷ সব্বত্র দৈত্যাঃ সমতামপেত সমত্বমারাধনমচ্যুতস্য৷ অর্থাৎ বিশ্ব, জগৎ, সব্বভূত, বিফর বিস্তার মাত্র; বিচক্ষণ ব্যক্তি এই জন্য সকলকে আপনার

  • নিৰ্ম্মমো নিরহত্যকারঃ সমাদঃখসখঃ অক্ষমী। শীতোকসখদঃখেয সমঃ সঙ্গবিবর্জিত । 也粉0