পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ས་ལ་ལ་རྒྱ་ ২ । তাহাই মনষ্যের ধৰ্ম্ম । ৩। সেই অনশীলনের সীমা, পরস্পরের সহিত বত্তিগলির সামঞ্জস্য। ৪ । তাঁহাই সখি। ৫। এই সমস্ত বত্তির উপষিক্ত অনশীলন হইলে ইহারা সকলই ঈশ্বরমখী হয়। ঈশ্বরমািখতাই উপযক্ত অনশীলন। সেই অবস্থাই ভক্তি। ৬ । ঈশ্বর সব্বভূতে আছেন ; এই জন্য সব ভুতে প্ৰীতি, ভক্তির অন্তগত, এবং নিতান্ত প্রয়োজনীয় অংশ। সব্বভুতে প্রীতি ব্যতীত ঈশ্বরে ভক্তি নাই, মনীষাত্ব নাই, ধৰ্ম্ম নাই। ৭। আত্মপ্রীতি, সর্বজনপ্ৰীতি, সত্বদেশপ্ৰীতি, পশপ্রীতি, দয়া, এই প্রীতির অন্তগত । ইহার মধ্যে মনষ্যের অবস্থা বিবেচনা করিয়া, সত্বদেশপ্রীতিকেই সব্বশ্রেষ্ঠ ধৰ্ম্ম বলা উচিত। এই সকল স্থল কথা। গর। কই, শারীরিকী বত্তি, জ্ঞানাডজনী বত্তি, কাৰ্য্যকারিণী, চিত্তরঞ্জিনী বত্তি এ সকলের তুমি ত নামও করিলে না ? শিষ্য। নিম্পপ্রয়োজন। অনশীলনতত্ত্বের স্থলে মন্মে। এ সকল বিভাগ নাই। এক্ষণে বঝিয়াছি, আমাকে অনশীলনতত্ত্ব বক্সাইবার জন্য এ সকল নামের সম্মিট করিয়াছেন। গর। তবে, তুমি অনশীলনতত্ত্ব বঝিয়াছ। এক্ষণে আশীৰ্ব্ববাদ করি, ঈশ্বরে ভক্তি তোমার দঢ় হউক। সকল ধৰ্ম্মেমর উপরে সর্বদেশপ্ৰীতি, ইহা বিস্মত হইও না।” 石TF可一卒 (মল্লিখিত ‘ধৰ্ম্মম জিজ্ঞাসা" নামক প্রবন্ধ হইতে কিয়দংশ উদ্ধত করা গেল।) ধৰ্ম্মম: শব্দের আধনিক ব্যবহার-জাত কয়েকটা ভিন্ন ভিন্ন অর্থ তাহার ইংরেজি প্রতিশব্দের দ্বারা আগে নিন্দেশ করিতেছি, তুমি বঝিয়া দেখ। প্রথম, ইংরেজ যাহাকে Religion বলে, আমরা তাহাকে ধৰ্ম্ম বলি, যেমন হিন্দধৰ্ম্ম, বৌদ্ধধৰ্ম্ম, খ্ৰীষ্টীয় ধৰ্ম্মম। দ্বিতীয়, ইংরেজ যাহাকে Morality বলে, আমরা তাহাকেও ধৰ্ম্মম বলি, যথা-অমক কাৰ্য্য “ধৰ্ম্ম-বিরাদ্ধ” “মানবধৰ্ম্মশাস্ত্ৰ," “ধৰ্ম্মম সত্ৰ" ইত্যাদি। আধনিক বাঙ্গালায় ইহার আর একটি নাম প্রচলিত আছে। -নীতি। বাঙ্গালি একালে আর কিছ পারকে আর না। পারকে “নীতিবিরদ্ধে" কথাটা চট করিয়া বলিয়া ফেলিতে পারে। তৃতীয়, ধৰ্ম্মম: শব্দে Virtue ব্যব্যায়। Virtue ধৰ্ম্মমাত্মা মনষ্যের অভ্যস্ত গণকে বঝায় ; নীতির বশবত্তীর্ণ অভ্যাসের উহা ফল। এই অথে আমরা বলিয়া থাকি —আমােক ব্যক্তি ধাৰ্ম্মিমক, অমক ব্যক্তি অধাৰ্ম্মিক। এখানে অধৰ্ম্মকে ইংরেজিতে Vice বলে। চতুৰ্থ, রিলিজন বা নীতির অন্যুমোদিত যে কাৰ্য্য, তাহাকেও ধৰ্ম্ম বলে, তাহার বিপরীতকে অধৰ্ম্ম বলে। যথা—দান পরম ধৰ্ম্মম, অহিংসা পরম ধৰ্ম্ম, গরনিন্দ পরম অধ্যক্ষম । ইহাকে সচরাচর পাপপণ্যও বলে। ইংরেজিতে এই অধৰ্ম্মের নাম ‘Sin’- পিণ্যের এক কথায় একটা নাম নাই-'good decid' বা তদ্রপ বাগবাহাল্য দ্বারা সাহেবের অভাব মোচন করেন। পঞ্চম, ধৰ্ম্ম শব্দে গণ ব্যবস্থায়, যথা-চুম্বকের ধৰ্ম্ম লৌহাকর্ষণ। এস্থলে যাহা অর্থান্তরে অধৰ্ম্ম, তাহাকেও ধৰ্ম্ম বলা যায়। যথা, “পরনিন্দা-ক্ষ-দ্রচেতাদিগের ধৰ্ম্ম।” এই অর্থে মন স্বয়ং “পাষণডধৰ্ম্মেমর” কথা লিখিয়াছেন, যথা “হিংস্রাহিংস্রে মন্দকুরে ধৰ্ম্মমধৰ্ম্মাবতানতে । যদ্যস্য সোহদধাৎ সঙ্গে তত্তস্য সবয়মাবিশং ৷”

  • 5一

“পাষণ্ডডগণধৰ্ম্মমাংশ্চ শাস্ত্ৰেহসিমান্নাক্তবান মনঃ।” আর ষািঠতঃ, ধৰ্ম্মম শব্দ তখন আচার বা ব্যবহারার্থে প্রযক্ত হয। মন এই অর্থেই বলেন “দেশধৰ্ম্মান জাতিধৰ্ম্মান কুলধৰ্ম্মমাংশ্চ শাশ্বতান ।”

  • অনশীলনতত্ত্বের সঙ্গে জাতিভেদ ও শ্রমজীবনের কি সম্পবিন্ধ, তাহা এই গ্রন্থমধ্যে বক্সাইলাম না। কারণ, তাহা শ্ৰীমদ্ভগবদগীতার টীকায় “সর্বধৰ্ম্ম” বঝাইবার সময়ে বাকাইয়াছি। গ্রন্থের সম্পৰ্শতা রক্ষার জন্য (ঘ) চিহ্নিত ক্রোড়পত্রে তাদংশ গীতার টীকা হইতে উদ্ধত করিলাম।

彰9为