পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

gwńsy কথাটা বঝি নিতান্ত মন্দ নয়; কিন্তু যখন উহার কথা উঠিল “নোদনা প্রবত্তকো বেদবিধিরপঃ,” তখন আমার বড় সন্দেহ হইতেছে, তুমি উহাকে ধৰ্ম্মম বলিয়া সম্বীকাৰ কৰিবে কি না। শিষ্য। কখনই না। তাহা হইলে যতগলি পথক ধৰ্ম্ম গ্রন্থ ৩৩গলি পথিক-প্রকৃতিসম্পন্ন ধৰ্ম্ম মানিতে হয়। খীস্টানে বলিতে পারে, বাইবেল-বিধিহ ধৰ্ম্মম , মসলমানও কোরাণ সম্পবন্ধে ঐরােপ বলিবে। ধন্মপদ্ধতি ভিন্ন হউক, ধৰ্ম্ম বলিষ্যা একটা সাধাবণ সামগ্ৰী নাই কি ? Religions আছে বলিয়৷ Religion ঘলিয়া একটা সাধারণ সামগ্ৰী নাই কি ? গর। এই এক সম্প্রদায়ের মত। লৌগাক্ষি ভাস্কর প্রভৃতি এইরাপ কহিমাছেন যে, “বেন্দপ্রতিপাদ্যপ্রয়োজনবন্দর্থে ধৰ্ম্মম।” এই সকল কথার পরিণামফল এই দাঁড়াইয়াছে যে, যাগাদিই ধৰ্ম্ম এবং সদাচারই ধৰ্ম্মম: শব্দে বাচ্য হইয়া গিয়াছে-যথা মহাভারতে, শ্রদ্ধা কম্পমা তপশ্চৈব সত্যমক্ৰোধ এবাচ। সোিবষ, দারোষ সন্তোেষঃ শৌচং বিদ্যানসাযিতা ৷ আত্মজ্ঞানং তিতিক্ষা চ ধৰ্ম্মঃ সাধারণো নািপ৷ কেহ বা বলেন, “দ্রব্যক্ৰিয়াগণোদীনাং ধৰ্ম্মমত্বং" এবং কেহ বলেন, ধৰ্ম্ম অদল্টবিশেষ। ফল৩৪ আৰ্য্যদিগেব সাধারণ অভিপ্ৰায় এই যে, বেদ বা লোকাচারসম্মমত কাযাই ধৰ্ম্মম , যথা বিশ্বামিত্ৰ যমায্যাঃ ক্ৰিয়মাণাং হি শংসন্ত্যাগমবেদিনঃ স ধক্ষেমা যং বিগহৰ্ণন্তি তমধৰ্ম্মমং প্রচক্ষতে৷৷ কিন্তু হিন্দীশাস্ত্ৰে যে ভিন্ন মত নাই, এমত নহে। “ন্ধে বিদ্যে বেদিতব্যে ইতি হি পম যদ ব্রহ্মবিদো বদন্তি পরা চৈবাপরা চ” ইত্যাদি শ্রীতিতে সচিত হইয়াছে যে, বৈদিক জ্ঞান ও তদনবিত্তী যাগাদি নিকৃষ্ট ধৰ্ম্ম, ব্ৰহ্মজ্ঞানই পরম ধৰ্ম্মম। ভগবদগীতার স্থল তাৎপষ্যই কম্পমাত্মক বৈদিকাদি অনন্ঠানের নিকৃষ্টতা এবং গীতেও ধন্মের উৎকর্ষ প্রতিপাদন। বিশেষতঃ হিন্দ ধন্মের ভিতর একটি পরম রমণীয় ধৰ্ম্মম পাওয়া যায়, যাহা এই মীমাংসা এবং তন্নীত হিন্দধৰ্ম্মমবাদের সাধারণতঃ বিরোধী। যেখানে এই ধৰ্ম্মম দেখি--অর্থাৎ কি গীতায়, কি মহাভারতের অন্যত্র, কি ভাগবতে-সব্বত্রই দেখি, শ্ৰীকৃষ্ণই ইহার বক্তা। এই জন্য আমি হিন্দীশাস্ত্ৰে নিহিত এই উৎকৃষ্টতর ধৰ্ম্মকে শ্ৰীকৃষ্ণ-প্রচারিত মনে করি, এবং কৃষ্ণোক্ত ধৰ্ম্ম বলিতে ইচ্ছা করি। মহাভারতের কণী পৰ্ব্বব হইতে একটি বাক্য উদ্ধত করিয়া উহার উদাহরণ দিতেছি । “অনেকে শ্রতিরে ধর্মের প্রমাণ বলিয়া নিন্দেশ করেন। আমি তাঁহাতে দােষারোপ করি না। কিন্তু শ্রীতিতে সমদায় ধৰ্ম্মমতত্ত্ব নিদিলিট নাই। এই নিমিত্ত অনমান দ্বারা অনেক স্থলে ধৰ্ম্মম নিদিলিট করিতে হয়। প্রাণিগণের উৎপত্তির নিমিত্তই ধৰ্ম্মম নিন্দেশ করা হইয়াছে। অহিংসায্যক্ত কাৰ্য্য করিলেই ধৰ্ম্মান ঠান করা হয়। হিংস্রাকদিগের হিংসা নিবারণার্থেই ধমের সন্টি হইয়াছে। উহা প্রাণিগণকে ধারণ করে বলিয়াই ধৰ্ম্ম নাম নিদিলন্ট হইতেছে। অতএব যন্দ্বারা প্রাণিগণের রক্ষা হয়, তাহাই ধৰ্ম্মম"-ইহা কৃষ্ণোক্তি। ইহার পরে বনপৰুব হইতে ধৰ্ম্মব্যাধোক্ত ধৰ্ম্মব্যাখ্যা উদ্ধত করিতেছি। “বাহা সাধারণের একান্ত হিতজনক, তাহাই সত্য। সত্যই শ্রেয় লাভের অদ্বিতীয় উপায়। সত্যপ্রভাবেই যথাৰ্থ জ্ঞান ও হিতসাধন হয়।” এ স্থলে ধৰ্ম্ম অর্থেই সত্য শব্দ ব্যবহৃত হইতেছে। শিষ্য। এ দেশীয়েরা ধন্মের যে ব্যাখ্যা করিয়াছেন, তাহা নীতির ব্যাখ্যা বা পণ্যের ব্যাখ্যা। রিলিজনের ব্যাখ্যা কই ? গর। রিলিজন শব্দে যে বিষয় ব্যবস্থায়, সে বিষয়ের সর্বাতন্ত্র্য আমাদের দেশের লোক কখন উপলব্ধি করেন নাই। যে বিষয়ের প্রজ্ঞা আমার মনে নাই আমার পরিচিত কোন শব্দে কি প্রকারে তাহার নামকরণ হইতে পারে ? শিষ্য। কথাটা ভাল বঝিতে পারিলাম না। গর। তবে আমার কাছে একটি ইংরেজি প্রবন্ধ আছে, তাহা হইতে একটু পড়িয়া শনাই। 'For religion, the ancient Hindu had no name, because his conception of it was so broad as to dispense with the necessity of a nanne. With other peoples, religion is only a part of life; there are things religious, and there are things lay and secular. To the Hindu, his whole life was religion. To other peoples, their relations to God and to the spiritual world are things sharply

  • S-89 &A●