পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীমৰ গৰঙ্গ ও আপনার বাক্যের উপসংহার করেন বটে, কিন্তু সে সকল বাক্যের সঙ্গে যন্ধের কত্তব্যতার বিশেষ কোন সম্পবিন্ধ নাই। ইহাই বোধ হয় যে, ষে কৌশলে গ্রন্থকার এই ধৰ্ম্মব্যাখ্যার প্রসঙ্গ মহাভারতের সঙ্গে সম্পবদ্ধ করিয়াছেন, তাহার অপ্রকৃততা পাঠক অনভূত করিতে না পারেন, এই জন্য যন্ধের কথাটা মধ্যে মধ্যে পাঠককে স্মরণ করিয়া দেওয়া হইয়াছে। নতুবা যাদ্ধপক্ষ সমৰ্থন এই গ্রন্থের প্রকৃত উদ্দেশ্য নহে। যদ্ধপক্ষ সমর্থনকে উপলক্ষ্য করিয়া সমস্ত মনষ্যেধন্মের প্রকৃত পরিচয় প্রচারিত করাই উদ্দেশ্য। এই কথাটা বিশেষ করিয়া আলোচনা করিলে, বোধ হয়, পাঠক মনে মনে বঝিবেন যে, যাদ্ধক্ষেত্রে উভয় সেনার সম্পমাখে রথ স্থাপিত করিয়া, কৃষ্ণাঙ্গাজনে যথার্থ এইরূপ কথোপকথন যে হইয়াছিল, তাহাতে বিশেষ সন্দেহ। দই পক্ষের সেনা ব্যহিত হইয়া পরস্পরকে প্রহার করিতে উদ্যত, সেই সময়ে যে এক পক্ষের সেনাপতি উভয় সৈন্যের মধ্যে রথ স্থাপন করিয়া অন্টাদশ অধ্যায় যোগ্যধৰ্ম্মম শ্রবণ করিবেন, এ কথাটা বড় সম্ভবপর বলিয়াও বোধ হয় না। এ কথার যৌক্তিকতা সম্বীকার করা যাউক না যাউক, পাঠকের আর কয়েকটি কথা সমরণ রাখা কত্তব্য। (১) গীতায় ভগবৎপ্রচারিত ধৰ্ম্ম সঙ্কলিত হইয়াছে সন্দেহ নাই, কিন্তু গীতাগ্রন্থখানি ভগবৎপ্রণীত নহে, অন্য ব্যক্তি ইহার প্রণেতা। (২) যে ব্যক্তি এই গ্রন্থের প্রণেতা, তিনি যে কৃষ্ণাঙ্কজনের কথোপকথনকালে সেখানে উপস্থিত থাকিয়া সকলই সবকৰ্ণে শনিয়াছিলেন, এবং শনিয়া সেইখানে বসিয়া সব লিখিয়াছিলেন বা সমিতিধরের মত সমরণ রাখিয়াছিলেন, এমন কথাও বিশ্বাসযোগ্য হইতে পারে না। সতরাং যে সকল কথা গীতাকার ভগবানের মাখে ব্যক্ত করিয়াছেন, সে সকলই যে প্রকৃত পক্ষে ভগবানের মািখ হইতে নিগত হইয়াছিল, এমন বিশ্বাস করা যায় না। অনেক কথা যে গ্রন্থকারের নিজের মত, তিনি ভগবানের মািখ হইতে বাহির করিতেছেন, ইহা সম্ভব। যাঁহারা বলিবেন যে, এই গ্রন্থ মহাভারতান্তিগত, মহাভাবত মহাষি ব্যাস-প্রণীত, তিনি যোগবলে সৰ্ব্বজ্ঞ এবং অভ্রান্ত, অতএব এরপে সংশয় এখানে অকৰ্ত্তব্য, তাঁহাদিগের সঙ্গে আমাদের কুটুম্ হইতে পারে না। সে শ্রেণীর পাঠকের জন্য এই ব্যাখ্যা প্রণীত হয় নাই, ইহা আমার ८ ८ ।। (৩) সংস্কৃত সকল গ্রন্থে মধ্যে মধ্যে প্রক্ষিপ্ত শ্লোক পাওয়া যায়। শঙ্করাচায্যের ভাষ্য প্রণীত হইবার পর কোন শ্লোক গীতায় প্রক্ষিপ্ত হইতে পারে নাই, তাঁহার ভাষ্যের সঙ্গে এখন প্রচলিত মলের ঐক্য আছে। কিন্তু শঙ্করাচায্যের অন্যান সহস্র বা ততোধিক বৎসর পাৰেবও গীতা প্রচলিত ছিল। এই কাল মধ্যে যে কোন শ্লোক প্রক্ষিপ্ত হয় নাই, তাহা কি প্রকারে বলিব ? আমরা মধ্যে মধ্যে এমন শ্লোক পাইব, যাহা প্রক্ষিপ্ত বলিযাই বোধ হয়। এই সকল কথা সমরণ না রাখিলে আমরা গীতার প্রকৃত তাৎপৰ্য্য বঝিতে পারিব না। এ জন্য আগেই এই কয়টি কথা বলিয়া রাখিলাম। এক্ষণে দেখা যাউক, শ্ৰীকৃষ্ণ অজ্ঞজনকে এই যদুদ্ধের ধৰ্ম্ম্যতা বাবাইতেছেন, সে সকল কথার সারা মৰ্ম্ম কি ? আমরা উনবিংশ শতাব্দীর নীতিশাস্ত্রের বশবত্তী হইয়া উপরে যে প্রণালীতে সংক্ষেপে এই যদ্ধের ধৰ্ম্ম্যতা বঝাইলাম, শ্ৰীকৃষ্ণ যে সে প্রথা অবলম্ববন করেন নাই, ইহা বলা বাহাদুল্য। তাঁহার কথার স্থলে মৰ্ম্ম এই যে, সকলেরই সর্বধৰ্ম্মম পালন করা কত্তব্য। আগে আমাদিগের বঝিয়া দেখা চাই যে, সাবধৰ্ম্ম সামগ্ৰীটা কি ? শওকরাদি পৰ্ব্বব্যপন্ডিতগণের পক্ষে এ তত্ত্ব বঝান বড় সহজ হইয়াছিল। অর্জন ক্ষত্ৰিয়, সতরাং অজ্ঞজনের স্বধৰ্ম্ম ক্ষাত্র ধৰ্ম্ম বা যাদ্ধ। তিনি যে যাদ্ধ না করিয়া বরং বলিতেছিলেন যে, ‘ভিক্ষাবলম্বন করিব, সেও ভাল৷ ” সেটা তাঁহার পরধৰ্ম্মাবলম্পনের ইচ্ছা-কেন না, ভিক্ষা ব্ৰাহ্মণের ধৰ্ম্মম । কিন্তু আমরা এই ব্যাখ্যায় সকলে ‘বঝিলাম কি ? বৰ্ণাশ্ৰমধৰ্ম্মাবলম্বী হিন্দধমের স্বধৰ্ম্ম বশ বিভাগানসারে নিণীত 蠶 বঝিলাম। কিন্তু অহিন্দরে পক্ষে স্বধৰ্ম্ম कि? द्वाश्का, कार्गश, दैवशा ९३ • তাহা পথিবীর লোকসংখ্যার অতি ক্ষাদ্রাংশ

  • শোকমোহাভ্যাং হ্যাভিভূতবিবেকবিজ্ঞানঃ স্বতএব ক্ষত্রধমে যাদ্ধে প্ৰবত্তোহপি তন্মাদ বন্ধান্দপবরাম পরাধমণী ভিক্ষাজীবনাদিকং কৰ্ত্তং প্রবািবতে।--শঙ্করভাষ্য।

St