পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীমন্তগৰক্ষগীতা এখানেও বিচার শেষ হয় না। পািব্বজন্মবাদী প্রত্যুত্তরে বলিতে পারে, “ঈশ্বরের নিয়মের ফলে সকলই ঘটে, ইহা আমিও স্বীকার করি। তবে বলিতেছি যে, এ বিষয়ে ঈশ্বরের নিয়ম এই যে, পািব্বজন্মকৃত ফলানসারে এই সকল বৈষম্য ঘটে। তুমি যে নিয়ম বলিতেছ, আমি তাহা অস্বীকার করিতেছি।--জন্মের কারণ উপস্থিত হইলেই জলম ঘটিবে-তা রাজ্ঞীর গভেই কি, আর দরিদ্রের গভেই কি ? কিন্তু এ নিয়মে কি জন্মতত্ত্ব সকলই বাবাইতে পাের? কেহ। রাপ, কান্তি, বদ্ধি, সদাগণ লইয়া জন্মগ্রহণ করিতেছে-কেহ কুরুপ, নিবোধ ও গণহীন হইয়া জন্মগ্রহণ করিতেছে। তুমি যদি বল যে, এই রােপ প্ৰভেদ অনেক স্থলে জন্মের পরবত্তীর্ণ শিক্ষার ফল, তাহাতে আমার উত্তর এই যে শিক্ষার প্রভেদে কতক তারতম্য ঘটে বটে। কিন্তু সমস্ত তারতম্যটকু শিক্ষাধীন বলিয়া বঝা যায না। কেন না, অনেক স্থলেই দেখা যায যে, এক প্রকার শিক্ষায় পাত্রভেদে ফলের বিশেষ তারতম্য ঘটে। এমন কি, শিক্ষা আরম্ভ হইবার পন্ধেব দেহ ও বদ্ধির তারতম্য দেখা যায়। ছয় মাসের শিশদিগের মধ্যেও এ প্রভেদ লক্ষিত হয়। জানি, তুমি বলিবে যে, যেটকু শিক্ষার অধীন বলিয়া বঝা যায় না, সে তারতম্যটকু বৈজিক, অর্থাং পিতা মাতা বা পৰবৰ্ণপরিষগণের প্রকৃতিব ফল। আমি ইহাও মানি যে, মাতা পিতা " বা তৎপৰবৰ্গগামী পািব্বীপরাষগণের প্রকৃতি, এমন কি সংস্কার পর্যন্ত আমাদিগকে পাইতে হয, এবং পাশ্চাত্ত্য বিজ্ঞানবিং পশিডতেরা তাহা সপ্রমাণ কবিয়াছেন। কিন্তু মনষ্যমধ্যে যে তারতম্যের কথা বলিতেছি, তাহা তোমার বৈজিক তত্ত্বে নিঃশেষে বাঝা যায় না। দেখ, এক মাতার গভে এক পিতার ঔরসে অনেকগালি ভ্রাতা জন্মে ; তাহদের মাতা পিতা বা পািকব পােরষি সম্পবন্ধে কোনই প্রভেদ নাই; অথচ ভ্রাতৃগণের মধ্যে বিশেষ তারতম্য দেখা যায়। ইহার উত্তরে তুমি বলিতে পার বটে যে, গভধানকালে মাতা পিতার দৈহিক অবস্থা এবং যত দিন শিশ গভে থাকে, তত দিন মাতার দৈহিক ও মানসিক অবস্থা ও তৎকালীন ঘটনাসকল এই তারতম্যের কারণ। না হয়। ইহাও মানিলাম-কিন্তু যমজেও এরােপ তারতম্য দেখা যায - সে তাবতম্যের কিছ, কারণ নিন্দেশ করতে পার কি ?” ইহােরও বৈজ্ঞানিক উত্তর দিতে পারেন। তিনি বলিতে পারেন যে, এই সকল তারতম্য এত দীর মনষ্যে-পরিজ্ঞাত নৈসর্গিক নিয়মাধীন বলিয়া বঝা গেল, তবে বাকিটকু মনষ্যের জ্ঞেয় নিয়মের অধীন বলিয়া বিবেচনা করা উচিত-পািব্বজন্ম কলপনা করা অনাবশ্যক। এখনও বিজ্ঞান এত দর যায় নাই যে, এই তারতম্যেব কারণ সব্বত্র নিন্দেশ করা যায়; কিন্তু একদিন যাইবে ভরসা করা যায । এ দিকে জন্মান্তরবাদীও বলিতে পারেন যে, এ তোমার আন্দাজি কথা। যাহা বিজ্ঞান এখন বাঝাইতে পারিতেছে না, তাহা যে বিজ্ঞান বঝাইতে পারে, এবং ভবিষ্যতে বক্সাইতে পারিবে, ५aा जानाऊ कथा। देश उाशि शामि ना। এরপ বিচারের অন্ত নাই, কোন পক্ষের জয় পবাজায নাই। এখানে বৈজ্ঞানিক জন্মান্তরবাদীকে নিরস্ত করিতে পারেন না, বা জন্মান্তরবাদী বৈজ্ঞানিককে নিরস্ত করিতে পারেন না। উভয়ের দশা তুল্য হইয়া পড়ে। যাহা অজ্ঞাত, উভয়কেই তাহার আশ্রয় লইতে হয়। তবে জনমান্তরবাদীকেই বিশেষ প্রকারে অজ্ঞাত ও অপ্রামাণিকের আশ্ৰয় লইতে হয়। এ বিচারে জন্মান্তর প্রমােণীকৃত হইতেছে, এমন আমরা স্বীকার করিতে পারি না। ২ । যাহাতে মনষ্যেসাধারণের বিশ্বাস, তাহা সত্য বলিয়া বিবেচনা করিতে হয়, এমন কথা অনেকে বলেন। খ্ৰীষ্টিয়ান ও মসলমানেরা যাই বলন, অন্যান্য ধৰ্ম্মাবলম্বী মনষ্যেরা সাধারণতঃ জন্মান্তরে বিশ্বাস করে। পথিবী অন্যাসন্ধান করিলে দেখা যাইবে, নানা দেশে নানা জাতিই জন্মান্তরে বিশ্বাসাবান |* " "It has been accepted, in some form, by disciples of every religion in the world. It is common to Greek philosophers, Egyptian priests, Jewish Rabbins and Several early Christian sects. I appears in the speculations of the Neo-Platonists, of later European mystics, even of socialists like Fourier, who elaborates a fanciful system of successive lines mutually connected by numerical relation. It reaches from the Eleusinian mysteries down to the religions of many rude tribes of North America

  • ミー8○ a Ot