পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীমন্তগৰাঙ্গীত আত্মাও যদি মরিল, তাহা হইলে তোমাকেও আর পাপপণ্যের ফলভাগী হইতে হুইবে না, তবে আর দঃখের বিষয় কি ? কেন তথাপি শোক করিবে না, তাহা পরশ্লোকে বলা হইতেছে। জাতস্য হি ধ্ৰুবো মাতৃত্যুধুবং জন্ম মতস্য চ। তস্মাদপরিহায্যেহাৰ্থে ন ত্বং শোচিতুমহাসি৷৷ ২৭ ৷৷ যে জন্মে, সে অবশ্য মরে; যে মরে, সে অবশ্য জন্মে; অতএব যাহা অপরিহায্য তাহাতে শোক করিও না। ২৭ ৷৷ আত্মার অবিনাশিত গীতাকারের হাড়ে হাড়ে প্রবেশ করিয়াছে। “নিত্যং বা মন্যসে মািতম৷” বলিয়া মানিয়া লইয়াও, উত্তরে আবার বলিতেছেন, “ধুবং জন্ম মতস্য চা।” যদি মরিলে আবার অবশ্য জন্মিবে, তবে আত্মা অবশ্য অবিনাশী, “নিত্যং বা মন্যসে মািতম৷” বলা আর খাটে না। তবে শ্ৰীধরের ব্যাখ্যা গ্ৰহণ করিলে এ আপত্তি উপস্থিত হয় না। অব্যক্তাদীনি ভূতানি ব্যক্তিমধ্যানি ভারত। অব্যক্তনিধনান্যেবা তত্ৰে কা পরিবেদনা ৷৷ ২৮ ৷৷ জীবসকল আদিতে অব্যক্ত, (কেবল) মধ্যে ব্যক্তি, (আবার) নিধনে অব্যক্ত : সেখানে শোকदिव्ना कि ? २४ । অব্যক্ত শব্দের অর্থ পন্ধেব বলা হইয়াছে। শঙ্কর অর্থ করেন, “অব্যক্তমন্দশ নমনপলব্ধিযেষাং ভূতানাং” অর্থাৎ যে (যে অবস্থায়) ভূতসকলের দর্শন বা উপলব্ধি নাই। শ্ৰীধর অর্থ করেন : “অব্যক্তং প্রধানং তদেবাদি উৎপাত্তেঃ পািব্বরপেম ।” অর্থাৎ ভূত সকল উৎপত্তির পকেব কারণরীপে অব্যক্ত থাকে। অপর সকলে কেহ শ্ৰীধরের, কেহ শঙ্করের অন্যবিত্তীর্ণ হইয়াছেন। শঙকরের অর্থ গ্রহণ করিলেই অৰ্থ সহজে বাবা যায়। শ্লোকের অর্থ এই যে, যেখানে জীব সকল আদিতে অর্থাৎ জন্মের পর্বে চক্ষরাদির অতীত ছিল; কেবল মধ্যে দিনকত জন্মগ্রহণ করিয়া ব্যক্তিরােপ হইয়াছিল, শেষে মাতুর পর আবার চক্ষরাদির অতীত হইবে, তখন আর তত্তজন্য শোক করিব কেন ? “প্রতিবদ্ধস্য সর্বপ্নদন্ডটিবস্তৃবিব শোকো ন যাজ্যতে” (শ্ৰীধর স্বামী)-ঘাম ভাঙ্গিলে সর্বপ্নদাল্ট বস্তুর ন্যায় জীবের জন্য শোক অনচিত। এখানেও আত্মার অবিনাশিত্ববাদ জাজবল্যমান। আশচয্যবং পশ্যতি কশিচদেনমাশচয্যবদ্বদতি তথৈব চান্যঃ । আশ্চৰ্য্যবচ্চৈনমনঃ শণোতি শ্রাত্বাপ্যেনং বেদ ন চৈব কশিচৎ ৷৷ ২৯ ৷৷ এই (আত্মা)কে কেহ আশচযাবৎ দেখেন; কেহ ইহাকে আশচযাবৎ বলেন; কেঙ্গে ইহাকে আশ্চৰ্য্যাবৎ শনিয়া থাকেন। শনিয়াও কেহ ইহাকে জানিতে পারিলেন না। ২৯ । এই শ্লোকের অভিপ্রায় এই। আত্মা অবিনাশী হইলেও পণ্ডিতেরাও মত ব্যক্তির জন্য শোক করিয়া থাকেন বটে। কিন্তু তাহার কারণ এই যে, তাঁহারাও প্রকৃত আত্মতত্ত্ব অবগত নহেন। আত্মা তাঁহাদের নিকট বিসময়ের বিষয় মাত্ৰ-তাঁহারা আশচয্য বিবেচনা করেন। আত্মার দিজ্ঞেয়তাবশতঃ সকলের এই ভ্ৰান্তি। এ কথাতে এই আপত্তি হইতে পারে যে, “আত্মা অবিনাশী।” এবং “ইন্দ্রিয়াদির আবিষয়” এই সকল কথাতে এমন কিছ নাই যে, পন্ডিতেও বঝিতে পারে না। কিন্তু ভগবদ্যক্তির উদ্দেশ্য কেবল দঝেবাধ্যতা প্রতিপাদন করা নহে। আমরা আত্মার অবিনাশিত বঝিতে পারিলেও কথাটা আমাদের হৃদয়ে বড় প্রবেশ করে না। তদ্বিষয়ক যে বিশ্বাস, তাহা আমাদের সমস্ত জীবন শাসিত করে না। এই বিশ্বাসকে আমরা একটা সব্বদা-জাজবল্যমান জীবন্ত, সব্বথা-হৃদয়ে-প্রস্ফটিত-ব্যাপারে পরিণত করি না। ইহাই ভগবদ্যক্তির উদ্দেশ্য। দেহী নিত্যমবধ্যেইয়ং দেহে সৰব্যস্য ভারত। उन्भाष्९ जबदल छूऊानि न सूर शाफ़िलूभश्नu ०o ॥ হে ভারত! সকলের দেহে, আত্মা নিত্য ও অবধ্য ! অতএব জীব সকলের জন্য তোমার শোক করা উচিত নহে। ৩o ।

  • ミー8や RS