পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীমন্তগৰগীত i li l'iris - I this i litir 't' is ... ) অবাচ্যবাদাংশ্চ বহন বদিষ্যন্তি তবাহিতঃ। নিন্দন্তস্তব সমর্থ্যং ততো দুঃখতরাং ন কিম৷ ৩৬ ৷৷ তোমার শত্ৰগণ তোমার সামথ্যের নিন্দা করিবে ও অনেক অবাচ্য কথা বলিবে। তার পর অধিক দঃখ আর কি আছে ? ৷৷ ৩৬ । হতো বা প্ৰাপস্যসি সকগং জিত্বা বা ভোক্ষ্যসে মহীম। তস্মাদাত্তিস্ৰষ্ঠ কৌন্তেয় যাদ্ধায় কৃতনিশ্চয়ঃ ৷৷ ৩৭ ৷৷ হত হইলে সবগ পাইবে। জয়ী হইলে পথিবী ভোগ করবে। অতএব হে কৌন্তেয়! মদ্ধে কৃতনিশ্চয় হইয়া উত্থান করা। ৩৭ ৷৷ ৩৪ ৷৷ ৩৫ ৷৷ ৩৬ ৷৷ ৩৭, এই চারিটি শ্লোক কি প্রকারে এখানে আসিল, তাহা বঝা যায় না। এই চারিটি শ্লোক গীতার অযোগ্য। গীতায় ধৰ্ম্মপ্রসঙ্গ আছে, এবং দার্শনিক তত্ত্বও আছে। এই চারিটি শ্লোকের বিষয় না। ধৰ্ম্মম , না দাশনিক তত্ত্ব! ইহাতে বিষয়ী লোকে যে আসার আশ্রদ্ধেয় কথা সচরাচর উপদেশ সরবরােপ ব্যবহার করে, তাহা ভিন্ন আর কিছ নাই। ইহা ঘোরতর স্বাৰ্থ বাদে পােশ, তাহা ভিন্ন আর কিছই নহে। ৩৩শ শ্লোক পৰ্যন্ত ভগবান অজ্ঞজনকে আত্মতত্ত্ব সম্প্ৰবন্ধীয় পরম পবিত্র উপদেশ দিলেন। ৩৮ শ্লোক হইতে আবার জ্ঞান ও কম সম্পবিন্ধীয় পরম পবিত্র উপদেশ আরম্ভ হইবে। এই চারিটি শ্লোকের সঙ্গে, দইয়ের একেরও কোন প্রকার সম্প্রবন্ধ নাই। তৎপরিবত্তে লোক-নিন্দা-ভয় প্রদশিত হইতেছে। বলা বাহাল্য যে, লোক-নিন্দা-ভয় কোন প্রকার ধৰ্ম্মম নহে। সত্য বটে, আধনিক সমাজ সকলে ধৰ্ম্মম এতই দৰবল যে, অনেক সময়ে লোক-নিন্দা-ভয় ধৰ্ম্মেমরি স্থান অধিকার করে। অনেক চোর চৌদ্ষ্যে ইচ্ছক হইয়াও কেবল লোক-নিন্দা-ভয়ে চুরি করে না, অনেক পারদরিক লোক-নিন্দা-ভয়েই শাসিত থাকে। তাহা হইলেও ইহা ধৰ্ম্মম হইল না; পিতলকে গিলিট করিলে দাই চারি দিন সোনা বলিয়া চালান যায় বটে, কিন্তু তাহা বলিয়া পিতল সোনা হয় না। পক্ষান্তরে এই লোক-নিন্দা বহতর পাপের কারণ। আজিকার দিনে হিন্দসমাজের ভ্ৰাণহত্যা ও সত্ৰীহত্যা অনেকই এই লোক-নিন্দা-ভয় হইতে উৎপন্ন। এক সময়ে ফরাসীর দেশে উচ্চ শ্রেণীর লোকের মধ্যে পারদরিকতার অভাবই নিন্দার কারণ ছিল। সিয়াপোষ কাফরদিগের মধ্যে, যে একজনও মসলমানের মাথা কাটে নাই, অর্থাৎ যে নরঘাতী নহে, সে সমাজে নিন্দিত-তাহার বিবাহ হয় না। সকল সমাজেরই সহস্ৰ সহস্ৰ পাপ লোকনিন্দা-ভয় হইতেই উৎপন্ন ; কেন না, সাধারণ লোক নিবোধ, যাহা ভাল, তাহারও নিন্দা করিয়া থাকে। লোকে যাহা ভাল বলে, মনষ্য এখন তাহারই অন্বেষণ করে বলিয়াই মনষ্যের ধৰ্ম্মমাচরণে অবসর বা তৎপ্রতি মনোযোগ নাই। লোক-নিন্দা-ভয়ে অনেকে যে ধৰ্ম্মমাচরণ করিতে পারে না, এবং ধৰ্ম্মমাচরণে প্রবত্ত ব্যক্তিকে অসার লোকে লোক-নিন্দা-ভয় প্রদশর্তন করে, ইহা সচরাচর দেখা গিয়া থাকে। যে লোক-নিন্দা-ভয়ে যাদ্ধে প্রবত্ত, সে সাক্ষাৎ নরপিশাচ । ভগবান স্বয়ং যে অজ্ঞজনকে সেই মহাপাপে উপদিষ্ট করিবেন, ইহা সম্ভব নহে। কোন জ্ঞানবান ব্যক্তিই ইহা ঈশ্বরোক্তি বলিয়া গ্রহণ করিবেন না। ইহা গীতাকারের নিজের কথা বলিয়াও গ্রহণ করিতে পারা যায় না; কেন না, গীতাকার যেই হউন, তিনি পরম জ্ঞানী এবং ভগবদ্ধক্ষেম। সদীক্ষিত; এরপ পাপোক্তি তাঁহা হইতেও সম্ভবে না। যদি কেহ বলেন যে, এই শ্লোক চারিটি প্রক্ষিপ্ত, তবে তাঁহাকে স্বীকার করিতে হইবে যে, ইহা শঙ্করের পর প্রক্ষিপ্ত হইয়াছে। অভিনবগপ্তাচাৰ্য । এই কয় শ্লোককে “লৌকিক ন্যায়” বলিয়াছেন। সদ্বয়ং শ্ৰীকৃষ্ণ যদি “লৌকিক ন্যায়।” পরিত্যাগ না। করিবেন, তবে আর দাঁড়াই কোথায়! যাহাই হউক, লোকনিন্দার কথার পর ও পথিবীভোগের কথার পরেই “এষা তেহভিহিতা সাংখ্যে বদ্ধিযোগে” ইত্যাদি কথা অসংলগ্ন বোধ হয় বটে। झाझा हे प्रांत्रेि का क्धि शिश्न, अश्वि कान अश्या विवार व्हिड বলিতে কেবল বাকি আছে যে, যদিও ৩৭শ শ্লোকে লোক-নিন্দা-ভয় দেখান নাই, তথাপি ইহা সবােৰ্থবাদ-পরিপািণ । সবগ বা রাজ্যের প্রলোভন দেখাইয়া ধৰ্ম্মে প্রবত্ত করা, আর ছেলেকে মিঠাই দিব বলিয়া সংকম্পেম প্রবত্ত করা তুল্য কথা, উভয়ই নিকৃষ্ট সবার্থপরতার উত্তেজন মাত্র। DBBuuBE BB DDD DDBDBD DBKDBD ততো যাদ্ধায় যাজ্যস্ব নৈবং পাপমবাষ্পস্যসি ৷৷ ৩৮ ৷৷ QRSO