পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭৬

Af LLL LLLLLLLLSS GLLL DD LLLLL GLLLLSSLSLSLSLSLLLLLSLLLLLSLLLLLL হন। তা হলে সে রাজারই লাভ। তিনি আপনার কাজ পরের ঘাড়ে দিয়া পাটরাণী নিয়ে রঙ্গ করুন, আর আমরা তাঁর খাটনি খেটে মরি! এই বঝি তোমাদের রামরাজ্য ? হা রাম! বাব। কথাটা এখনও আপনার বোঝা হয় নাই। Freedom-liberty কাহাকে বলে 百T可? হন। কিঙ্কিলন্ধ্যার কলেজে ওসব শেখায় না। বাবা। Freedom বলে স্বাধীনতাকে। সবাধীনতা কাহাকে বলে জানেন ত ? হন। আমি বনের পশ, স্বাধীনতা জানি না ত কি তুমি জান ? বাব। ভাল। তা যে পরিমাণে মনষ্য স্বাধীন হইবে, সেই পরিমাণে মনষ্যে সখী। হন। অর্থাৎ যে পরিমাণে মনষ্য পশভােব প্রাপ্ত হইবে, সেই পরিমাণে মনষ্য সখী। বাব। মহাশয়! রাগ করবেন না। কিন্তু এ কথাগােলা নিতান্ত হন মানের মত হইতেছে। হন। আমি ত তাঁহাই, বাবর মত কথাগালি কি শনি। বাব। সবাধীনতাশন্য মনষ্যজন্মই পশজন্ম। পরাধীনেরা গো মহিষাদির ন্যায় রাজবদ্ধ হইয়া তাড়িত হয়। সৌভাগ্যক্রমে আমাদের রাজপরিষেরা আজন্ম স্বাধীন হন। আমাদের মত। বাবা। আত্মশাসন সেই সবাধীনের লক্ষণ। হন। আমরাও সেই লক্ষণবিশিষ্ট। আমাদের মধ্যে আত্মশাসন ভিন্ন রাজশাসন নাই। আমরা পথিবীমধ্যে সবাধীন জাতি। তোমরা কি আমাদের মত হইতে চাও? বাব। ছিঃ! ছি:! বঝিলাম, বাঁদরে আত্মশাসন বঝিতে পারে না। হন। ঠিক কথা ভাই! আইস, দই জনে কদলী ভোজন করি। 6by প্রথম সংখ্যা-পাঠশালার পশিডত মহাশয় টিপ, টিপ করিয়া বমিট পড়িতেছে; আমি ছাতি মাথায়, গ্রাম্য পথ দিয়া হাঁটিতেছি। বহিস্টটা একটি চাপিয়া আসিল। তখন পথের ধারে একখানা আটচালা দেখিয়া, তাহার পরচালার নীচে আশ্রয় লইলাম। দেখিলাম, ভিতরে কতকগলি ছেলে বই হাতে বসিয়া পড়িতেছে। একজন পশিডত মহাশয় বাঙ্গালা পড়াইতেছেন। কাণ পাতিয়া একটি পড়ােনটা শানিলাম। দেখিলাম, পশিডত মহাশয়ের ব্যাকরণের উপর বড় অন্যরাগ। একটি উদাহরণ দিতেছি। পণ্ডিত মহাশয় একজন ছাত্রকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “বল দেখি, ভু ধাতুর উত্তর তক্ত প্রত্যয় করিলে কি হয় ?” ভু ধাতুর উত্তর তক্ত করিলে ভুক্ত হয়।” পণ্ডিত মহাশয়, ছাত্রের মােখাতা দেখিয়া চটিয়া উঠিলেন এবং তাহাকে “মািখ!” “গদাভ!” প্রভৃতি নানাবিধ সংস্কৃত বাক্যে অসংস্কৃত করিলেন। ছাত্রও কিছ গরম হইয়া উঠিল, বলিল “কোন পন্ডিত মহাশয়! ভুক্ত শব্দ কি নাই ?” পণ্ডিত। থাকিবে না কেন ? ভুক্ত কিসে হয়, তা কি জানিস না ? BDBB D DD DD BD D DBD DBBBDD DDDD DDD BDDDBBD DBDBB BBB S পণ্ডিত। বেল্লিক ! বানর! তাই কি জিজ্ঞাসা করছি ? তখন ভোঁদার প্রতি বড়ই হইয়া তিনি তাহার পাশ্ববত্তী ছাত্র রামকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “ভাল, রাম, তুমিই বল দেখি, ভুক্ত শব্দ কি প্রকারে হয় ?” রাম বলিল, “আজ্ঞা, ভুজ ধাতুর উত্তর জ্ঞা করিয়া ভুক্ত হয় ?” পন্ডিত মহাশয় ভোঁদকে বলিলেন, “শািনলি রে ভোঁদা ? তোর কিছ হবে না ?” ভোঁদা রাগিয়া বলিল, “না হয় না হোক-আপনার যেমন পক্ষপাতী!” পন্ডিত। পক্ষপাত আবার কি রে, হন্যমান ! ভোঁদা। ওর কপালে “ভুজো”, আমার কপালে। “ভূ” ? ছাত্র যে সচব্বণীয় “ভুজো” এবং অদন্টের তারতম্য স্মরণ করিয়া অভিমান করিয়াছে, 8O