পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীমন্তগৰক্ষাগীতা এক্ষণে পাঠক (গ)তে (গ)তে মিলাইয়া দেখিবেন, তাবান কাটিয়া যাবান হইয়াছে কি না।* দ্বিতীয় আপত্তি এই যে, ব্যাখ্যার প্রয়োজনমতে ব্যাখ্যাকার ষাবন তাবান বসাইয়া বাঝাইয়া দিতে পারেন। কিন্তু নিম্প্রয়োজনে বসাইতে পারেন কি? যেখানে নাতন যাবান তাবান না বসাইয়া লইয়া সোজা অৰ্থ করিলেই অর্থ হয়, সেখানেও কি যাবান তাবান বসাইয়া লাইতে হইবে ? এখানে কি নাতন যাবান তাবান না বসাইলে অর্থ হয় না : হয়। বৈ কি। বড় সোজা অৰ্থই আছে। যাবানর্থ উদপানে সব্বতঃ সংপ্লতোদকে। তাবান সব্বেষ বেদেষী ব্রাহ্মণস্য বিজানতঃ ॥ ইহার সোজা অৰ্থ আমি এইরােপ বঝি ;- সংপ্লতোদকে সতি উদপানে যাবানথঃ বিজানতো ব্ৰাহ্মণস্য সব্বেষ বেদেষ। उन्थः । অর্থাৎ সকল স্থান জলে প্লাবিত হইলে উদপানে অর্থাৎ ক্ষমাদ্র জলাশয়ে যাবৎ প্রয়োজন, ব্ৰহ্মজ্ঞ ব্ৰহ্মানিলেঠর সমস্ত বেদে তাবৎ প্রয়োজন। মহামহোপাধ্যায় প্রাচীন ঋষিতুল্য ভাষ্যকার টীকাকারেরা যে এই সহজ অর্থের প্রতি দন্টি করেন নাই, আমার এরপে বোধ হয় না। আমার বোধ হয় যে, তাহারা এই অর্থের প্রতি বিলক্ষণ দলিট করিয়াছেন এবং অতিশয় দরিদশী দেশকালপাত্ৰজ্ঞ পন্ডিত বলিয়াই এই সহজ অর্থ পরিত্যাগ করিয়াছেন। দইটা ব্যাখ্যার প্রকৃত তাৎপৰ্য্য পৰ্য্যালোচনা করিলেই পাঠক তাহা বঝিতে পরিবেন। শেষে কথিত এই সহজ ব্যাখ্যার তাৎপৰ্য্য কি ? সববািন্ত্র জলপ্লাবিত হইলে ক্ষদ্র জলাশয়ে লোকের আর কি প্রয়োজন থাকে ? কোন প্রযোজনই থাকে না। কেন না, সৰ্ব্বত্র জলপ্লাবিত-সকল ঠাঁইই জল পাওয়া যায়। ঘরে বসিয়া জল পাইলে কেহ আর ব্যাপী কম্পাদিতে যায় না। তেমনি যে ঈশ্বরকে জানিয়াছে, তাহার পক্ষে সমস্ত বেদে আর কিছ মাত্র প্রয়োজন নাই। এখন বেদে কিছ প্রয়োজন নাই, এমন কথা, আমরা উনবিংশ শতাব্দীর ইংরেজ শিষ্য, আমরা না হয় সাহস করিয়া বলিতে পারি, কিন্তু শঙ্করাচাৰ্য্য, কি শ্ৰীধর স্বামী এমন কথা কি বলিতে পারিতেন ? বেদ স্বয়ম্বুব, অপৌরষেয়, নিত্য, সব ফলপ্রদ। প্রাচীন ভারতবষীয়েরা বেদকেই একটা ঈশ্বরস্বরপ খাড়া করিয়া তুলিয়াছেন। কপিল ঈশ্বর পরিত্যাগ করিতে পারিয়াছিলেন, কিন্তু বেদ পরিত্যাগ করিতে পারেন নাই। বহিস্পতি বা শাক্যসিংহ প্রভৃতি যাহারা বেদ পরিত্যাগ করিয়াছিলেন, তাঁহারা হিন্দ-সমাজচ্যুত হইয়াছিলেন। অতএব শঙ্করাচাৰ্য্য, কি শ্ৰীধর স্বামী হইতে এমন উক্তি কখন সম্ভাবে না যে, ব্ৰহ্মজ্ঞানীই হউক বা যেই হউক, কাহারও পক্ষে বেদ নিম্প্রয়োজনীয়। কাজেই তাঁহাদিগকে এমন একটা অৰ্থ করিতে হইয়াছে যে, তাহাতে বাঝায় যে, ব্ৰহ্মজ্ঞানেও যা, বেদেও তা, একই ফল। তাহা হইলে বেদের মৰ্য্যাদ। বাহাল রহিল। শেষে যে ব্যাখ্যা লিখিত হইল, তাহার অর্থ যে, ব্ৰহ্মজ্ঞানের তুলনায় বেদজ্ঞান অতি তুচ্ছ । aBB BB S SuBB S BBuS BBB S SBBB BB BuS SBDBBB BBBB গহ্যতো”। ইত্যাদি বাক্য পাঠক সমরণ করান। প্রাচীন টীকাকারদিগের উদ্দেশ্য বঝিতে পরিবেন। এক্ষণে পাঠকের বিচাৰ্য্য এই যে, দইটা ব্যাখ্যা, তাহার মধ্যে একটার জন্য মািল কোন প্রকা পরিবত্তন করিতে হয় না; যেমন আছে, তেমনি ব্যাখ্যা করিলেই সেই অর্থ পাওয়া যায়। কিন্তু সে ব্যাখ্যার পক্ষে কেহই সহায় নাই। আর একটা ব্যাখ্যার জন্য কিছ নাতন কথা বসাইয়া কিভু, কাৰ্টকুট করিয়া লইতে হয়। কিন্তু সমস্ত টীকাকার, ভাষ্যকার ও অনাবাদক এবং মহামহোপাধ্যান্য পশ্চিডতমণ্ডলী সেই ব্যাখ্যার পক্ষে। কোন ব্যাখ্যা গ্রহণ করা উচিত? আমার কোন দিকেই অনরোধ নাই। আমার ক্ষদ্র বদ্ধিতে যেমন বঝিয়াছি, সেইরােপ ব্যবন্ধাইলাম। দই দিকই বঝাইলাম, পাঠকের যে ব্যাখ্যা সঙ্গত বোধ হয়, তাহাই অবলম্বন করবেন। অভিনব ব্যাখ্যার সমৰ্থন জন্য আরও কিছ বলা যাইতে পারে, কিন্তু ততটা প্রয়াস পাইবার বিষয় কিছ দেখা যায় না। বৈদিক ধর্মের সঙ্গে গীতোক্ত ধৰ্ম্মের কি সম্প্ৰবন্ধ, পাঠক তাহা বঝিলেই হইল। সে भम्दक्ष कि, *:टुब्द उलाश दलिशाछ ।

  • সত্য বটে, শঙ্কারাচাৰ্য্য তাবান শব্দের স্থানে যাবান শব্দ ব্যবহার করার বিষয়ে সতক হইয়াছেন, কিন্তু তৎপরিবত্তে, “যদ্যাগ” শব্দ ব্যবহার করিয়াছেন। কাজেই এক কথা।

の ○○