পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিম রচনাবলী পণ্ডিত মহাশয় আমাকে ব্ৰাহ্মণ দেখিয়া, একটা সম্প্রমের সহিত বলিলেন, “আপনি প্রশন করুন।” DBDD DDDBSDBBSS DBDB BDB DBBDS DB BBD DBDBD DS পণ্ডিত সন্তুষ্ট হইয়া বলিলেন, “ভাল, ভাল। পন্ডিতে পন্ডিতের মতই কথা হয়। শািনলি মাগী ?” তার পর আমার দিকে ফিরিয়া, এমনই মািখখানা করিলেন, যেন বিদ্যার বোঝা নামাইতেছেন। বলিলেন, “ভূত পাঁচটি।” তখন ভোঁদার মা গজিয়া উঠিয়া বলিল, “তবে রে মিনসে ? তুই এই বিদ্যায় আমার ছেলে মারিস! ভূত পাঁচটা! পাঁচ ভুত, না বারো ভূত ?” পন্ডিত। সে কি, বাছা! ও ঠাকুরটিকে জিজ্ঞাসা কর, ভূত পঞ্চ । ক্ষিতাপভোঁদার মা। বারো ভূত নয় তা আমার এতটা বিষয় খেলে কে ? আমি কি এমনই দঃখী ছিলাম ? ভোঁদার মা তখন কাঁদিতে আরম্ভ করিল। আমি তখন তাহার পক্ষাবলম্বনপর্বক বলিলাম, “উনি যা বললেন, তা হতে পারে। অনেক সময়েই শানা যায়, অনেকের বিষয় লইয়া ভূতগণ আপনাদিগের পিতৃকৃত্য সম্পন্ন করে। কখন শোনেন নাই, অমকের টাকাটায়। ভূতের বাপের শ্ৰাদ্ধ হইতেছে ?” কথাটা শনিয়া, পন্ডিত মহাশয় ঠিক বঝিতে পারিলেন না, আমি ব্যঙ্গ করিতেছি, কি সত্য বলিতেছি। কেন না, বদ্ধিটা কিছ স্থল। তাঁকে একটি ভেকাপােনা দেখিয়া আমি বলিলাম, “মহাশয়, এ বিষয়ের প্রমাণ প্রয়োগ ত সকলই অবগত আছেন। মন বলিয়াছেন,- “কৃপণানাং ধনশ্চৈব পোষ্যকুলমান্ডপালিনাম । ভূতানাং পিতৃশ্ৰাদ্ধেষ ভবেন্নন্টং ন সংশয়ঃ ॥"* পন্ডিত মহাশয়ের সংস্কৃতজ্ঞান ঐ ভু ধাতুর উত্তর বক্ত পর্যন্ত। কিন্তু এ দিকে বড় ভয়, পাছে সেই শিষ্যমন্ডলীর সম্পমাখে, বিশেষতঃ ভোঁদার মার সম্মখে আমার কাছে পরাস্ত হয়েন-অতএব যেমন শনিলেন, “ভূতানাং পিতৃশ্রাদ্ধেষ ভবেন্নন্টং ন সংশয়ঃ।” আমনই উত্তর করিলেন, “মহাশয়, যথাৰ্থ আজ্ঞা করিয়াছেন। বেদেই তা আছে ”r “অন্তি গোদাবরীতীরে বিশালঃ শালমলীতরঃع শনিয়া ভোঁদার মা বড় তৃপ্ত হইল। এবং পন্ডিত মহাশয়ের ভূয়সী প্রশংসা করিয়া বলিল, “তা, বাবা! তোমার এত বিদ্যা, তব আমার ছেলে মার কেন ?” পশিডত। আরো বেটি, তোর ছেলেকে এমনই বিদ্বান করিব বলিয়াই ত মারি! না মারিলে कि दिा ठूझ ? ভোঁদার মা। বাবা! মারিলে যদি বিদ্যা হয়, তবে আমাদের বাড়ীর কত্তাটির কিছ হলো না কেন ? ঝাঁটায় বল, কৌস্তায় বল, আমি ত কিছতেই কসাের করি না। পশ্চিডত। বাছা! ও সব কি তোমাদের হাতে হয়? ও আমাদের হাতে। ভোঁদার মা। বাবা! আমাদের হাতে কিছই জোরের কসর নাই। দেখিবে ? এই বলিয়া ভোঁদার মা একগাছা বাঁকারি কুড়াইয়া লইল। পন্ডিত মহাশয়, এইরহপ হঠাৎ অধিক বিদ্যালাভের সম্ভাবনা দেখিয়া, সেখান হইতে উদ্ধশ্বাসে প্রস্থান করিলেন। শনিয়াছি, সেই অবধি পন্ডিত মহাশয়, আর ভোঁদকে কিছ বলেন নাই। ভূ ধাতু লইয়া পাঠশালায় আর গোলযোগ হয় নাই। ভোঁদা বলে, “মা, এক বাঁকারিতে পন্ডিত মহাশয়কে ভূতছাড়া করিয়াছে।” দ্বিতীয় সংখ্যা-ধৰ্ম্মম-শিক্ষা I. THEORY. “পড় বাবা, মাতৃবং পরদারেষ।” ছেলে। সে কাকে বলে, বাবা ?

  • অস্যার্থ। কৃপণাদিগের ধন আর যাঁহারা পোষ্যপত্রেরপ কুজ্জামান্ডগলি প্রতিপালন করেন, তাঁহাদিগের ধন ভূতের বাপের শ্রান্ধে নষ্ট হইবে সন্দেহ নাই। "

8SR