পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ৰঙ্কিম রচনাবলী অন্য গ্রন্থেও যজ্ঞ শব্দের ঈশ্বরীরাধনাথে ব্যবহার অনেক দেখা যায়। যথা “বাক যজ্ঞেনাচ্চিতো দেবঃ প্ৰীয়তাং মে জনান্দন।” भारgoबद, 8१ अक्षाश। এখন এই নবম শ্লোকে যজ্ঞ শব্দে ঈশ্বর।ারাধনা বঝিলে কি প্রত্যবায় আছে ? তাহা করিলে, এই শ্লোকের সদর্থও হয়, সংসঙ্গত অৰ্থও হয়। কিন্তু যজ্ঞ শব্দের এই ব্যাখ্যা গ্রহণ করিবার পক্ষে কিছ আপত্তি আছে। একটি আপত্তি এই :-এই শ্লোকের পরবত্তী কয় শ্লোকে যজ্ঞ শব্দটি ব্যবহৃত হইয়াছে; সেখানে যজ্ঞ শব্দে ঈশ্বর, এমন অৰ্থ বৰঝায় না। “সহযজ্ঞঃ প্ৰজাঃ", “যজ্ঞভাবিতাঃ দেবাঃ.” “যজ্ঞশিস্টাশিনঃ”, “ষজ্ঞ কৰ্ম্মসমন্তবঃ,” “যজ্ঞে প্রতিষ্ঠিতম” ইত্যাদি প্রয়োগে যজ্ঞ শব্দে বিষ্ণ, বা ঈশ্বর বিকাইতে পারে না। এখন ৯ম শ্লোকে যজ্ঞ শব্দ এক অর্থে ব্যবহার করিয়া, তাহার পরেই দশম, দ্বাদশ, ত্রয়োদশ, চতুৰ্দশ, পঞ্চদশ শ্লোকে ভিন্নাথে সেই শব্দ ব্যবহার করা নিতান্ত অসম্ভব। সামান্য লেখকও এরপ করে না, গীতাপ্রণেতা যে এরাপ করিবেন, ইহা নিতান্ত অসম্ভব। হয় গীতাকত্তা রচনায় নিতান্ত অপট, নয় শঙ্করাদিকৃত যজ্ঞ শব্দের এই অর্থ ভ্ৰান্ত। এ দইয়ের একটাও স্বীকার করা যায় না। যদি তা না যায়, তবে স্বীকার করিতে হইবে যে, হয় নবম হইতে পঞ্চদশ ৷ পয্যন্ত একাথেই যজ্ঞ শব্দ ব্যবহৃত হইয়াছে, নয়। নবম শ্লোকের পর একটা জোড়াতাড়া আছে। প্রথমতঃ দেখা যাইতেছে, যজ্ঞ বিষ্ণর নাম নয়। অভিধানে কোথাও নাই যে, যজ্ঞ বিষ্ণর নাম। কোথাও এমন প্রয়োগও নাই। “হে যজ্ঞ!!” বলিলে কেহই বঝিবে না যে, “হে বিষ্ণো !’ বলিয়া ডাকিতেছি। “বিষ্ণর দশ অবতার” এ কথার পরিবত্তে কখনও বলা যায় না যে, “যজ্ঞের দশ অবতার”। “যজ্ঞ, শঙ্খচক্ৰগদাপদ্মধারী বনমালী” বলিলে, লোকে হাসিবে। তবে শঙ্করাচায্য কেন বলেন যে, যজ্ঞাথে বিষ্ণ? কেন বলেন, তাহা তিনি বলিয়াছেন। “যজ্ঞো বৈ বিষ্ণরিতি শ্রত্যেঃ-যজ্ঞ বিষ্ণ, ইহা বেদে আছে। শতপথৱাহ্মণে* কথিত আছে যে, অগ্নি, ইন্দ্র, সোম, মঘ, বিষ্ণ, প্রভৃতি দেবগণ কুরক্ষেত্রে যজ্ঞ করিয়াছিলেন। তাঁহারা যজ্ঞকালে এই প্ৰতিজ্ঞা করিলেন যে, আমাদিগের মধ্যে যিনি শ্রম, তপ, শ্রদ্ধা, যজ্ঞ, আহতির দ্বারা যজ্ঞের ফল প্রথমে অবগত হইতে পরিবেন, তিনি আমাদিগের মধ্যে শ্ৰেষ্ঠ হইবেন। বিষ্ণ, তাহা প্রথমে পাইলেন। তিনি দেবতাদিগের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হইলেন। এক্ষণে শতপথব্রাহ্মণ হইতে উদ্ধত করিতেছি। “তদ্বিষ্ণঃ প্রথমঃ প্রাপ। সি দেবানাং শ্রোন্ঠোহভবৎ । তাসমান্দাহবিষ্ণদেবানাং শ্রেষ্ঠ ইতি। সঃ যঃ স বিষ্ণুযজ্ঞঃ সঃ। স যঃ স যজ্ঞোহসৌ স আদিত্যঃ। অৰ্থ-ইহা বিষ্ণু প্ৰথমে পাইলেন। তিনি দেবতাদিগের শ্রেষ্ঠ হইলেন। তাই বলে, বিষ্ণ দেবতাদিগের শ্রেষ্ঠ যে, সেই বিষ্ণু, যজ্ঞ সেই। যে সেই যজ্ঞ, সেই আদিত্য। পানশাচ তৈত্তিরীয়সংহিতায় “শিপিবিষ্ণায়” শব্দের এইরােপ ব্যাখ্যা আছে -“যজ্ঞো বৈ বিষ্ণুঃ পশবঃ শিপিঃ। যজ্ঞ এব। পশষ প্রতিতিস্ঠাতা।“ ভট্ট ভাস্কর মিশ্রও লিখিয়াছেন, “যজ্ঞো বৈ বিষ্ণুঃ পশবঃ শিপিারিতি শ্ৰতেঃ।” অতএব শঙ্করাচায্যের কথা ঠিক-শ্রীতিতে যজ্ঞকে বিষ্ণু বলা হইয়াছে। কিন্তু কি অর্থে ? একটা অর্থ হইতে পারে যে, বিষ্ণু যজ্ঞ, কেন না, সব্বব্যাপী । ভট্ট ভাস্কর মিশ্রও তাই বলিয়াছেন। তিনি বলেন, “বিষ্ণুঃ পশবঃ শিপিারিতি শ্ৰতে সবাবপ্রাণাদ্যন্তর্যামিত্বেন প্রবিন্সট ইত্যথাঃ ।” এই গীতার ভিতর সন্ধান করিলেই পাওয়া যাইবে “অহং ক্রতুরহং যজ্ঞঃ সর্বধাহহমহমৌষধম । মন্ত্ৰোহহমহমেবাজ্যমহামগ্নিরহং হ্যািতম৷” গীতা, ৯ অ, ১৬ ৷৷ আমি ক্রেতু, আমি যজ্ঞ, আমি সাবধা, আমি ঔষধ, আমি মন্ত্র, আমি ঘাত, আমি অগ্নি, আমি ଅ<ନୀ ।

  • SS S . S

ইহা আমি Muir সংগ্ৰহ হইতে তুলিলাম। কিন্তু একটা সন্দেহের বিষয় আছে। ady