পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब. फ्रंबन्ड् যদি তাই হয়, তবে বিষ্ণ, যজ্ঞ, কিন্তু যজ্ঞ বিষ্ণ নহে। বিষ্ণ, সব্বািময়, এজন্য তিনি মন্ত্র, তিনি ঘােত, তিনি অগ্নি; কিন্তু মন্ত্রও বিষ্ণু, নহে, ঘাতও বিষ্ণ নহে, অগ্নিও বিষ্ণ নহে। অতএব বিষ্ণ, যজ্ঞ, কিন্তু যজ্ঞ বিষ্ণ, নহে, ইহা যদি সত্য হয়, তবে শঙ্করাচায্যের ব্যাখ্যা খাটে না। যস্ত্বাত্মরতিরেব স্যাদাত্মতৃপ্তশ্চ মানবঃ। আত্মন্যেবা চ সন্তুভিটািস্তস্য কাৰ্য্যং ন বিদ্যতে৷৷ ১৭ ৷৷ মায্যের আয়াতেই বািত नि जाजूलूथु आज्ञाऊछे शिन नङ्ष्छे. उाँशल काय1 NR , Nq দ্বিবিধ মনষ্যি, এক ইন্দ্রিয়ারাম (১৫ শ্লোক দেখ), দ্বিতীয় আত্মারাম। যে আত্মজ্ঞাননিপীঠ সেই আত্মারাম ; সাংখ্যযোগ তাহারই জন্য। এই শ্লোকে তাহারই কথা হইতেছে। ইতিপবে বলা হইয়াছে যে, কেহই কৰ্ম্মম না করিয়া ক্ষণমাত্র থাকিতে পারে না। কৰ্ম্ম ব্যতীত কাহারও জীবনযাত্ৰাও নিৰ্ব্ববাহ হয় না। আবার এখন বলা যাইতেছে যে, ব্যক্তিবিশেষের কৰ্ম্ম নাই। অতএব কম বা কাৰ্য্য শব্দের বিশেষ বঝিতে হইবে। বৈদিকাদি সকাম কৰ্ম্মই এখানে অভিপ্রেত। ভাবাৰ্থ এই যে, যে আত্মতত্ত্বজ্ঞ, তাহার পক্ষে উপরিকথিত যজ্ঞাদির প্রয়োজন নাই। নৈব তস্য কৃতেনাথো নাকৃতেনেহ কশচন। ন চাস্য সব্বভুতেষা কশিচদৰ্থব্যপাশ্রয়ঃ ৷ ১৮ ৷৷ তাঁহার কম্পেমর কোন প্রযোজন নাই; এবং কৰ্ম্ম অকরণেও কোন প্রত্যবায় নাই। সব্বভূতমধ্যে কাহারও আশ্রয় ইহার প্রয়োজন নাই। ১৮ । তসন্মাদসক্তঃ সততং কায্যং কম সমাচর। অসক্তো। হ্যাচরন। পরমাপ্নোতি পরষঃ ৷ ১৯ ৷৷ অতএব সতত আসক্ত হইয়া কৰ্ত্তব্য কাৰ্য্যা সম্পাদন করবে। পরিষ আসক্ত হইয়া কম করিলে মাক্তি লাভ করে। ১৯ । ‘আসক্ত’ অর্থে আসক্তিশনা অর্থাৎ ফলকামনাশন্য। পাঠক দেখিবেন যে, ৮ম বা ৯ম শ্লোকের পর ১৮শ শ্লোক। পয্যন্ত বাদ দিয়া পড়িলে, এই ‘তসীমাং’ (অতএব) শব্দ অতিশয় সসঙ্গত হয়। মধ্যে যে কয়টি শ্লোক আছে এবং যাহাব ব্যাখ্যায় এত গোলযোগ উপস্থিত হইয়াছে, তাহার পর এই ‘তস্মাৎ’ শব্দ বড় সঙ্গত বোধ হয না। ৮ম শ্লোকে বলা হইল যে, কৰ্ম্মম না করিলে তোমার শরীর যাত্রাও নিববাহিত হইতে পারে না। ৯ম শ্লোকে বলা হইল যে, ঈশ্বর আবাধনা ভিন্ন অন্যত্র কম বন্ধনের কারণ মাত্র। অতএব তুমি অনাসক্ত হইয়া কম্পম কর অনাসক্ত হইয়া ঈশ্বর।ারাধনাথ যে কম্পমা, তাহাব দ্বারা মনীষা মাক্তি লাভ করে। ৮ম, তার পব ৯ম, তার পর ১৯শ শ্লোক পড়িলে এইরহপ সদাৰ্থ হয। মধ্যবিত্তীর্ণ নয়টি শ্লোক কিছ অসংলগ্ন বোধ হয়। মধ্যবত্তীর্ণ কয়টি শ্লোকের যে ব্যাখ্যা হয না, এমতও নহে। তাহা উপরে দেখাই যাছি। অতএব এ নয়টি শ্লোক যে প্রক্ষিপ্ত, ইহা সাহস করিয়া বলিতে পারি না। কমণৈব হি সংসিদ্ধিমাস্থিতা জনকাদয়ঃ। লোকসংগ্ৰহমেবাপি সংপশ্যন কত্ত মহাস। ২০ ৷৷ জনকাদি কমের দ্বারাই জ্ঞান লাভ করিযাছেন। তুমিও লোকসংগ্রহেব প্রতি দণ্টিপাত করিযা কম্পম কর। ২o । এই লোকসংগ্রহ’ শব্দের অর্থে ভাষ্যকারেরা বাঝেন দলেটান্তের দ্বারা লোকের ধর্মে প্রবত্তন। শ্ৰীধর সবামী বলেন যে, লোককে সবধৰ্ম্মে প্ৰবৰ্ত্তন, অর্থাৎ আমি কম্পম কবিলে সকলে কম করিবে, না করিলে অজ্ঞেরা জ্ঞানীর দলটান্তের অন্যবিত্তী হইয়া নিজ ধৰ্ম্মম পবিত্যাগপন্বেক পতিত হইবে, এই লোকরক্ষণই লোকসংগ্ৰহ। শঙ্করও এইরহপ বঝোইয়াছেন। শঙ্করাচাৰ্য্য বলেন, লোকের উন্মাগপ্রবত্তি নিবারণ লোকসংগ্ৰহ। পবশ্লোকে গীতাকার এই কথা পরিস্কার করিতেছেন। যদ যদাচরতি শ্রেদ্ঠস্তত্তদেবেতরো জনঃ । স যৎ প্রমাণং কুরতে লোকস্তদনবিত্ততে ৷৷ ২১ ৷৷ যে যে কৰ্ম্ম শ্রেষ্ঠ লোকে আচরণ করেন, ইতর লোকেও তাঁহাই কবে । তাঁহারা যাহা প্রামাণ্য বলিয়া বিবেচনা করেন, লোকে তাহারই অনবত্তীর্ণ হয়। ২১ ৷৷ C 64