পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बभ्कब ब्रष्नाबव्ी বিদ্বানেরা কৰ্ম্মে আসক্ত অজ্ঞানদিগের বদ্ধিভেদ জন্মাইবেন না। আপনারা অবহিত হইযা ও সৰ্ব্ব কৰ্ম্ম করিয়া, তাহাদিগকে কর্মে নিযক্ত করবেন। ২৬ ৷৷ যাঁহারা জ্ঞানী, তাঁহারা কম না করিলে অজ্ঞানেরা বিবেচনা করিতে পারে যে, আমাদিগেরও এই সকল কৰ্ম্ম কৰ্ত্তব্য নহে; অতএব জ্ঞানীদিগের দলটান্তদোষে অজ্ঞানদিগের এইরপ বদ্ধিভেদ জন্মিতে পারে। প্রকৃতেঃ ক্রিয়মাণানি গণৈঃ কম্পমণি সব্বশঃ। অহঙ্কারবিমঢ়াত্মা কত্তাহমিতি মন্যতে৷ ২৭ ৷৷ প্রকৃতির গণসকলের দ্বারা সব্ব প্রকার কম্পম ক্রিয়মাণ। কিন্তু যাহার বদ্ধি অহঙ্কারে বিমােন্ধ, সে আপনাকে কত্তা মনে করে । ২৭ ৷৷ তত্ত্ববিত্ত মহাবাহো গণকৰ্ম্মম বিভাগয়োঃ । গণা। গণেষ, বত্তািন্ত ইতি মত্বা ন সজ্ঞজতে৷ ২৮ ৷৷ হে মহাবাহো! গণকৰ্ম্মম বিভাগের তত্ত্ব যাঁহারা জানেন, তাঁহারা বাঝেন যে, ইন্দ্ৰিয়সকলই বিষয়ে বিত্তমান ; এ জন্য তাঁহারা কমে আসক্ত হন না। ২৮ ৷৷ যাঁহারা শরীর হইতে ভিন্ন আত্মা মানেন না, তাঁহারা উপরিব্যাখ্যাত দই শ্লোকের দাই অৰ্থ বঝিবেন না। ঐ দই শ্লোক এবং তৎপর্বে বিদ্বান এবং অবিদ্বান, জ্ঞানী অজ্ঞান ইত্যাদি শব্দ যে ব্যবহৃত হইয়াছে, সে সকল এই আত্মজ্ঞান লইয়া। যাঁহার আত্মজ্ঞান আছে অৰ্থাৎ যিনি জানেন যে, শরীর হইতে পথক অবিনাশী আত্মা আছেন, তাঁহাকেই বিদ্বান বা জ্ঞানী বলা হইতেছে। বলা হইতেছে যে, অবিদ্বান বা অজ্ঞানেরা কৰ্ম্মেম আসক্ত বা ফলকামনাবিশিষ্ট, এবং বিদ্বান জ্ঞানীরা কম্মেম অনাসক্ত বা ফলকামনাশন্য। কিন্তু এই প্রভেদ ঘটে কেন ? আত্মজ্ঞান থাকিলেই ফলকামনা পরিত্যাগ করে, এবং আত্মজ্ঞান না থাকিলেই ফলকামনাবিশিষ্ট হয়, এই প্রভেদ ঘটে কেন, তাহাই এই দই শ্লোকে বঝান হইতেছে। ইন্দ্রিয়ের যাহা ভোগ্য, তাহাকেই বিষয় বলে। কেন না, তাহাই ইন্দ্ৰিয়ের বিষয়। ইন্দ্রিয়ে ও বিষয়ে যে সংযোগ সংঘটন, তাহাই কম্পম । যােহাপ আত্মজ্ঞান নাই, যে আত্মার অস্তিত্ব অবগত নহে, সে জানে যে, ইন্দ্রিয়ে ও বিষয়ে যে সংঘটন, তাহা আমা হইতেই ঘটিল; অতএব আমিই কম্পেমর কত্তা। “আমিই কমের কত্তা”। এই বিবেচনাই অহঙ্কার। সে বঝে যে, আমি কম করিয়াছি, এ জন্য আমিই কম্পেমর ফল ভোগ করিব, তাই সে ফল কামনা করে। আর যাঁহার আত্মজ্ঞান আছে, আত্মার অস্তিত্বে বিশ্বাস আছে; ইন্দ্ৰিয়সকল আত্মার কোন অংশ নহে, ইহা যাঁহার বোধ আছে, তিনি জানেন যে, ইন্দ্ৰিয বা প্রকৃতিই কৰ্ম্ম করিল। কেন না, তদ্দ্বারাই বিষয়ের সহিত ইন্দ্রিয়ের সংযোগ সংঘটিত হইবে। আত্মা কৰ্ম্ম করেন নাই, সতরাং আত্মা তাহার ফলভোগী নহেন। আত্মাই আমি ; অতএব আমি তাহার ফলভোগ করিব না, এই বোধে, তাঁহারা ফল কামনা করেন না। অতএব আত্মতত্ত্বজ্ঞানই নিম্পাকাম কমেমরি মােল। এবং এই তত্ত্বের দ্বারা জ্ঞানযোগের এবং কমযোগের সমীচয় হইতেছে। জ্ঞান ব্যতীত কলম নিম্পাকাম হয় না, এবং নি✉কাম কম্পম ব্যতীত জ্ঞানের পরিপাক হয় না। নিম্পাকাম কৰ্ম্মম ও অভ্যন্ত না হইলে ঘটে না। আমরা পরে দেখিব যে, কথিত হইতেছে-কম্পম হইতেই জ্ঞানে আরোহণ করিতে হয়। সে কথা বলিবার কারণ এইখানে নিদিলন্ট হইল । প্রকৃতেগণসংমঢ়াঃ সজ্ঞজন্তে গণকম্পমােস। তানকৃৎল্পবিদো মন্দান কৃৎস্নবিষ বিচালিয়েৎ ৷৷ ২৯ ৷৷ যাহারা প্রকৃতির গণে বিমােঢ়, তাহারা ইন্দ্রিয়ের কম্পেম অন্যরাগব্যক্তি হয়। এই সকল মন্দবা।দ্ধি অলপজ্ঞান ব্যক্তিদিগকে জ্ঞানিগণ বিচালিত করবেন না। ২৯ । অর্থাৎ তাহাদিগকে কম্পমফলকামনা পরিত্যাগ করিতে বলিলে, তাহা তাহারা পরিবে না। তবে উপদেশ বা দশটান্তের ফলে এমত ঘটিতে পারে যে, তাহারা সকাম কৰ্ম্মম পৰ্যন্ত পরিত্যাগ করিবে। সকাম কৰ্ম্মম অভ্যস্ত না হইলে, নিন্তকাম কৰ্ম্মম সম্ভবে না; এই জন্য তাহাদিগের বদ্ধি বিচালিত করা বা বদ্ধিভেদ জন্মান নিষিদ্ধ হইতেছে। DDD DBDDD BBD DBDBBLLeBB নিরাশীনিশ্চম মো ভূত্বা যন্ধ্যসব বিগতজবরঃ ৷৷ ৩o ৷ আমাতে সমস্ত কৰ্ম্মম সমপণ করিয়া অধ্যাত্ম-জ্ঞানের দ্বারা নিসপািহ, মমতাশন্যে ও শোকশন্যে হইয়া যাদ্ধ করা। ৩o । GO