পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

הפארזל"aולפאולו$ এবং শরীরবিশিষ্ট ঈশ্বরের জ্ঞানে কোনও ফলোদয় নাই, তাঁহার উপাসনায় মাক্তির সম্ভাবনা নাই ? এই শ্লোকে সে সংশয় নিরাকৃত হইতেছে। অবতীর্ণ এবং শরীরী ঈশ্বরের দিব্য জন্ম কলম তত্ত্বতঃ জানিলেও মাক্তিলাভ হইতে পারে। কিন্তু তত্ত্বতঃ জানিতে হইবে। যাহাকে তাহাকে ঈশ্বরের অবতার বলিয়া জানিলে সে লাভ নাই। বীতরাগভয়ক্ৰোধা মন্ময়া মামাপাশ্রিতাঃ। বহবো জ্ঞানতপসা পতা মদ্ভাবমাগতাঃ।। ১০ ৷৷ বীতরাগভয়ক্ৰোধ, মন্ময়, আমাতে উপাশ্রিত, জ্ঞানতপস্যার দ্বারা পতে অনেকে মদ্ভাবগত হইয়াছে। ১o । প্রথমে কথার অর্থ। রাগ-অনরোগ। মন্ময়-ব্রহ্মবিৎ, ঈশ্বরভেদজ্ঞানরহিত । আমাতে উপাশ্রিত। শঙ্কর বলেন, কেবল জ্ঞাননিষ্ঠ ; শ্ৰীধর বলেন, মৎপ্রসাদলব্ধ মদ্ভাবগত ঈশ্বরভাবগত, মোক্ষাপ্রাপ্ত। ভাষ্যকারেরা বলেন যে, এ কথা এখানে বলিবার কারণ এই যে, আমাতে ভক্তিবাদ এই নাতন প্রচারিত হইতেছে না। পকেবও অনেকে ঈদশ জ্ঞানতপের দ্বারা মোক্ষলাভ করিয়াছেন। তাহাই বটে, কিন্তু বেশীর ভাগ এইটকু বঝা কৰ্ত্তব্য যে, যাঁহাবা আদশ কৰ্ম্মমীর কম্পেমার মৰ্ম্ম বঝিয়া কৰ্ম্মম করিয়াছেন, তাঁহাদেরই কথা হইতেছে। পরবত্তী পঞ্চদশ শ্লোক পাঠ করিলেই ইহা বঝা যাইবে । ইহা বঝিতে না পারিলে কলমযোগেব। সঙ্গে এই সকল কথার কোনও সম্প্ৰবন্ধ দেখিতে পাওয়া যাইবে না। নিস্কাম কম্পেমর পক্ষে রাগভয়ক্ৰোধ থাকিবে না, ঈশ্বরে অভেদ জ্ঞান থাকিবে, এবং জ্ঞান Di BB SHLLLaL LLLSS SDBB BBB BBB SBBB S BB DBB BB BBS নিন্দকাম হইবে না। সকলেই নিশুকামকামী হইতে পারে না। যাহারা সকাম কৰ্ম্মম করে, তাহদের কম্পের্মর কি কোন ফল নাই ? ঈশ্বর সকল কম্পেমর ফলবিধাতা। ইহা পরবত্তীর্ণ দই শ্লোকে কথিত হইতেছে। -- যে যথা মাং প্ৰপদ্যন্তে তাংস্তথৈব ভজাম্যহম। মম বৰ্ম্মানবেত্তন্তে মনষ্যাঃ পাৰ্থ সব্বশীঃ ৷৷ ১১ ৷৷ যে আমাকে যে ভাবে উপাসনা করে, আমি তাহাকে সেই ভাবেই তুষ্ট বারি। মনষ্যে সবাবপ্রকারে আমার পথের অন্যবিত্তীর্ণ হয়। ১১। অগ্রে প্রথম চরণ বাবা যাউক। অজ্ঞজনে বলিতে পারেন, “প্ৰভো! আসল কথাটা কি, তা ত এখনও বাবাও নাই। নিঅকাম কলেমাই তোমাকে পাইব, আর সকাম কম্পেম কিছ পাইব না কি ? সেগলো কি পন্ডশ্রম ?” ভগবান এই সংশয়চ্ছেদ করিতেছেন। সকলেই একই প্রকার চিত্তভাবেবী অধীন হইয়া আমার উপাসনা করে না। যে যে-ভাবে আমার উপাসনা করে। তাহাকে সেইরাপ ফল দান করি। যে যাহা কামনা করিয়া আমার উপাসনা করে, তাহার সেই কামনা পণ করি। যে কোনও কামনা করে না,-অর্থাৎ যে নি✉কাম, সে আমায় পায়। কামনাভাবে তাহার কামনা পণ হয় না, কিন্তু সে আমায় পায়। তার পর দ্বিতীয় চরণ। “মনষ্য সব প্রকারে আমার পথের অন্যবিত্তীর্ণ হয়৷ ” এ কথার অর্থ সহসা এই বোধ হয় যে, “আমি যে পথে চলি, মানষি সবাবপ্রকারে সেই পথে চলে।” এখানে সে অথর্ণ নহে-গীতাকারের ‘Idiom” ঠিক আমাদের'Idiom’ সঙ্গে মিলিবে, এমন প্রত্যাশা করা যায় না। এ চরণের অর্থ এই যে, “উপাসনার বিষয়ে মনীষা যে পথই অবলম্বন করােক না, আমি যে পথে আছি, সেই পথেই মানষকে আসিতে হইবে।” “মানষে যে-দেবতারই পজা। করােক না কেন সে আমারই পজা করা হইবে; কেন না, এক ভিন্ন দেবতা নাই। আমিই সব্বদেব-অন্য দেবের পাজার ফল আমিই কামনানরাপ দিই। এমন কি, যদি মানষে দেবোপাসনা না করিয়া কেবল ইন্দুিয়াদির সেবা করে, তবে সেও আমার সেবা। কেন না, জগতে আমি ছাড়া কিছ নাই—ইন্দ্রিয়াদিও আমি, আমিই ইন্দ্রিয়াদিস বরাপে ইন্দুিয়াদির ফল দিই। ইহা BDB DD DBB BDB DBDS BB BD BBD D BBDS BB BDD DDD DDBD S পথিবীর বহবিধ উপাসনাপদ্ধতি প্রচলিত আছে। কেহ নিরাকারের, কেহ সাকারের উপাসনা করেন। কেহ একমাত্র জগদীশ্বরের, কেহ বহা দেবতার উপাসনা করেন; কোনও জাতি ভূতযোনির, কোনও জাতি বা পিতৃলোকের, কেহ সজীবের, কেহ নিজীবের, কেহ মনষ্যের, Գ \9ֆ * ミー8ぬ