পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

८नबङख्नु ७ छिन्नथन्ध-टबन এ কথা অনেকেই স্বীকার করবেন না। এমন কথা শানিলে অনেকে কানে আঙ্গল দিবেন। এ সম্প্রদায়ের জন্য আমরা লিখিতেছি না। তাঁহাদের যা হােক, একটা ধৰ্ম্ম অবলম্বন আছে। যাঁহারা হিন্দী ধৰ্ম্মে আস্থাশন্য হইয়াছেন, অথচ অন্য কোন ধৰ্ম্ম গ্রহণ করেন নাই, তাঁহাদের জন্যই । তাহারা অস্বীকার করবেন না। আর একটি গোলযোগ এই যে, হিন্দীশাস্ত্রের কোন কথা সত্য, কোন কথা মিথ্যা, ইহায় মীমাংসা কে করিবে ? কোনটিকু ধৰ্ম্ম, কোনটুকু ধৰ্ম্ম নয় ? কোনটিকু সার, কোনটি কু অসার ? উত্তর, আপনাদেরই তাহার মীমাংসা করিতে হইবে। সত্যের লক্ষণ আছে। যেখানে সেই লক্ষণ দেখিব, সেইখানেই ধৰ্ম্ম বলিয়া স্বীকার করিব। যাহাতে সে লক্ষণ না দেখিব, তাহ। পরিত্যাগ করিব। অতএব প্রকৃত হিন্দধৰ্ম্ম নিরাপণ পক্ষে, আগে দেখিতে হইবে, হিন্দীশাস্ত্রে कि कि उा(छ। কিন্তু হিন্দীশাস্ত্র অগাধ সমদ্র। তাহার যথোচিত অধ্যয়নের অবসর অলপ লোকেরই আছে। কিন্তু সকলে পরস্পরের সাহায্য করিলে, সকলেরই কিছ কিছর উপকার হইতে পারে। আমবা সে বিষয়ে যথাসাধ্য যত্ন করিব।--“প্রচার, ১ম বর্ষ, প, ১৫-২৩ ৷৷ ८न्म বেদ, হিন্দীশাস্ত্রের শিরোভাগে। ইহাই সৰ্ব্বাপেক্ষা প্রাচীন এবং আর সকল শাস্ত্রের আকর বলিয়া প্ৰসিদ্ধ। অন্য শাস্ত্ৰে যাহা বেদাতিরিক্ত আছে, তাহা বেদমলেক বলিয়া চলিয়া যায়। যাহা বেদে নাই বা বেদবিরাদ্ধ, তাহাও বেদের দোহাই দিয়া পাচার হয়। অতএব, আগে বেদের কিছ পরিচয় দিব। সকলেই জানেন, বেদ চারিটি-ঋক, যজঃ, সাম, অথব্ব । অনেক প্রাচীন গ্রন্থে দেখা যায় যে, বেদ তিনটি-ঋক, যজ”, সান। অথবব সে সকল স্থানে গণিত হয় নাই। অথর্ব লেদ অন্য তিন বেদের পর সঙ্কলিত হইয়াছিল কি না, সে বিচারে আমাদের কিছমাত্র প্রয়োজন নাই । কিম্বদন্তী আছে যে, মহর্ষি কৃষ্ণদ্বৈপায়ন ব্যাস, বেদকে এই চারি ভাগে বিভক্ত করেন। ইহাতে বাবা যায় যে, আগে চারি বেদ ছিল না, এক বেদই ছিল। বাস্তবিক দেখা যায় যে, ঋগোিবদের অনেক শ্লোকাদ্ধা যজকেবাদে ও সামবেদে পাওয়া যায়। অতএব এক সামগ্রী চারি ভাগ হইয়াছে ইহা বিবেচনা করিবার যথেস্ট কারণ আছে। যখন বলি, ঋক একটি বেদ, যজঃ একটি বেদ, তখন এমন বঝিতে হইবে না যে, ঋগোিবদ একখানি বই বা যজকেবােদ একখানি বই। ফলতঃ এক একখানি বেদ লইয়া এক একটি ক্ষদ্র লাইব্রেরী সাজান যায়। এক একখানি বেদের ভিতর অনেকগলি গ্রন্থ আছে। একখানি বেদের তিনটি করিয়া অংশ আছে, মন্ত্র, ব্রাহ্মণ, উপনিষৎ । মন্ত্রগলির সংগ্রহকে সংহিতা বলে, যথা—ঋগোিবদসংহিতা, যজীব্বোদসংহিতা। সংহিতা, সকল বেদের এক একখানি, কিন্তু ব্ৰাহ্মণ ও উপনিষৎ অনেক। যজ্ঞের নিমিত্ত বিনিয়োগাদি সহিত মন্ত্ৰসকলের ব্যাখ্যা সহিত গদ্যগ্রন্থের নাম ব্ৰাহ্মণ। ব্ৰহ্মপ্রতিপাদক অংশের নাম উপনিষৎ। আবার আরণ্যক নামে কতকগালি গ্রন্থ বেদের অংশ। এই উপনিষদই ১০৮ খানি। বেদ কে প্রণয়ন করিল ? এ বিষয়ে হিন্দীদিগের মধ্যে অনেক মতভেদ আছে। এক মত এই যে, ইহা কেহই প্রণয়ন করে নাই। বেদ অপৌরষেয় এবং চিরকালই আছে। কতকগলি কথা আপনা হইতে চিরকাল আছে। মনষ্যে হইবার আগে, সল্টি হইবার আগে হইতে, মনীষা-ভাষায় সঙ্কলিত কতকগলি গদ্য পদ্য আপনা হইতে চিরকাল আছে; অধিকাংশ পাঠকই এ মত গ্রহণ করবেন না, বোধ হয়। আর এক মত এই যে, বেদ ঈশ্বর-প্রণীত। ঈশ্বর বসিয়া বসিয়া অগ্নিস্তব ও ইন্দ্রস্তব ও নদীস্তব ও অশ্বমেধ যজ্ঞ প্রভৃতির বিবিধ রচনা করিষাছেন, ইহাও বোধ হস পাঠকের মধ্যে অনেকেই বিশ্বাস না করিতে পারেন। বেদের উৎপত্তি সম্পবন্ধে আরও অনেক মত আছে, সে সকল সবিস্তারে সঙ্কলিত করিবার প্রয়োজন নাই। বেদ যে মনষ্যে-প্রণীত, তাহা বেদের আর কিছ পরিচয় পাইলেই, বোধ হয় পাঠকেরা আপনারাই সিদ্ধান্ত করিতে পরিবেন। তাঁহারা আপন আপন বদ্ধিমত মীমাংসা করেন, ইহাই আমাদের অন্যুরোধ। CRCRS)