পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবতত্ত্ব ও হিন্দযন্ম-বেদ অনেকে কিছতেই সত্বীকার করবেন না। যদি কেহ বিশ্বাস করিতে চান যে, যখন লিপিবিদ্যাব সন্টি হয় নাই তখন মন্ত্ৰসকল মাত্তি ধারণ করিয়া ঋষিদিগের সম্মখে আবিভূতি হইয়াছিল, তবে তিনি স্বচ্ছন্দে বিশ্বাস করন, আমরা আপত্তি বরিব না। আমরা কেবল ইহাই বলিতে চাই যে, বেদেই অনেক স্থলে আছে যে, মন্ত্ৰসকল ঋষিপ্রণীত, ঋষিদষ্ট নাহে। আমরা ই হ'র অনেক উদাহরণ দিতে পারি, কিন্তু অপর সাধারণের পাঠ্য প্রচারে এরপে উদাহরণে এ স্থান হহঁ৩ে পারে না। এক্ষণে ইহা বলিলেই যথেষ্ট হইবে যে, এমন অনেক সক্তি আছে যে, তাহাতে ঋষিরাই বলিয়াছেন যে, আমরা মন্ত্র করিষাছি, গড়িয়াছি, সম্প্রস্ট করিয়াছি বা জন্ম। ইয়াছি। সে যাহাই হউক, ইহা স্থির যে, ঋষি অৰ্থে আদৌ তপোবলিবিশিষ্ট মহাপরাধ নহৈ, সমুণ্ডের বক্তা মাত্র । এই প্রথম সক্তের ঋষি মধ্যচ্ছন্দা। তার পর দেবতা অগ্নি। সত্তের দেবতা কি যেমন ঋষি শব্দের আলোচনায় তাহার লৌকিক অৰ্থ উড়িয়া গেল। তেমনি দেবতা শব্দের আলোচনায়, ঐরােপ দেবতার লৌকিক অৰ্থ উড়িয়া যায়। নিরক্তকার বলেন যে, “যস্য বাক্য সি ঋষিঃ যা তেনোচ্যতে সা দেবতা” অর্থাৎ সক্তে যাহার কথা থাকে, সেই সে সওে মৈ দেখ৩া। অর্থাৎ সক্তের যা “Subject" vič Си-|Ј. ইহাতে অনেকে এমন কথা বলিতে পারেন, এক্ষণে যাহাদিগকে দেবতা বলি, অর্থাৎ হন্দ্রাদি সক্ত সকলে তাঁহারাই স্কুত হইয়াছেন, অতএব এখন যে অর্থে তাঁহারা দেবতা, সেই অথেই তাঁহারা বেদমন্ত্রে দেবতা। এরপ আপত্তি যে হইতে পারে না, তাহার প্রমাণ দানিস্তৃতিসকল । কতকগালি সত্তে আছে, সেগালিকে দানাদ্ভূতি বলে। তাঁহাতে কোন দেবতারই প্রশংসা নাই, কেবল দানেরই প্রশংসা আছে। অতএব ঐ সকল সক্তের দানাই দেবতা। ইহা অনেকে জিজ্ঞাসা করিতে পারেন, যদি দেবতা শব্দের অর্থ সত্তের বিষয় (subject), তবে দেবতােব আধনিক অর্থ আসিল কোথা হইতে ? এ তত্ত্ব যঝিবার জন্য দেবতা শব্দটি একটি তলাইয়া বঝি৩ে হইবে। নিরক্তকার যাসীক বলিয়াছেন, “যো দেবঃ সা দেবতা” যাহাকে দেব বলে, তাহাকেই দেবতা বলা যায়। এই দেব শব্দের উৎপত্তি দেখ। দিব ধাতু হইতে দেব। দিব দীপনে ব। দ্যোতনে। যাহা উক্তজবল, তাহাঁই দেব। আকাশ, সােয্য, অগ্নি, চন্দ্র প্রভৃতি উক্তজবল, এই জন্য এ সকল আদৌ দেব। এ সকল মহিমাময় বস্তু, এই জন্য আদৌ ইহাদের প্রশংসায় স্তোত্র, অর্থাৎ সত্তে রচিত হইয়াছিল। কালে যাহার প্রশংসায় সক্তি রচিত হইতে লাগিল তাঁহাই দেব হইল। পডজন্য যিনি বলিট করেন। তিনি উক্তজবল নহেন, তিনিও দেব হইলেন। ইন্দ ধাতু বর্ষণে । সংস্কৃতে একটি র প্রত্যয় আছে। রদ ধাতুর পর র করিয়া রদ্র হয়, অস, ধাতুর পর র করিয়া অসার হয়। ইন্দ ধাতুর পর র করিয়া ইন্দ্র হয়। অতএব যিনি বান্টি করেন, তিনিই ইন্দ্র । যিনি বলিট করেন। তাঁহাকে উক্তজবল বলিয়া মনে কলপনা করিতে পারি না, কিন্তু তিনি ক্ষমতাবান -বন্টি না হইলে শস্য হয় না, শস্য না হইলে লোকের প্রাণ বাঁচে না। কাজেই তিনিও বৈদিক সক্তে স্থূত হইলেন। বৈদিক সক্তে স্তৃত হইলেন বলিয়াই তিনি দেবতা হইলেন। এ সকল কথার সবিস্তার প্রমাণ ক্রমে পাওয়া যাইবে। “ঋষিমধ্যচ্ছন্দা। অগ্নিদেবতা। গায়ত্ৰীচ্ছন্দঃ।” ছন্দ বঝিতে কাহারও দেরী হইবে না। কেন না, ছন্দ ইংরাজি বাঙ্গালাতে আছে। ঋক গলি পদ্য, কাজেই ছন্দে বিন্যস্ত। “যদক্ষব পরিমাণং তচ্ছন্দঃ ।” অক্ষর পরিমাণকে ছন্দ বলে। চৌদ্দ অক্ষরে পয়ার হয পযার একটি ছন্দ। আমাদের যেমন পয়ার, ত্রিপদী, চতুষ্পদী, নানা রকম ছন্দ আছে বেদেও তেমনি গাধত্রী অনন্টভ, ত্রিস্টভ, বহতী, পংক্তি প্রভৃতি নানাবিধ ছন্দ আছে। যে সক্তে যে ছন্দে রচিত,- আমরা যাহাকে “হেডিং” বলিয়াছি, তাহাতে দেবতা ও ঋষির পর ছন্দের নাম কথিত থাকে। যাঁহারা মাইকেল দত্ত ও হেমচন্দ্রের পক্বীকার কবিদিগের কাব্য পড়িযছেন তাঁহারা জানেন যে, এ প্রথা বাঙ্গালা রচনাতেও ছিল। আগে বিষয় অর্থাৎ দেবতা লিখিত হইত, যথা—“গণেশ-বিন্দনা !” তাহার পর ছন্দ লিখিত হইত, যথা “ত্রিপদী ছন্দ” বা “পয়ার।” শেষে ঋষি লিখিত হইত, যথা“কাশীরাম দাস কহে|” কি “কহে রায় গণিাকর।” ইংরাজিতেও দেবতা ও ঋষি লিখিতে হয়: grf saisev 3. ri rot, ie Profundis (KV Alfred Tenny6on eris | ঋষি দেবতা ও ছন্দের পর বিনিয়োগ। যে কাজের জন্য সত্তেটির প্রয়োজন, অথবা যে কাজে উহা ব্যবহার হইবে, তাহাই বিনিয়োগ। যথা, অগ্নিটােমে বিনিয়োগঃ অর্থাৎ অগ্নিস্টেম যজ্ঞে C S