পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ৰঙ্কিম রচনাবলী ইহার নিয়োগ বা ব্যবহার। অতএব ইংরাজিতে ব্যবইতে হইলে বঝাইব যে, ঋষি (author) (t\ot (subject) get (metre) frCraf (use). এক্ষণে আমরা ঋকটি উদ্ধত করিতে পারি। “অগ্নিমীলে পরোহিতং যজ্ঞস্য দেবমাত্বিজম। হোতােরং রত্নধ্যতমম৷” ‘ঈলে’ কি না। স্তব করি। “অগ্নিমীলে’ কি না। অগ্নিকে স্তব করি। এ ঋকের এইটিই আসল কথা। “অগ্নিাং” কম “ঈলে।” ক্রিয়া। আর যতগলি কথা আছে, সব অগ্নির বিশেষণ। সেগলি ? পরে বাবাইব । আগে অগ্নি শব্দটি বাঝাই। বেদের টীকাকার সায়নাচায্য বলেন, অগ্নি অগ ধাতু হইতে হইয়াছে, “অগ। কম্পনে।" বাচস্পত্য অভিধানে লেখে, “অগ। বক্রগতেী” কিন্তু ইহার আরও অনেক ব্যাখ্যা আছে। সে সকল উদ্ধত করিয়া পাঠককে পীড়িত করিব না। কিন্তু তাহার মধ্যে একটি ব্যাখ্যা অনেক কাজ করিয়াছে। নিরক্তে সেটি পাওয়া যায়। “অগ্র” শব্দ পাকবািক “নী” ধাতুর পর ইন প্রত্যয় কর, তাহা হইলে অগ্রণী হইবে। নিরক্তকার বলেন, ইহাতে “অগ্নি” শব্দ নিম্পন্ন হইবে। যাহা অগ্ৰে নদীয়মান। এখন যজ্ঞ করিতে গেলে হোম চাই। হোমে অগ্নিতে আহতি দিতে হয়। নাহিলে দেবতারা পান না। এই জন্য যাহা প্রথমে যজ্ঞে নীয়মান তাহাই অগ্নি। এই ব্যাখ্যাটি পরিশদ্ধ বলিয়া কোন মতে গহীত হইতে পারে না। কেন না, অগ্নি এই নাম অন্যান্য আয্যজাতির মধ্যে দেখা যায়। যথা Latin ignois Slav Ogma তবে নিরক্তকারের জন্যই হউক আর যে জন্যই হউক, ব্যাখ্যাটা চলিয়াছিল, চলিয়া দেবগঠনে লাগিয়াছিল, তাই ইহার কথা বলিলাম।—কাজেই যদি অগ্রপািৰবাক নদী ধাতু হইতে অগ্নি হইল, তবে অগ্নি দেবতাদিগের অগ্রণী হইলেন, যদি অগ্রণী হইলেন, তবেই তিনি দেবতাদের প্রধান, আগে যান। এ কথাও উঠিল। বহাবক মন্ত্রভাগে আছে-“অগ্নিমখং দেবতানাম।" অগ্নি দেবতাদিগের প্রথম ও মািখবরাপ। আর “অগ্নিবৈ দেবানামবমঃ” দেবতাদিগের মধ্যে অগ্নিই মাখ্য। এইরপ কথা হইতে হইতেই কথা উঠিল, “অগ্নিবৈ দেবানাং সেনানী” অর্থাৎ অগ্নি দেবতাদিগের সেনানী। সেনানী কি না সেনাপতি । তারপর এক রহস্য আছে।-আমাদিগের বিত্তমান হিন্দীশাস্ত্রে অর্থাৎ পৌরাণিক হিন্দয়ানিতে দেবতাদিগের সেনাপতি কে ? পরোণেতিহাসে কাহাকে দেবসেনানী বলে ১ কুমার, কাত্তিকেয়, সকন্দ, ইনিই এখন দেবসেনানী। শেষ প্রচলিত মত এই যে, কাত্তিকেয়, মহাদেব অর্থাৎ রাদ্রের পত্র। যখন এই মত প্রচলিত হইয়াছে, তখন অগ্নি রাদ্রে মিশিয়া গিয়াছে। অগ্নির সঙ্গে রদ্রের কি সম্প্ৰবন্ধ তাহা আমরা ক্রমে পরে দেখাইব, কিন্তু অতি প্রাচীন ইতিহাসে, যখন অগ্নি রদ্র হন নাই, তখন কাত্তিকেয় অগ্নির পত্র। যাঁহারা এ তত্ত্বের বিশেষ প্রমাণ খজেন, তাঁহারা মহাভারতের বনপর্কেবার মাকন্ডেয় সমস্যা পাকবাধ্যায়ের ১১২ অধ্যায়ে এবং তৎপরবত্তীৰ্ণ অধ্যায়গালিতে দেখিতে পাইবেন। “আত্মা বৈ জায়তে পােত্রঃ"। অগ্নির দেব-সেনানী, শেষ দাঁড়াইল, অগ্নির ছেলে দেব-সেনানী। কুমার রদ্রজ, অতএব শেষ মহাদেবের পত্র। “অগ্নিমীলে পরোহিতং যজ্ঞস্য দেবমাত্বিজম। হোতারং রত্নধাতমম৷” “অগ্নিমীলে”। অগ্নিকে স্তব করি। অগ্নি কি রােপ তাহা বলা হইতেছে। “পরোহিতং”। অগ্নি পরোহিত। অগ্নি হেমিকায্য সম্পন্ন করেন, এই জন্য অগ্নিকে পরোহিত বলা যাইতেছে। ঋগোিবন্দ-সংহিতায় অগ্নিকে পািনঃ পািনঃ পরোহিত বলা হইয়াছে। বেদব্যাখ্যায় পাঠক মহাশয়েরা যদি একটখানি ব্যঙ্গ মাতজনা করিতে পারিতেন, তাহা হইলে আমরা বলিতাম যে, আধনিক পরোহিত্যাদিগের সঙ্গে অগ্নির বিলক্ষণ সাদশ্যে আছে; যজ্ঞীয় দ্রব্য উভয়েই উত্তমরাপে সংহার করেন । “যজ্ঞস্য দেবং”। অগ্নি যজ্ঞের দেব। পাঠকের সমরণ থাকিতে পারে আমরা বলিয়াছিদিব্য ধাতু দীপনে বা দ্যোতনে। “যজ্ঞস্য দেবং” যিনি যজ্ঞে দীপ্যমান। “ঋত্বিজং। ঋত্বিক বলে যাজককে। তখনকার এক একটি বৈদিক যজ্ঞে ষোল জন করিয়া ԳԵՀ