পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিম রচনাবলী এক্ষণে, আগে আদিত্যাদিগের কথা কিছ: বলিব। আদিত্য শব্দে এখন সচরাচর সােয্য বাঝায়। দ্বাদশ আদিত্য বলিলে অনেকেই বারটি সােয্য বাঝেন। অনেক পন্ডিত আবার এই ব্যাখ্যা করেন যে, দ্বাদশ আদিত্য অর্থে বারটি মাস বঝিতে হইবে। পক্ষান্তরে আদিত্য সকল দেবতাদিগের সাধারণ নাম, এরপ প্রয়োগও আছে। যাঁহারা অমরকোষের ছাত্র দই চারি পড়িয়াছেন, তাঁহারাও জানেন যে, “দেব” ইহার প্রতিশব্দ মধ্যে “আদিতেয়া” শব্দটি ধরা হইয়াছে। আদিতেয়, আদিত্য, একই। এরপ গন্ডগোল কেন ? দেখা যাউক আদিত্য শব্দের প্রকৃত অৰ্থ কি ? দিত ধাতু বন্ধনে বা খণডনে বা ছেদনে। দিতি, যাহার বন্ধন নাই, সীমা আছে, খন্ডিত বা ছিল। অদিতি, যাহার বন্ধন নাই, অখন্ড, অচ্ছিন্ন, সীমা নাই, যে অনন্ত ; The Infinite. এই জড় জগৎ সােয্য, চন্দ্র, আকাশ, মেঘ, সবই সেই অখন্ড বা অনন্ত হইতে উৎপন্ন। পঝেব। বাঝাইয়াছি, যাহা উক্তজবল, তাহাঁই দেব, সৰ্য্যোদি রাশিমময় পদাৰ্থ দেব। তাহারা অনন্ত হইতে উৎপন্ন ; অদিতি অনন্ত, তাই অদিতি দেবমাতা; দেবতারা আদিত্য। কিন্তু সকল দেবতার মাতা ষে অদিতি, ঠিক এ কথা বেদে পাওয়া যায় না। এ কথা পৌরাণিক ও ঐতিহাসিক। পরাণেতিহাসেই বেদে অঙ্কুরিত যে হিন্দধাম, তাহাই সক্ষপণতা প্রাপ্ত হইযাছিল। এখনকার সাহেবদিগের এবং সাহেব শিষ্যদিগের মত এই যে, পরাণ ইতিহাস কেবল মােখাতা, এবং ঔপধাৰ্ম্মিকতা, ভান্ডামি এবং নন্টামি। বাস্তবিক বৈদিক ধৰ্ম্মম অপেক্ষা পৌরাণিক ধৰ্ম্মম অণ্ডকুরের অপেক্ষা বক্ষের ন্যায় শ্রেষ্ঠ। তবে বক্ষটিতে এখন অনেক বানরের বাসা হইযাছে বটে। ভরসা। আছে, সময়ান্তরে সে কথা বঝাইব । এক্ষণে কথাটা যাহা বলিতেছি, তাহা এই :-পৌরাণিকেরা বঝিয়াছিল যে, এই অনন্ত-অনন্ত কাল ও অনন্ত স্থিতি, অনন্ত জড়পরম্পরা, অনন্ত জীবপরম্পরা -qă eff5: (The Infinite în time, space and existence) &ă sisterife সব্বপ্রসতি বলিয়া যাহা তেজঃপঞ্জ, যাহা সন্দর, যাহা দীপ্তিমান, যাহা মহৎ, যাহা বলবানআকাশ চন্দ্র সােয্য বরণ মরং পডজন্য, সকলেরই প্রসতি। তাই অদিতি দেবমাতা। কিন্তু ঋগ্বেদে অদিতির একটা বিস্তার নাই। ঋগ্বেদে অদিতি অনন্ত বটে, কিন্তু সে অনন্ত আকাশ। আকাশ অনন্ত, আকাশ অদিতি। তাই বেদে অদিতি কেবল সয্যাদি আদিত্যদিগের মাতা। অদিতি যে আকাশ, তাহা বেদের অনেক স্থানেই লেখা আছে :-যথা ঋগোিবদের ১০ম মন্ডলের ৬৩ সাক্তের ৩ ঋকে “যেভ্যো মাতা মধ্যমৎ পিন্বতে পয়ঃ পীযষং দ্যৌরদিতিরদ্রিবহাঃ”- ইত্যাদি । এখানে অদিতির বিশেষণ “দৌঃ” শবদ । দেীঃ শবেদ আকাশ * অদিতি একটি প্রধান বৈদিকী দেবী। ইহা বলিয়াছি; কিন্তু দেখিতেছি। ইনি আকাশ মাত্র। ইহাকে আকাশ-দেবতা বলা যাইতে পারে। বেদের যে সকল দেবতার নাম করিয়াছি, তাহদের মধ্যে আরও আকাশ-দেবতা পাইব । বাস্তবিক ঋগোিবদের দেবতারা, হয়, (১) আকাশ, যথা, অদিতি, দৌস, বরণ (ইনি আদৌ জলেশ্বর নহেন), ইন্দ্র, পডজন্য। (২) নয়, সায্য দেবতা, যথা, সােয্য, মিত্র, সবিতা, পাষা, বিষ্ণু। (৩) নয়, অগ্নি দেবতা, যথা, অগ্নি, বহিস্পতি, ব্ৰহ্মণস্পতি, রািদ। (8) ধা আলোক দেবতা, যথা, সোম, উষা, অশ্বীদ্বয়। (c) যথা, বায়, মরদেহগণ । (V) 4. যথা, প্রজাপতি, হিরণ্যগভ, পরিষ, বিশ্বকমামা। (৭) ত্বন্টা, যম প্রভৃতি দই চারিটি মাত্র এই শ্রেণীর বাহিরে। —“প্রচার, ১ম বিষ, প, ১২৪-২৮ { s ခို့နှီ

  • শতপথব্রাহ্মণে আছে “ইয়ং বৈ পথিবী অদিতিঃ”, এখানে যদিও পথিবীকে অদিতি বলা হইয়াছে, সে অনম্ভাথে। অথব্ব বেদে পথিবী হইতে অদিতির প্রভেদ করা হইয়াছে। যথা, “ভূমিমাতা অদিতিনো জনিত্ৰং ভ্রাতান্তরীক্ষম।” এখানে তিন লোক গণা হইল। এখানেও অদিতি পন্টই ख्याकाभ ।

qክዖዪ፡