পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবতত্ত্ব ও হিন্দধৰ্ম্ম-কোন পথে যাইতেছি? অনব্বর। ইন্দ্র বর্ষণ করিয়া সেই কঠিন ভূমিকে কোমল করেন-জীৰ্ণ করেন, এই জন্য ইন্দ্র অহল্যা-জার। জন্ধোতু হইতে জার শব্দ নিম্পন্ন হয়। বান্টির দ্বারা ইন্দ্ৰ তাহাতে প্রবেশ করেন, এই জন্য তিনি অহল্যাতে অভিগমন করেন। কুমারিলভট্ট এ উপন্যাসের আর একটি ব্যাখ্যা দিয়াছেন তাহা নোটো উদ্ধত করিলাম। উপরি-কথিত ব্যাখ্যাগলির জন্য লেখক নিজে দায়ী। এখন বোধ হয় পাঠক কতক কতক বঝিয়া থাকিবেন যে, হিন্দধমের ইন্দ্রাদি দেবতা কোথা হইতে আসিয়াছেন এবং পরাণেতিহাসের উপাখ্যান সকলই বা কোথা হইতে আসিয়াছে। বেদের অন্যান্য দেবতা সম্পবন্ধেও আমরা কিছ কিছ বলিব। এখন জিজ্ঞাস্য এই যে, এই ইন্দ্রকে পজা না করিব কেন ? ইনি অচেতন, বষণকারী আকাশ মাত্র, কিন্তু ইহাতে কি জগদীশ্বরের শক্তি, মহিমা, দয়ার আশ্চৰ্য্য পরিচয় পাই না ? যদি আমি আকাশ সচেতন, স্বয়ং সখদঃখের বিধানকাত্তা বলিয়া, তাঁহার উপাসনা করি, যদি তাই ভাবিয়া, তাঁহার কাছে প্রার্থনা করি যে, হে ইন্দ্র! ধন দাও, গোর দাও, ভাৰ্য্যা দাও, শত্রসংহার কর, তবে আমার উপাসনা, দহ্মিন্ট, অলীক, উপধৰ্ম্মম মাত্র। কিন্তু যদি আমার মনে থাকে যে, এই আকাশ নিজে অচেতন বটে, কিন্তু জগদীশ্বরের বর্ষণ-শক্তির বিকাশস্থল; যে অনন্ত কারণ্যের গণে পথিবী বলিষ্ট পাইয়া শীতলা, জলশালিনী, শস্যশালিনী, জীবাশালিনী হয়, পজা করা হইল। ঈশ্বরকে আমরা দেখিতে পাই না; তবে তাঁহাকে আমরা জানিতে পারি কিসে? তাঁহার কায্য দেখিয়া, তাঁহার শক্তি ও দয়ার পরিচয় পাইয়া। যেখানে সে শক্তি দেখিব, সে পরিচয। পাইব, সেইখানে তাঁহার উপাসনা করিব, নাহিলে তাঁহার প্রতি আন্তরিক ভক্তির সম্পণে সাফাত্তি হইবে না। আর যদি চিত্তরঞ্জিনী বত্তিগলির সাফাত্তি সখের হয়, তবে জগতে যাহা মহৎ, যাহা সন্দর, যাহা শক্তিমান, তাহার উপাসনা করিতে হয়। যদি এ সকলের প্রতি ভক্তিমান না হইব, তবে চিত্তরঞ্জিনী ব্যক্তিগলি লইযা কি করিব ? এ উপাসনা ভিন্ন হৃদয় মরভূমি হইয়া যাইবে। এগলি বাদ দিয়া যে ঈশ্বরোপাসনা, সে পত্ৰহীন বক্ষের ন্যান্য অঙ্গহীন উপাসনা। হিন্দধৰ্ম্মে এ উপাসনা আছে। ইহা হিন্দধমের শ্রেষ্ঠতার লক্ষণ। তবে দভাগ্যবশতঃ ক্ৰমে হিন্দধমের বিকৃতি হইয়াছে, ইন্দ্ৰ যে বর্ষণকারী আকাশ, তাহা ভুলিয়া গিয়া তাঁহাকে স্বয়ং সখদঃখের বিধাতা, অথচ ইন্দ্ৰিয়াপরবশ, কুকৰ্ম্মমশালী, সবগ স্থ একটা জীবে পরিণত করিয়াছি। হিন্দধমের সেইটকু এখন বাদ দিতে হইবে।--হিন্দধমে যে একমাত্র ঈশ্বর ভিন্ন দেবতা নাই, ইহা মনে রাখিতে হইবে। তবে ইহাও মনে রাখিতে হইবে যে, ঈশ্বর বিশ্বরপ; যেখানে তাঁহার রােপ দেখিব, সেইখানে তাঁহার পজা করিব। সেই অর্থে ইন্দ্রাদির উপাসনা পণ্যময়-নিহিলে অধৰ্ম্ম । ‘প্রচার, ১ম বিষ, পঃ ১৪৫-৫৬ ৷৷ কোন পথে যাইতেছি ? যাঁহারা ধৰ্ম্ম-ব্যাখ্যায় প্রবত্ত, তাঁহাদিগকে দই শ্রেণীতে বিভক্ত করা যাইতে পারে। এক শ্রেণীর ব্যাখ্যাকারেরা বলেন, যাহাকে ধৰ্ম্মম বলিতেছি, তাহা ঈশ্বরোক্ত বা ঈশ্বর-প্রেরিত উপদেশ । তাঁহাদের কাজ বড় সোজা। অমক গ্রন্থে ঈশ্বরদত্ত উপদেশগলি পাওয়া যায়, আর তাহার তাৎপৰ্য্য এই, এই কথা বলিলেই তাহদের কাজ ফারাইল। শ্ৰীন্টিয়ান, ব্রাহ্মণ, মসলমান, য়ীহদী, সচরাচর এই প্ৰথাই অবলম্পবন করিয়াছেন। দ্বিতীয় শ্রেণীর ব্যাখ্যাকারেরা বলেন যে, কোন ধৰ্ম্ম বা ধৰ্ম্মম পিস্তক যে ঈশ্বরোক্ত, ইহা বিশ্বাস করিবার উপযক্ত কারণ নাই। বৌদ্ধ, কোমত, ব্রাহ্ম, এবং নব্য হিন্দ ব্যাখ্যাকারেরা এই মতের উদাহরণস্বরূপ। ইহারা কোন গ্ৰন্থকেই ঈশ্বরোক্তি বলিয়া সম্বীকার করেন না।

  • “সমস্ততেজাঃ পরমেশ্বরত্বনিমিত্তেলন্দ্ৰশব্দবাচ্যঃ সবি তৈবাহনি লীয়মানতয়া রাত্রের হল্যাশব্দবাচৰ্যায়ঃ

বোধিতেন বেতােহল্যাজার ইতু্যচ্যতে ন পর্যন্ত্রীব্যভিচারাৎ।” ইহার অর্থ। তেজোময় সবিতা ঐশ্বৰ্য্যহেতুক ইন্দ্ৰপদবাচ্য। অহন, অর্থাৎ দিনকে লয় করে বলিয়া রাত্রের নাম অহল্যা। সেই রাত্রিকে ক্ষয় বা জীৰ্ণ করেন বলিয়া ইন্দ্র অর্থাৎ সবিতা অহল্যাজার। ব্যভিচার *部 エl *f 、ミbた-8&b ?cml o8 à