পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবতত্ত্ব ও হিন্দধৰ্ম্মম-বৈদিক দেবতা রক্ষা করন। ৯। সবিতৃদেবের বরণীয় তেজ আমরা ধ্যান করি, যিনি আমাদিগের বিদ্ধিবত্তি প্রেরণ করেন। ১০ । অন্ন ইচ্ছা করিয়া আমরা ফুতির সহিত সবিতৃদেবের এবং ভগদেবের দান প্রার্থনা করি। ১১। নেতৃত্ব বিপ্ৰগণ যজ্ঞে শোভন স্কুতিদ্বারা সবিতৃদেবকে বন্দনা করে। ১২। পথপ্ৰদশক সোমদেব দেবগণের সংস্কৃত আবাসে এবং যজ্ঞস্থানে গমন করেন। ১৩ । সোমদেব আমাদিগকে এবং সব্বপ্রাণীকে অনাময়প্রদ অন্ন প্ৰদান করন। ১৪। সোমদেব আমাদিগের আয়কবাদ্ধান এবং পাপনাশ করিয়া হবিধানপ্রদেশে আগমন করন। ১৫ । হে শোভনকম্পমাশীল মিত্র ও বরণদেব! আপনারা আমাদিগের গাভীসকলকে দগ্ধপণ করান এবং জল মধররাসবিশিষ্ট করন। ১৬। বহিস্থত এবং স্তুতিবদ্ধ শব্দ্ধৱত আপনারা দীঘস্কৃতিদ্বারা বলের ঈশ্বর হয়েন। ১৭। জমদগ্নি ঋষি কর্তৃক ধৃত হইয়া যজ্ঞাবদ্ধক আপনারা যজ্ঞস্থলে আগমন করন এবং সোম পান করন। ১৮ । এখন দেখা যাইতেছে, যখন, ইন্দ্র, বরণ, মিত্র, সোমাদির সঙ্গে একত্রেই সবিতা স্তুত হইয়াছেন, তখন সবিতা পরব্রহ্ম না হইয়া সায্য হইবার সম্ভাবনা। একাদশ ঋকটিও সবিতৃস্তব। ঐ ঋকে সবিতার সঙ্গে ভগাদেবও যক্ত হইযাছেন। অতএব উভযেই সায্যের মাত্তি বিশেষ, ইহাই সম্ভব। পাঠক দেখিবেন যে, ঋকটিকে গায়ত্রী বলা যায় (দশম ঋক) তাহার পর্বে “ভূ" “ডুবা” “স্বরা" এ তিনটি শব্দ নাই। গায়ত্রীর পকেব। এই তিনটি শব্দ। সচরাচর উচ্চারিত হওয়ার নিযম থাকায, অনেকে মনে করেন, “তৎসবিতা” অর্থে, এই ত্ৰৈলোক্যের প্রসবিতা । এই ঋকটির গায়ত্রী নাম হইল কেন ? গায়িত্রী একটি ছন্দের নাম। এই ৬২তম সক্তের প্রথম তিনটি ঋক ত্রিস্টপ ছন্দে। আর ১৫টি গায়ত্রীচ্ছন্দে। এই ঋকটির প্রাধান্য আছে বলিয়াই ইহাই গায়ত্রী নামে প্রচলিত। এই প্রাধান্য, ইহার অর্থগৌরব হেতু। সত্য বটে যে, সােয্যপক্ষে ব্যাখ্যা করিলে তত অর্থগৌরব থাকে না। কিন্তু ইহাও স্বীকার করিতে হইবে, যখন ভারতবর্ষে প্রধান ঋষিরা ব্ৰহ্মবাদী হইলেন, আর তাঁহারা ব্ৰহ্মবাদ বেদমলেক বলিযা প্ৰতিপন্ন করিতে চেন্টা করিতে লাগিলেন, তখন গায়ত্রীর অর্থ ব্ৰহ্মপক্ষেই করিলেন। এবং সেই অর্থই ব্ৰাহ্মণামশন্ডলীতে প্রচলিত হইল। ইহাতে ক্ষতি কি ? ব্রাহ্মণেরই বা লাঘব কি ? গায়িত্রীরই বা লাঘব কি ? যে ঋষি গায়ত্রী প্রণয়ন করিয়াছিলেন, তিনি যে অর্থই অভিপ্ৰেত করিয়া থাকুন না, যখন ব্ৰহ্মপক্ষে তাঁহার বাক্যের সদাৰ্থ হয়, আর যখন সেই অর্থেই গায়ত্রী সনাতন ধৰ্ম্মোপযোগী এবং মনষ্যের চিত্ত-শদ্ধিকর, শদ্র, ব্ৰাহ্ম খ্রীস্টীয়ান সকলেই গায়ত্ৰী জপ করিতে পারে। তবে আদৌ বৈদিক ধৰ্ম্ম কি ছিল, তাহার যথার্থ মৰ্ম্ম কি, তাহা হইতে কি প্রকারে বাৰ্ত্তমান হিন্দধৰ্ম্ম উৎপন্ন হইয়াছে, এই তত্ত্বগলি পরিস্কার করিয়া বঝান আমাদের চেণ্টা, তাই গোড়ার কথাটা লইয়া আমাদের এত বিচার করিতে হইল। বৈদিক ধৰ্ম্ম হিন্দধমের মািল, কিন্তু মল ব্যক্ষ নহে; বক্ষ পথক বস্তু। বাক্ষ যে শাখা প্রশাখা, পত্র পক্ষপ ফলে ভূষিত, মলে তাহা নাই। কিন্তু মলের গণগণে না বঝিলে, আমরা বক্ষটিও ভাল করিয়া বঝিতে পারিব না।-“প্রচার, ১ম বিষ, প, ২২৮-৩৭ ৷৷ বৈদিক দেবতা এক্ষণে আমরা অবশিস্ট বৈদিক দেবতাদিগের কথা সংক্ষেপে বলিব। আমরা আকাশ ও সন্যদেবতাদিগের কথা বলিয়াছি, এক্ষণে বায়-দেবতাদিগের কথা বলিব। বেশী বলিবার প্রয়োজন নাই। বায় দেবতা,-প্রথম বায় বা বাত, দ্বিতীয় মরশগণ। বায়ার বিশেষ পরিচয় কিছই দিবার নাই। সায্যের ন্যায় বায় আমাদিগের কাছে নিত্য পরিচিত। ইনি পৌরাণিক দেবতার মধ্যে স্থান পাইয়াছেন। পরাশেতিহাসে ইন্দ্রাদির ন্যায় ইনি একজন দিকপাল মধ্যে মুম্বায়, বা পবন নাম ধারণ করিয়াছেন। সতরাং ইহাকে প্রচলিত দেবতাদের মধ্যে KV5 ER মরগণা সেরাপ নহেন। ইহারা এক্ষণে অপ্রচলিত। বায় সাধারণ বাতাস, মরস্পগণ ঝড়। নামটা কোথাও একবচন নাই; সব্বত্রই বহ বচন। কথিত আছে যে, মরািশগণ লিগণিত বন্টি