পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবতত্ত্ব ও হিন্দঘন্ম-চৈতন্যবাদ কিনা জাতিদূিগের মধ্যে এবং চীনজাতিদিগের মধ্যে আকাশ জনক বলিয়া প্রতিষ্ঠিত। অনেক স্থানে আকাশবাচক শব্দই ঈশ্বরবাচক শব্দ। ঐরাপ পাি ་་ ဒွါမြို့မျို অসভ্য জাতিদিগের মধ্যে এবং চৈনিক জাতিদিগের মধ্যে আকাশ পিতা, পথিবী মাতা, পথিবী আকাশের পত্নী, পথিবী ও আকাশের সংযোগে বা বিবাহে জীবসন্টি। চৈনিক দার্শনিকেরা ইহার উপর একটি বাড়াইলেন। আকাশ পিতা, পথিবী মাতা; ইহা হইতে তাঁহারা করিলেন যে, সন্টিতে দাইটি শক্তি আছে- একটি পািপষ, একটা স্ত্রী, একটি সবগীয় একটি পার্থিবি। একটির নাম ইন, আর একটির নাম ইযঙ। ইহাতে পাঠকের, ভারতবষীয় প্রকৃতি পরিষ মনে পড়িবে। ভারতবষীয়েরা যে চৈনিকদিগের নিকট হইতে এ কথা পাইয়াছিলেন, অথবা চৈনিকেরা যে ভারতবষীযদিগের নিকট হইতে পাইয়াছিলেন, এমন কথা বলিবার কোন কারণ পাওয়া যায় না। বোধ হয, দই জাতির মধ্যে এক কারণেই এই প্রকৃতি-পরিষতত্ত্ব উদ্ভূত হইয়াছিল। উভয় দেশেই আকাশ পিতা, পথিবী মাতা, এবং উভয়ের সংযোগে বিশ্বজনন, এই বিশ্বাস ছিল, তাহা হইতেই প্রকৃতি-পরিষতত্ত্ব উদ্ভূত হইয়া থাকিবে। সাংখ্যের পরিষ আকাশ নহে, এবং প্রকৃতি পথিবী নহে। তাহা আমরা জানি। বোধ হয় এই দ্যাবাপথিবীতত্ত্ব, উপনিষদের আত্মতত্ত্ব ও মায়াবাদে মিলিত হইয়া প্রকৃতি পর্যুষে পরিণত হইয়া থাকিবে। সেই প্রকৃতি-পরিষতত্ত্ব হইতে তান্ত্রিক উপাসনার উৎপত্তি কি না, এবং ভৈরব ও ভৈরবীর মলে দ্যাবাপথিবী কি না, সে সর্বতন্ত্র কথা। এক্ষণে আমরা তাহাব বিচারে প্রবত্ত নাহি। আমরা এত দিনে যে দাইটি স্থল কথা বঝাইলাম, তাহা পাঠককে এইখানে সমরণ করাইয়া দিই। প্রথম। ইন্দ্রাদি বৈদিক দেবতা বিশ্বের নানা বিকাশ মাত্র, যথা-আকাশ, সােয্য, অগ্নি বা বায়। দ্বিতীয়। এইরােপ ইন্দ্রাদির উপাসনা কেবল ভারতবর্ষে নহে, অনেক স্থানে আছে। এক্ষণে আমরা বিচার করিব, প্রথম। কেন এরাপ ঘটিয়াছে। দ্বিতীয়। এখানে উপাসনা বস্তুটা কি। ‘প্রচার”, ১ম বিষ, প, ৩৬৩-৬৭ टो5ङनाबान পথিবীতে ধৰ্ম্ম কোথা হইতে আসিল ? অনেকেই মনে করেন, এ কথার উত্তর অতি সহজ। খ্ৰীষ্টীয়ান বলিবেন, মাসা ও যীশ ধৰ্ম্ম আনিয়াছেন। মসলমান বলিবেন, মহম্মদ আনিয়াছেন, বৌদ্ধ বলিবেন, তথাগত আনিয়াছেন, ইত্যাদি। কিন্তু তাহা ছাড়া আরও ধৰ্ম্ম আছে। প্রাচীন গ্রীক প্রভৃতি জাতির ধৰ্ম্মেমরি মনসা মহম্মদ কেহ নাই। পথিবীতে কত জাতীয় মনষ্যে আছে, তাহার সংখ্যা নাই বলিলেও হয়। সকলেরই এক একটা ধৰ্ম্মম আছে, এমন কোন জাতি আজি পৰ্যন্ত আবিস্কৃত হয় নাই, যাহাদের কোন প্রকার ধৰ্ম্মজ্ঞান নাই। এই অসংখ্য জাতিদিগের ধৰ্ম্মে প্রায় মহম্মদ মনসা শ্ৰীমন্ট বৌন্ধের তুল্য কেহ ধৰ্ম্মস্রম্পটা নাই। তাহদের ধৰ্ম্ম কোথা হইতে আসিল ? আর যাঁহারা বলেন যে, শ্ৰীমন্ট বা বদ্ধ, মােসা বা মহম্মদ ধৰ্ম্ম সন্টি করিয়াছেন তাঁহাদের কথায় একটা ভুল আছে। ইহারা কেহই ধর্মের সন্টি করেন নাই, প্রচলিত ধৰ্ম্মের উন্নতি করিয়াছেন মাত্র। শ্ৰীমেন্টব পাবে য়িহদায় য়িহদী ধৰ্ম্মম ছিল, খ্রীস্টধৰ্ম্ম তাহারই উপর গঠিত হইয়াছে; মহম্মদের পাবে আরবে ধৰ্ম্মম ছিল, ইসলাম তাহার উপর ও য়িহদী ধর্মের উপর গঠিত হইয়াছে; শাক্যসিংহের আগে বৈদিক ধৰ্ম্মম ছিল, বৌদ্ধ ধৰ্ম্ম হিন্দধম্মের সংস্করণ মাত্র। মনসার ধৰ্ম্ম প্রচারের পকেবও এক য়িহদী ধৰ্ম্ম ছিল; মােসা তাহার উন্নতি করিয়াছিলেন। সেই সকল আদিম ধৰ্ম্ম কোথা হইতে আসিল—তাহার প্রণেতা কাহাকেও দেখা যায় না। YO;