পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিম রচনাবলী একজন ঈশ্বর সব্বােস্লন্টা, সব্বকত্তা, কিন্তু দেবগণও আছেন, এবং তাঁহারা ঈশ্বর কর্তৃক নিযক্ত হইয়া লোক রক্ষা করিতেছেন। বেদে এবং হিন্দ শাস্ত্রের অন্যান্য অংশে স্থানে স্থানে এই ভাবের বাহাল্য আছে। তার পর, জ্ঞানের আর একটি উন্নতি হইলে, দেবদেবী সম্পবন্ধে ভাবান্তরের উদয় হয়। জ্ঞানবান উপাসক দেখিতে পান যে, ইন্দ্ৰ বলিট করেন না, ঈশ্বরের শক্তিতে বা-ঈশ্বরের নিয়মে বন্টি হয়; ঈশ্বরই বলিষ্ট করেন। বায় নামে কোন স্বতন্ত্র দেবতা বাতাস করেন না; বাতাস ঐশিক কাৰ্য্য। সায্য চৈতন্যবিশিস্ট আলোককৰ্ত্তা নহেন; সােয্য জড় বস্তু, সৌরালোেকও ঐশিক ক্রিয়া। যখন বাল্টিকৰ্ত্তা, বায়কত্তা, আলোকদাতা প্রভৃতি সকলেই সেই ঈশ্বর বলিয়া জানা গেল, তখন ইন্দ্র, বায়, সৰ্য্যে, এ সকল উপাসনকালে ঈশ্বরেরই নামান্তর বলিয়া গহীত হইল। তিনি এক, কিন্তু তাঁহার বিকাশ ও ক্রিয়া অসংখ্য, কাৰ্য্যভেদে, শক্তিভেদে, বিকাশভেদে তাঁহার নামও অসংখ্য। তখন, উপাসক যখন ইন্দ্র বলিয়া ডাকে, তখন তাঁহাকেই ডাকে, যখন বরণ বলিয়া ডাকে, তখন তাঁহাকেই ডাকে; যখন সৰ্যকে বা অগ্নিকে ডাকে, তখন তাঁহাকেই ডাকে। ইহার এক ফল হয় এই যে, উপাসক ঈশ্বরের স্তবকালে ঈশ্বরকে পক্ষবর্ধপরিচিত ইন্দ্রাদি নামে অভিহিত করে। ঈশ্বরই ইন্দ্রাদি, কাজেই ইন্দ্রাদিও ঈশ্বরের নামান্তর। তখন ইন্দ্রাদি নামে তাঁহার পজোকালীন, ইন্দ্রাদির প্রতি সব্বাঙ্গীণ জগদীশ্বরত্ব আরোপিত হয়। কেন না, জগদীশ্বর ख्छिाष ख्भाद्र एकठ्छे छेन्द्रार्गल •ाग्ने । বেদের সক্তে এই ভাবের বিশেষ বাহাল্য দেখিতে পাই। এ সক্তে ইন্দ্রে জগদীশ্বরত্ব, ও সক্তে বরণে জগদীশ্বরত্ব, অন্য সক্তে অগ্নিতে জগদীশ্বরত্ব, সত্তেফ্রান্তরে সৰ্য্যে জগদীশ্বরত্ব, এইরূপ পািনঃ পানঃ আছে। পাশ্চাত্ত্য পন্ডিত মাক্ষমলার ইহার মৰ্ম্মম কিছই বঝিতে না পারিষা, একটা কিম্ভতকিমাকার ব্যাপার ভাবিয়া কি বলিয়া এরােপ ধৰ্ম্মের নামকরণ করবেন, তদ্বিষয়িণী দশিচন্তায় মিয়মাণ ! এরপ কান্ডটা ত কোন পাশ্চাত্ত্য ধৰ্ম্মেম নাই, ইহা না। Theism না। LLLLLLLL0S D LLLLLLLL BBD LLL DBDS SDBB BBB BBDkBB BBD DBBBB অভিধান খালিয়া খাব দেড়গজী রকম একটা নাম প্রস্তুত করিলেন-Kak('notheism বা Henotheism এই সকল বিদ্যা যে এ দেশে অধীত, অধ্যাপিত, আদিত, এবং অনাবাদিত হয়, ইহা সামান্য দুঃখের বিষয় নহে। আচাৰ্য্য মাক্ষামলের বেদ বিশেষ প্রকারে অধীত করিয়াছেন, কিন্তু পরাণেতিহাসে তাঁহার কিছই দশন নাই বলিলেও হয। যদি থাকিত, তাহা হইলে জানিতেন যে, এই দৰেবাধ্য ব্যাপাের-অর্থাৎ সকল দেবতাতেই জগদীশ্বরত্ব আরোপ, কেবল বেদে নহে, পরাণেতিহাসেও আছে। উহার তাৎপৰ্য্য। আর কিছই নহে-কেবল সমস্ত নৈসগিক ব্যাপারে ঈশ্বরের ঐশ্বয্য দশন । তাঁহার Honotheism বা Kakenotheism আর speš (GS, GGT Polytheism NRK Tales GSlf-Big Pure Theism. এই গেল বৈদিক ধৰ্ম্মেমরি তিন অবস্থা(১) প্রথম, দেবোপাসনা-অৰ্থাৎ জড়ে চৈতন্য আরোপ, এবং তাহার উপাসনা। (২) ঈশ্বরোপাসনা, এবং তৎসঙ্গে দেবোপাসনা। (৩) ঈশ্বরোপাসনা, এবং দেবগণের ঈশ্বরে বিলয়। বৈদিক ধর্মের চরমাবস্থা উপনিষদে। সেখানে দেবগণ একেবারে দারীকৃত বলিলেই হয়। কুসুমময় ব্ৰহ্মই উপাস্যম্বরূপ বিরাজমান। এই ধৰ্ম্ম অতি বিশদ্ধ, কিন্তু অসম্পণে। চতুথাবস্থা। শেষে গীতাদি ভক্তিশাস্ত্রের আবিভাবে এই সচ্চিদানন্দের উপাসনার সঙ্গে ভক্তি মিলিতা হইল। তখন হিন্দধৰ্ম্মম সম্পৰ্ণে হইল। ইহাই সব্বাঙ্গ সম্পণে ধৰ্ম্ম, এবং ধর্মের মধ্যে জগতে শ্রেষ্ঠ। নিগণ ব্রহ্মের সবরােপ জ্ঞান, এবং সগণ ঈশ্বরের ভক্তিযক্তি উপাসনা ইহাই বিশদ্ধ হিন্দধৰ্ম্ম। ইহাই সকল মনষ্যের অবলম্বনীয়। দঃখের বিষয় এই যে হিন্দরা এ সকল কথা ভুলিয়া গিয়া কেবল ধৰ্ম্মশাস্ত্রের উপদেশক বা দেশাচারকে হিন্দধমের স্থানে প্রতিষ্ঠিত করিয়াছেন। ইহাতেই হিন্দধন্মের অবনতি এবং হিন্দজাতির অবনতি ঘটিয়াছে। এক্ষণে যাহা বলিলাম তাহা আরও সম্পলেট করিয়া বঝাইয়া প্রমাণের দ্বারা সম্প্রমাণ করিবার চেন্টা করিব। সফল হইব। কিনা, তাহা যিনি এই ধমের উপাস্য, তাঁহারই হাত। কিন্তু পাঠকের যেন এই কয়টা স্থল কথা মনে থাকে। নাহিলে পরিশ্রম ব্যথা হইবে। হিন্দধাম YS