পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बस्किम ब्रष्नावली সেই কৃষ্ণোক্ত ধৰ্ম্মেই উপস্থিত হইতে হইবে। বঝিব-এক ঈশ্বর আছেন, অন্য কোন দেবতা নাই। ইন্দ্রাদি নামেই ডাকি, সেই এক জনকেই ডাকি। ইহাই কৃষ্ণোক্ত ধৰ্ম্ম৷-“প্রচার, ২য় বর্ষ, ?t. S8Գ-éՀ श्मिक्षम्भ* श्रेष्धब्र डिज्ञ दृबडा नाझे প্রথমে জড়োপাসনা। তখন জড়কেই চৈতন্যবিশিস্ট বিবেচনা হয়, জড় হইতে জাগতিক ব্যাপার নিম্পন্ন হইতেছে বোধ হয়। তাহার পর দেখিতে পাওয়া যায়, জাগতিক ব্যাপার সকল নিয়মাধীন। এক জন সব্ব নিয়ন্তা তখন পাওয়া যায়। ইহাই ঈশ্বরজ্ঞান। কিন্তু যে সকল জড়কে চৈতন্যবিশিস্ট বলিয়া কলপনা করিয়া লোকে উপাসনা করিত, ঈশ্বরজ্ঞান হইলেই তাহদের উপাসনা লোপ পায় না। তাহারা সেই সব্বসুন্টা ঈশ্বর কর্তৃক সন্ট চৈতন্য এবং বিশেষ ক্ষমতা প্রাপ্ত বলিয়া উপাসিত হইতে থাকে। তবে দেবগণ ঈশ্বরসািল্ট, এ কথা ঋগোিবদের সক্তের ভিতর পাইবার তেমন সম্ভাবনা নাই। কেন না, সক্তে সকল ঐ সকল দেবগণেরই স্তোত্র; স্তোত্রে ঘুতকে কেহ ক্ষদ্র বলিয়া উল্লেখ করিতে চাহে না। কিন্তু ঐ ভােব উপনিষদ সকলে অত্যন্ত পরিস্ফােট। ঋগ্ৰেবেদীয় ঐতরেয়োপনিষদের আরম্ভেই আছে, আত্মা বা ইন্দমোক এবাগ্র আসীৎ । নান্যৎ কিঞ্চন মিষৎ অর্থাৎ সন্টির পন্ধেব কেবল একমাত্র আত্মাই ছিলেন-আর কিছমাত্র ছিল না। পরে তিনি জগৎ সন্টি করিয়া দেবগণকে সন্টি করিলেন; স ঈক্ষতে মে না লোকা লোকপালান্ন সজা ইতি। ইত্যাদি। আমরা বলিয়াছি যে, পরিশেষে যখন জ্ঞানের আধিক্যে লোকের আর জড় চৈতন্য বিশ্বাস থাকে না, তখন উপাসক ঐ সকল জড়াকে ঈশ্বরের শক্তি বা বিকাশ মাত্র বিবেচনা করে। তখন ঈশ্বর হইতে ইন্দ্রাদির ভেদ থাকে না, ইন্দ্রাদি নাম, ঈশ্বরের নামে পরিণত হয়। ইহাই আচাৰ্য্য মাক্ষমলরের ldcnotheism. ঋগ্বেদ হইতে তিনি ইহার বিস্তর উদাহরণ উদ্ধত করিয়াছেন, সতরাং যিনি এই কথার বৈদিক প্রমাণ চাহেন, তাঁহাকে উক্ত লেখকের গ্রন্থাবলীর উপর বরাত দিলাম। এখানে সে সকল প্রমাণের পািনঃ সংগ্রহের প্রয়োজন নাই। যে কথাটা আচাৰ্য্য মহাশয় বাঝেন নাই, তাহা এই। তিনি বলেন, এটি বৈদিক ধৰ্ম্মেমরি বিশেষ লক্ষণ যে, যখন যে দেবতার ঘুতি করা হয়, তখন সেই দেবতাকে সকলের উপর বাড়ান হয়। স্থল কথা যে, উহা বৈদিক ধন্মের বিশেষ লক্ষণ নহে-পরাণেতিহাসে সব্বত্র আছে;—উহা পরিণত হিন্দধমের একেশ্বরবাদের সঙ্গে প্রাচীন বহ, দেবোপাসনার সংমিলন। যখন দেবতা একমাত্র বলিয়া সম্ববীকৃত হইলেন, তখন ইন্দ্র, বায়, বরণোদি নামগালি তাঁহারই নাম হইল। এবং তিনিই ইন্দ্রাদি নামে স্তুত হইতে লাগিলেন। এই ইন্দ্রাদি যে শেষে সকলই ঈশ্বর সবরপে উপাসিত হইতেন, তাহার প্রমাণ বেদ হইতে দিলাম না। আচাৰ্য্য মাক্ষমলরের গ্রন্থে সকল উদ্ধত Henotheism সম্প্ৰবন্ধীয় উদাহরণগলিই তাহার যথেস্ট প্রমাণ। আমি দেখাইব যে, ইহা কেবল বেদে নহে, পরাণেতিহাসেও আছে। তত্তজন্য মহাভারত হইতে কয়েকটি স্তোত্র উদ্ধত করিতেছি। ইন্দ্র স্তোত্র আদিপর্বের পঞ্চবিংশ অধ্যায় হইতে উদ্ধত করিতেছি। “হে সরপতে! র বারি বর্ষণ করিতে সমর্থ। তুমি বায়; তুমি মেঘ; তুমি অগ্নি ; তুমি গগনমন্ডলে রাপে প্রকাশমান হও এবং তোমা হইতেই ঘনাবলী পরিচালিত হইয়া থাকে; তোমাকেই লোকে মহামেঘ বলিয়া নিন্দেশ করে; তুমি ঘোর ও প্রকাশড বিজজ্যোতিঃস্বরািপ; তুমি আদিত্য ; তুমি বিভাবসা; তুমি অত্যাশ্চর্য মহাভূত; তুমি নিখিল দেবগণের অধিপতি; দেবী; তুমি পরামগতি ; তুমি অক্ষয় অমাতা; তুমি পরম পজিত সৌম্যমাত্তি; তুমি মাহৰ্ত্ত ; তুমি তিথি; তুমি বল; তুমি ক্ষণ; তুমি শব্রুেপক্ষ, তুমি কৃষ্ণপক্ষ, তুমিই কলা, কাঠা, ইটী, মাস, ঋতু সবৎসর ও অহােরাত্র; তুমি সমস্ত পৰ্ব্বত ও বনসমাকীর্ণ বসােন্ধরা: