পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bठूथ ७ाश সম্পাদিত গ্রন্থের ভূমিকা DBD DDDDDS DD DBDBBBBDBDBD BDBDD D BBDBDDB BDBBB জীবনী দীনবন্ধীর জীবনচরিত লিখিবার এখনও সময় হয় নাই। কোন ব্যক্তির জীবনের ঘটনাপরম্পরার বিবাতিমাত্র জীবনচরিতের উদ্দেশ্য নহে। কিয়ৎ-পরিমাণে তাহাও উদ্দেশ্য বটে, কিন্তু যিনি সম্প্রতি মাত্র অন্তহিত হইয়াছেন, তাঁহার সম্প্ৰবন্ধীয প্রকৃত ঘটনা সকল বিবত করিতে হইলে, এমন অনেক কথা বলতে হয যে, তাহাতে জীবিত লোক লিপ্ত। কখন কোন জীবিত ব্যক্তির নিন্দা করিবার প্রয়োজন ঘটে; কখন জীবিত ব্যক্তিদিগের অন্য প্রকার পীড়াদায়ক কথা বলিবার প্রযোজন হয়; কখন কখন গহ্য কথা ব্যক্ত করিতে হয়, তাহা কাহারও না কাহারও পীড়াদায়ক হশ। আর, একজনের জীবনবত্তান্ত অবগত হইযা অন্য ব্যক্তি শিক্ষা প্রাপ্ত হউক, ইহা যদি জীবনচরিত-প্রণয়নের যথার্থ উদ্দেশ্য হয়, তবে বর্ণনীয় ব্যক্তির দোষ গণ উভয়েরই সবিস্তার বণনা করিতে হয়। দোষশান্য মনষ্য পথিবীতে জন্মগ্রহণ করে নাই :- দীনবন্ধীরও যে কোন দোষ ছিল না, ইহ । কোন সাহসে বলিব ? যে কারণেই হউক, এক্ষণে তাহার জীবনচরিত লিখিতব্য নহে। আর লিখিবার তােদশ প্রয়োজনও নাই। এই বঙ্গদেশে দীনবন্ধকে না চিনিত কে ? কাহার সঙ্গে তাঁহার আলাপ ও সোঁহােদ ছিল না ? দীনবন্ধ যে প্রকৃতির লোক ছিলেন, তাহা কে না। জানে ? সতরাং জানাইবার তত আবশ্যকতা নাই । a a A এই সকল কারণে আমি এক্ষণে দীনবন্ধব পুকুত জীবনচরিত লিখিব না। যাহা লিখিব, তাহা পক্ষপাত-শান্য হইযা লিখিতে যত্ন, করিব। দীনবন্ধর স্নেহ ঋণে আমি ঋণী। কিন্তু তাই বলিয়া আমি মিথ্যা প্রশংসার দ্বারা সে ঋণ পরিশোেপ কবিবােব যত্ব কৰিব না। পািকব বাঙ্গালা রেলওয্যের কাঁচরাপাড়া স্টেশনের কষ ক্রোশ পাব্বোত্তরে চৌবেড়িয়া নামে গ্রাম আছে। যমনা নামে ক্ষদ্র নদী এই গ্রামকে প্রাম চারি দিকে বেস্টন করিমাছে ; এই জন্য ইহার নাম চৌবেড়িয়া। সেই গ্রাম দীনবন্ধ কের জন্মভূমি। এ গ্রাম নদীয়া জেলার অন্তর্গত। বাঙ্গালা সাহিত্য, দর্শন ও ধৰ্ম্মশাস্ত্র সম্প্ৰবন্ধে বুদ্দীয়া জেলার বিশেষ গোিবব আছে দীনবন্ধ বা নাম নদীয়ার আর একটি গৌরবের স্থল। تیسری ج ۔ ۔ ۔ ۔ ۔ সন। ১২৩৮ সালে দীনবন্ধ, জন্মগ্রহণ কর্পেন। তিনি “ কালাচাঁদ মিত্রের পত্র। তাঁহার বাল্যকাল-সম্প্ৰবন্ধীয় কথা অধিক বলিবার নাই। দীনবন্ধ অলপবষসে কলিকাতাম আসিযা, তেয়ার সকুলে ইংরেজি শিক্ষা আরম্ভ করেন। সেই বিদ্যালযে থাকিতে থাকিতেই তিনি বাঙ্গালা পচনা আরম্ভ করেন । সেই সময় তিনি প্রভাকর-সম্পাদক ঈশ্বরচন্দ্র গপ্তের নিকট পরিচিত হয়েন। বাঙ্গালা সাহিত্যের তখন বড় দরবস্থা। তখন প্রভাকর সব্বোৎকৃষ্ট সংবাদ-পত্ৰ। ঈশ্বর গািপ্ত বাঙ্গালা সাহিত্যের উপর একাধিপত্য করিতেন। বালকগণ তাঁহার কবিতাষ মন্ধে হইযা তাঁহােব সঙ্গে আলাপ করিবার জন্য ব্যগ্ন হইত। ঈশ্বর গািপ্ত তরণেবয়স্ক লেখকদিগকে উৎসাহ দিতে বিশেষ সমাৎসক ছিলেন। হিন্দ পেট্রিয়ট যথার্থই বলিয়াছিলেন, আধনিক লেখকদিগের মধ্যে অনেকে ঈশ্বর গপ্তের শিষ্য। কিন্তু ঈশ্বর গপ্তের প্রদত্ত শিক্ষার ফল কত দাির স্থাযী বা বাঞ্ছনীয় হইয়াছে তাহা বলা যায় না। দীনবন্ধ প্রভৃতি উংকৃষ্ট লেখকের ন্যায়। এই ক্ষদ্র লেখক ও ঈশ্বর গাস্তুের নিকট ঋণী। সতরাং ঈশ্বর গপ্তের কোন অপ্রশংসার কথা লিখিয়া আপনাকে অকৃতজ্ঞ বলিয়া পরিচয় দিতে ইচ্ছক নাহি। কিন্তু ইহাও অস্বীকার করিতে পারি না যে, এক্ষণকার পরিমাণ ধরিতে গেলে, ঈশ্বর গপ্তের রচি তাদশ বিশদ্ধ বা উন্নত ছিল না, বলিতে হইবে। তাঁহার শিষ্যেরা অনেকেই তাঁহার প্রদত্ত শিক্ষা বিস্মত হইয়া অন্য পথে গমন করিয়াছেন। է: ՀՖ