পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিম রচনাবলী মধ্যসদন, হেমচন্দ্র, নবীনচন্দ্ৰ কাহাতেও তৃপ্তি হইল না। চুপ করিয়া রহিলাম। এমন সময়ে গঙ্গাবক্ষ হইতে মধর সঙ্গীতধবনি শনা গেল। জেলে জাল বাহিতে বাহিতে গায়িতেছে “माgा आgछ २ा भन्म । দােগা বলে প্ৰাণ ত্যজিব, জাহ্নবী-জীবনে ৷” তখন প্ৰাণ জড়াইল-মনের সরে মিলিল-বাঙ্গালা ভাষায়-বাঙ্গালীর মনের আশা শনিতে পাইলাম-এ জাহ্নবী-জীবন দােগা বলিয়া প্ৰাণ ত্যজিবারই বটে, তাহা বঝিলাম। তখন সেই শোভাময়ী জাহ্নবী, সেই সৌন্দয্যময় জগৎ সকলই আপনার বলিয়া বোধ হইল—এতক্ষণ পরেব বলিয়া বোধ হইতেছিল। সেইরাপ, আজিকার দিনের অভিনব এবং উন্নতির পথে সমারঢ়ে সৌন্দৰ্য্যবিশিষ্ট বাঙ্গালা সাহিত্য দেখিয়া অনেক সময়ে বোধ হয়—হৌক সন্দর, কিন্তু এ বঝি পরের—আমাদের নহে। খাঁটি বাঙ্গালী কথায়, খাঁটি বাঙ্গালীর মনের ভাব তা খাজিয়া পাই না। তাই ঈশ্বৰ গপ্তের কবিতা সংগ্রহে প্রবত্ত হইয়াছি। এখানে সব খাঁটি বাঙ্গলা। মধ্য সদন, হেমচন্দ্র, নবীনচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ, শিক্ষিত বাঙ্গালীর কবি ঈশ্বর গািপ্ত বাঙ্গালীর কবি। এখন আর খাঁটি বাঙ্গালী কবি জন্মে না। — জন্মিবার যো নাই-জন্মিয়া কাজ নাই। বাঙ্গালার অবস্থা আবার ফিরিয়া অবনতির পথে না গেলে খাঁটি বাঙ্গালী কবি আর জন্মিতে পারে না। আমরা “বত্রসংহার” পরিত্যাগ করিয়া “পৌষপার্বণ।" চাই না। কিন্তু তব বাঙ্গালীর মনে পৌষপাৰ্ব্বণে যে একটা সখি আছে—বত্ৰসংহারে তােহা নাই। পিঠা পালিতে যে একটা সখি আছে, শচীর বিম্বাধর-প্রতিবিম্বিত সন্ধায় তাহা নাই। সে জিনিষটা একেবারে আমাদের ছাড়িলে চলিবে না; দেশশদ্ধ জোনস, গমিসের তৃতীয় সংস্করণে পরিণত হইলে চলিবে না। বাঙ্গালী নাম রাখিতে হইবে। জননী জন্মভূমিকে ভালবাসিতে হইবে। যাহা মার প্রসাদ, তাহা যত্ন কবিয়া তুলিয়া রাখিতে হইবে। এই দেশী জিনিসগলি মার প্রসাদ। এই খাঁটি বাঙ্গালাটি, এই খাঁটি দেশী কথাগলি মার প্রসাদ। মার প্রসাদে পেট না ভরে, বিলাতী বাজার হইতে কিনিয়া খাইতে পাবি – কিন্তু মার প্রসাদ ছান্ডিব না। এই কবিতাগলি মার প্রসাদ। তাই সংগ্ৰহ করিলাম। এই সংগ্রহের জন্য বাবা গোপাল চন্দ্র মখোপাধ্যায়ই পাঠকের ধন্যবাদেব পাত্র তাঁহাব উদ্যোগ ও পরিশ্রম ও যত্নেই। ইহা সম্পন্ন হইয়াছে। ইহাতে যে পরিশ্রম আবশ্যক তাহা আমাকে করিতে হইলে, আমি কখন পারিয়া উঠিতাম না। এক্ষণে পাঠককে ঈশ্বরচন্দ্র গপ্তের যে জীবনী উপহার দিতেছি, তাহার জন্যও ধন্যবাদ গোপাল বাবরই প্রাপ্য। তাঁহার জীবনী সংগ্ৰহ করিয়া গোপাল বােব আমাকে কতকগলি নোট দিয়াছিলেন। আমি সেই নোেটগলি অবলম্বন করিয়া এই জীবনী সঙ্কলন করিয়াছি। গোপাল বাব নিজে সলেখক, এবং বাঙ্গালা সাহিত্যসংসারে সপরিচিত। তাঁহার নোেটগলি এরপ পরিপাটী যে, আমি তাহাতে কাটাকুটি বড় কিছ করি নাই কেবল আমার নিজের বক্তব্যের সঙ্গে গাঁথিয়া দিয়াছি। প্রথম পরিচ্ছেদটি বিশেষতঃ এই প্রণালীতে লিখিত। দ্বিতীয় পরিচ্ছেদে, গোপাল বাবার নোেটগলি প্রায় বজায় রাখিয়াছি-আর কিছই গাঁথিতে হয় নাই। তৃতীয় পরিচ্ছেদের জন্য আমি একাই সম্পণের পে দায়ী। এই কথাগালি বলিবার তাৎপৰ্য্য এই যে, গোপাল বােবই এই সংগ্রহ ও জীবনী জন্য আমাৰ ও সাধারণের নিকট বিশেষ কৃতজ্ঞতার পাত্র। अथभ ब्रिहश्म-बाबा ७ भिभग প্ৰয়াগে যক্তিবেণী-বাঙ্গালার ধান্যক্ষেত্রে মধ্যে মক্তবেণী-কলিকাতার ১৫ ক্রোশ উত্তরে গঙ্গা, যমন, সরস্বতী ত্রিপথগামিনী হইয়াছেন। যেখানে এই পবিত্র তীৰ্থস্থান, তাহার পশ্চিম পারস্থ গ্রামের নাম “ত্রিবেণী”-পািকব পারস্থিত গ্রামের নাম “কাঞ্চনপল্লী” বা কাঁচড়াপাড়া। ১ কাঁচড়াপাড়ার দক্ষিণে কুমারহাট, কুমারহাটের দক্ষিণে গৌরীভা বা গরিফা। এই তিন গ্রামে অনেক বৈদ্যের বাস। এই বৈদ্যদিগের মধ্যে অনেকেই বাঙ্গালার মািখ উক্তজবল করিয়াছেন। 协岭曾