পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

वद ब्रbनावव् ঈশ্বরচন্দ্র ১২৫৩ সালের ১লা বৈশাখের প্রভাকরে প্রভাকরের জন্ম-বিবরণ সম্পবন্ধে লিখিয়া গিয়াছেন, “‘বাব যোগেন্দ্রমোহন ঠাকুরের সম্পণে সাহায্যক্রমে প্রথমে এই প্রভাকর পত্র প্রকটিত হয়। তখন আমাদিগের যন্ত্ৰালয় ছিল না। চোরবাগানে এক মাদ্রাযন্ত্র ভাড়া করিয়া ছাপা হইত। ৩৮ সালের শ্রাবণ মাসে পকেবােক্ত ঠাকুর বাবদিগের বাটীতে স্বাধীনরপে যন্ত্ৰালয় স্থাপিত করা যায়। তাহাতে ৩৯ সাল পৰ্যন্ত সেই সবাধীন যন্ত্রে অতি সম্পন্দ্রমের সহিত মাদ্রিত হইয়াছিল।” কিঞ্চিদধিক ১৯ বিষ বয়স্ক নবকবি-সম্পাদিত নব প্রভাকর অলপ দিনের মধ্যে সম্ভ্রান্ত কৃতবিদ্য সাধারণের দালিট আকষণ করিতে সমর্থ হয়। কলিকাতার যে সকল সম্পন্দ্ৰান্ত ধনবান এবং কৃতবিদ্য লেখক, সাপ্তাহিক প্রভাকরের সহায়তা করেন, ঈশ্বরচন্দ্র ১২৫৩ সালের ১লা বৈশাখের প্রভাকরে তাঁহাদিগের নামের নিম্নলিখিত তালিকা প্রকাশ করিয়া গিয়াছেন - “শ্ৰীযক্ত রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদর, “বাব নন্দলাল ঠাকুর, “বাব চন্দ্রকুমার ঠাকুর, “বাব নন্দকুমার ঠাকুর, “বাব রামকমল সেন, শ্ৰীযক্ত বাবা হরকুমার ঠাকুর, বােব প্রসন্নকুমার ঠাকুর, “হলিরাম টে'কিয়াল ফািরুন, শ্ৰীযক্ত জয়গোপাল তকােলণ্ডকার, শ্ৰীযক্ত প্রেমচাঁদ তর্কবাগীশ, বাশা, নীলরত্ন হালদার, ঘাব, ব্ৰজমোহন সিংহ, কৃষ্ণচন্দ্র বস, বাব, রসিকচন্দ্র গঙ্গোপাধ্যায়, ঘাব ধৰ্ম্মম দাস পালিত, বাবা শ্যামাচরণ সেন, শ্ৰীযক্ত নীলমণি মতিলাল ও অন্যান্য। শ্ৰীযক্তি প্রেমচাঁদ তাক বাগীশ যিনি এক্ষণে সংস্কৃত কলেজের অলঙ্কারশাস্ত্রের অধ্যাপক, তিনি লিপি বিষয়ে বিস্তর সাহায্য করতেন। তাঁহার রচিত সংস্কৃত শ্লোকদ্বয়* অদ্যাবধি প্রভাকরের শিরোভূষণ রহিয়াছে। জয়গোপাল তীকােলণ্ডকোৱা মহাশষ অনেক উত্তম উত্তম গদ্য পদ্য লিখিয়া প্রভাকরে শোভা ও প্রশংসা বৃদ্ধি করিয়াছিলেন।” এই প্রভাকর ঈশ্বরচন্দ্র গপ্তের অদ্বিতীয় কাত্তি। মধ্যে একবার প্রভাকর মেঘে ঢাকা পড়িয়াছিলেন বটে, কিন্তু আবার পনরাদিত হইয়া অদ্যাপি কম বিতরণ করিতেছেন। বাঙ্গালা সাহিত্য এই প্রভাকরের নিকট বিশেষ ঋণী। মহাজন মরিয়া গেলে খাতক আর বড় তার নাম করে না। ঈশ্বর গঞ্জ গিয়াছেন, আমরা আর সে ঋণের কথা বড় একটা মাখে আনি না। কিন্তু এক দিন প্রভাকর বাঙ্গালা সাহিত্যের হত্ত। কত্তা বিধাতা ছিলেন। প্রভাকর বাঙ্গালা রচনার রীতিও অনেক পরিবত্তন করিষা যান। ভারতচন্দ্রী ধরণটা তাহার অনেক ছিল বটে-অনেক স্থলে তিনি ভারতচন্দ্রের অনগামী মাত্র, কিন্তু আর একটা ধরণ ছিল, যা কখন বাঙ্গালা ভাষায় ছিল না, যাহা পাইয়া আজ বাঙ্গালার ভাষা তেজস্বিনী হইয়াছে। নিত্য নৈমিত্তিকের ব্যাপার, রাজকীয় ঘটনা, সামাজিক ঘটনা, এ সকল যে রসময়ী রচনার বিষয় হইতে পারে, ইহা প্রভাকরাই প্রথম দেখায়। আজ শিখের যাদ্ধ, কাল পৌষপাকবাণ আজ মিশনারি, কাল উমিদারি, এ সকল যে সাহিত্যের অধীন, সাহিত্যের সামগ্রী, তাহা প্রভাকরাই দেখাইয় ন। আর ঈশ্বর গপ্তের নিজের কীৰ্ত্তি ছাড়া প্রভাকরের শিক্ষানবিশদিগের একটা কীৰ্ত্তি আছে। দেশের অনেকগলি লব্ধপ্রতিভ্ৰষ্ঠ লেখক প্রভাকরের শিক্ষানবিশ ছিলেন। বাবা রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়। একজন। বাব দীনবন্ধ মিত্র আর একজন। শনিয়াছি, বাব মনোমোহন বস আর একজন। ইহার জন্যও বাঙ্গালার সাহিত্য, প্রভাকরের নিকট ঋণী। আমি নিজে প্রভাকরের নিকটে বিশেষ ঋণী । আমার প্রথম রচনাগলি প্রভাকরে প্রকাশিত হয়। সে সময়ে ঈশ্বরচন্দ্র গপ্ত আমাকে বিশেষ উৎসাহ দান করেন। ১২৩৯ সালে যোগেন্দ্রমোহন প্রাণত্যাগ করায়, সংবাদ প্রভাকরের তিরোধান হয়। ঈশ্বরচন্দ্র ১২৫৩ সালেম ১লা বৈশাখের প্রভাকরে লিখিয়া গিয়াছেন, “এই সময়ে (১২৩১ সালে) জগদীশ্বর আমাদিগের কম এবং উৎসাহের শিরে বিষম বাজ নিক্ষেপ করিলেন, অর্থাৎ মহোপকারী সাহায্যকারী বহ গণধারী আশ্রয়দাতা বােব যোগেন্দ্রমোহন ঠাকুর মহাশয় সাংঘাতিক রোগ কর্তৃক আক্রান্ত হইয়া কৃতান্তের দন্তে পতিত হইলেন। সতরাং ঐ মহাত্মার সীতাং মনস্তামরস প্রভাকয়ঃ সদৈব সব্বেষ সমপ্রভাবরঃ । উদে্যুতি ভাসদ্বৎ সকলাপ্রভাকরঃ সদথ সম্পবাদনবপ্রভাকরঃ। নাক্তং চন্দ্ৰকরেণ ভিন্নমস্কুলেজ্জিবন্দীবরেষা, কচিদ্ভ্রামিং ভ্ৰামমতান্দ্রমীযদমতং পীত্ব ক্ষধাকাতরাঃ। অদ্যোদা দ্বিমল প্রভাকর করপ্রোন্দিভয়পন্মোদরে সবচ্ছন্দং দিবসে পিবন্তু চতুরাঃ সবান্তদ্বিরেফা রসিং । 8 SR