পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बधिकब ब्रा5नाबवी محلہ দেখিতে রাঙ্গা রাঙ্গা, ঝাঁকা আলো করিয়া বসে। কাঁচায় বড় টক-পাকিলে সমিস্ট বটে, কিন্তু তবু হাড়ে টক যায় না। কতকগলো আমি এমন কদৰ্য যে, পাকিলেও টুক যায় না। কিন্তু দেখিতে বড় বড় রাঙ্গা রাঙ্গা হয়, বিক্রেতা ফাঁকি দিয়া পাঁচিশ টাকা শ' বিক্রয় করিয়া যায়। কতকগলি আমি কাঁচামিটে আছে-পাকিলে পানশে। কতকগলো জাঁতে পাকা। সেগলি কুটিয়া নন মাখিয়া আমসী করাই ভাল। সকলে আম খাইতে জানে না। সদ্য গাছ হইতে পাড়িয়া এ ফল খাইতে নাই। ইহা কিয়ৎক্ষণ সেলম-জলে ফেলিয়া ঠান্ডা করিও—যদি জোটে, তবে সে জলে একটা খোেশামোদ-বরফ দিওবড় শীতল হইবে। তার পরে ছরি চালাইয়া সবচ্ছন্দে খাইতে পাের। স্ত্রীলোকদিগকে লৌকিক কথায় কলাগাছের সুহিত তুলনা করিয়া থাকে। কিন্তু সে গেছে। কথা।। কদলীফলের সঙ্গে ভুবনমোহিনী জাতির আমি সোসাদশ্য দেখি না। সত্ৰীলোক কি কাদি কাঁদি ফলে ? যাহার ভাগ্যে ফলে ফলাক-কমলাকান্তের ভাগ্যে ত নয়। কদলীর সঙ্গে কামিনীগণের এই পৰ্যন্ত সাদশ্যে আছে যে, উভয়েই বানরের প্রিয়। কামিনীগণের এ গণ থাকিলেও কদলীর সঙ্গে তাঁহাদিগের তুলনা করিতে পারি না। পক্ষান্তরে কতকগলি কটভাষী আছেন, তাঁহারা ফলের মধ্যে মাকাল ফলকেই যাবতীগুণের, অন্যরােপ বলেন। যে বলে, সে দম্পর্মািখআমি ইহাদিগের ভূত্যস্বরপ; আমি তাহা বলিব না। আমি বলি, রমণীমন্ডলী এ সংসারের নারিকেল। নারিকেলও কাঁদি কাঁদি ফলে বটে, কিন্তু (ব্যবসায়ী নহিলে) কেহ কখন কাঁদি কাঁদি পাড়ে না। কেহ কখন দ্বাদশীর পারণার অন্যুরোধে, অথবা বৈশাখ মাসে ব্রাহ্মণসেবার জন্য একটি আধটি পাড়ে। কাঁদি কাঁদি পাড়িয়া খাওয়ার অপরাধে যদি কেহ অপরাধী থাকে, তবে সে কুলীন ব্ৰাহ্মণেরা। কমলাকান্ত কখন সে অপরাধে অপরাধী নহে। বক্ষের নারিকেলের ন্যায় সংসারের নারিকেলের বয়োভেদে নানাবস্থা। কারকচি বেলা উভয়েই বড় স্নিগ্ধকর-নারিকেলের জলে উদর স্নিগ্ধ হয়-কিশোরীর অকৃত্রিম বিলাস-লক্ষণ-শান্য প্ৰণয়ে হৃদয় স্নিগ্ধ হয়। কিন্তু দাই জাতীয়,-ফলজাতীয় এবং মনষ্যেজাতীয়, নারিকেলের ডাবই ভাল। তখন দেখিতে কেমন উক্তজবল শ্যাম-কেমন জ্যোতিৰ্ম্মময়, রৌদ্র তাহা হইতে প্ৰতিহত হইতেছে-যেন সে নবীন শ্যাম শোভায় জগতের রৌদ্র শীতল হইতেছে। গাছের উপর কাঁদি কাঁদি নারিকেল, আর গবাক্ষপথে কাঁদি কাঁদি যাবতী, আমার চক্ষে একই দেখায়—উভয়ই আলো করিয়া থাকে। কিন্তু দেখা-দেখিয়া ভুলিও না-এই চৈত্র মাসের রৌদ্র, গাছ হইতে পাড়িয়া ডাব কাটিও না-বড় তপ্ত। সংসারশিক্ষাশন্যা কামিনীকে সহসা হৃদয়ে গ্রহণ করিও না-তোমার কলিজা পড়িয়া যাইবে। আমের ন্যায়, ডাবকেও বরফ-জলে রাখিয়া শীতল কারিও-বরফ না যোটে, পকুরের পাঁকে পতিয়া রাখিয়া ঠান্ডা করিও-মিন্ট কথায় না করিতে পার, কমলাকান্ত চক্রবত্তীর আজ্ঞা, কড়া কথায় করিও । নারিকেলের চারিটি সামগ্রী-জল, শস্য, মালা আর ছোবড়া। নারিকেলের জলের সঙ্গে সন্ত্রীলোকের স্নেহের আমি সাদশ্যে দেখি। উভয়ই বড় স্নিগ্ধকর। যখন তুমি সংসারের রৌদ্রে দগ্ধ হইয়া, হাঁপাইতে হাঁপাইতে, গাহের ছায়ায় বসিয়া বিশ্রাম কামনা কর, তখন এই শীতল জল পান করিও-সকল যন্ত্রণা ভুলিবে। তোমার দারিদ্র্য-চৈত্রে বা বন্ধবিয়োগ-বৈশাখে--তোমার যৌবনমধ্যাহ্নে বা রোগতগু-বৈকালে, আর কিসে তোমার হৃদয় শীতল হইবে ? মাতার আদর, সন্ত্রীর প্ৰেম, কন্যার ভক্তি, ইহার অপেক্ষা জীবনের সন্তাপে আর কি সখের আছে? গ্ৰীল্ডেমর তাপে ডাবের জলের মত আর কি আছে ? তবে, ঝানো হইলে জল একটা ঝাল হইয়া যায়। রামার মা ঝানো হইলে পর, রামার বাপ ঝালের চোটে বাড়ী ছাড়িয়াছিল। এই জন্য নারিকেলের মধ্যে ডাবেরই আদর। নারিকেলের শস্য, স্ত্রীলোকের বদ্ধি। কারকচি বেলায় বড় থাকে না; ডাবের অবস্থায় বড় সমিন্ট, বড় কোমল; ঝানোর বেলায় বড় কঠিন, দন্তসফট করে কার সাধ্য? তখন ইহাকে গহিণীপনা বলে। গহিণীপনা রসাল বটে, কিন্তু দাঁত বসে না। এক দিকে কন্যা বসিয়া আছেন, মায়ের অলঙ্কারুের বাক্স হইতে কিয়দংশু সংগ্ৰহ করিবেনু—াঁকুন্তু ঝানোর শস্য এমনি DDD BBS BBLBu DB DDBB DYDDDBD DD DBDB BBDB DBDBD DB BDBBBDD DDD SS DB পত্র বসিয়া আছেন, মায়ের নগদ পজির উপর দাঁত বসাইবেন,-ঝানো দয়া করিয়া নগদ সাত dit R