পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঈশ্বরচন্দ্র গপ্তের কবিতাসংগ্ৰহ-ভূমিকা বাটীতে লাউ, কুমড়া প্রভৃতি কোন ফল মল দেখিতে পাইলে চাহিয়া আনিতেন। ইহাতে কোন হীনতা বোধ করিতেন না। বালকদিগের অভিভাবকগণ শেষে ঈশ্বরচন্দ্রের পরিচয় প্রাপ্ত হইলে, যথাসাধ্য সমাদর করিতে ব্রিটি করিতেন না। ভ্ৰমণকালে বালকদিগকে দেখিতে পাইলে, তাহাদিগকে ডাকিয়া গান শনিতেন এবং সকলকে পয়সা দিয়া তুষ্ট করতেন। প্রাচীন কবিদিগের অপ্রকাশিত লিপ্তপ্রাষী কৰি তাবলী, গীত, পদাবলী এবং তৎসহ তাহাদিগের জীবনী প্রকাশ কয়িতে অভিলাষী হইলা ঈশ্বরচন্দ্ৰ ক্ৰমাগত দশবর্ষাকাল নানা স্থান পয্যটন, এবং যথেস্ট শ্রম করিয়া শেষ সে বিষয়ে সফলতা লাভ কবেন। বাঙ্গালীজাতির মধ্যে ঈশ্বরচন্দ্রই এ বিষয়ের প্রথম উদ্যোগী। সৰ্ব্ববাদেী ১২৬০ সালের ১লা পৌষের মাসিনী প্রভাকরে uTB BDBSBSBSBD DBBBD BBBBB BBBD BBB D DBBBB S BDtBBBtBtDD SS SDi * কৃষ্ণকীৰ্ত্তন” প্রভৃতি বিষয়ক অনেকগলি লপ্তেপ্রায গীত এবং পদাবলী প্রকাশ করেন। ও ৎপবে পৰ্য্যায়ক্রমে প্রতি মাসের প্রভাকবে রামনিধি সেন (নিধবাব, \, হরীঠাকুর, রাম মস, নিত্যং দাস বৈরাগী, লক্ষীকান্ত বিশ্বাস রাসা ও নসিংহ এবং আবও কয়েক জন প্রাচীন খ্যাতনামা ক’র জীবনচরিত, গীত এবং পদাবলী প্রকাশ কমেন। সেগলি স্বতন্ত্ৰ পান্তকাকাবে প্রকাশ • {ারব। বিশেষ ইচ্ছা ছিল। কিন্তু প্রকাশ করিয়া যাইতে পারেন নাই। মত কবি ভারতচন্দ্র রামের জীবনী এবং তৎপ্রণীত অনেক লগুপ্ৰাধ কৰি ॥৩া এবং পদাবলী বহ পরিশ্রমে সংগ্ৰহ করিয়া, সন ১১৬১ সালের ১লা জ্যৈঠেন প্রভাকবে প্রকাশ করেন। সেই BBB BBB BBB DBB BBB BBBBS BBD SSDB S SSBSBS ggBBkBB BBB পাস্তক প্রকাশ। ১২৬৪ সালের ১লা বৈশাখেল প্রভাকবে “প্রলোপ প্রভাকরা” নামে গ্রন্থ প্রকাশারম্ভ হাইসা, সেই সনের ১লা ভান্দ্রে তাহা শেষ হয। পদ্মলোচনা নাসরত্ন সেই পাস্তক প্রণযন কালে তাহার বিশেষ সহায়তা করেন। উক্ত সনের ১লা চৈ” এ প্ৰবোধ প্রভাকর।” সৰ্ব্বতন্ত্র পতন্তেকাকারে প্রকাশ হয়। তৎপরে প্রতি মাসের মাসিক প্রভাকব ক্রমাণবিয়ে “হিতপ্রভাকরা” এবং “বোধেন্দবিকাশ" প্রকাশ ও সমাপ্ত করেন। ঈশ্বরচন্দ্র নিজে তাহা স্বতন্ত্র পস্তকাকারে প্রকাশ করিয়া যাইতে পারেন। নাই। তাঁহার অনজ বাব, রামচন্দ্র গদাপ্ত পরে পস্তকাকারে “হিতপ্রভাকর” ও “বোধেন্দবিকাশে "ব প্রথম খন্ড প্রকাশ করেন। । তিনখানি পস্তকেরই দ্বিতীয় খন্ড অপ্রকাশিত আছে। কয়েকটি ক্ষদ্র ক্ষ-দ্র উপন্যাস এবণ নীতিবিষয়ক অনেকগালি কবিতা ‘ নীতিহাপ" নামে প্রভাকরে প্রকাশ করেন । ১২৬৫ সালের মাঘ মাসের মাসিক প্রভাকর সম্পাদনের পর ঈশ্ববচন্দ্ৰ শ্ৰীমদ্ভাগবতো বাঙ্গালা কবিতায় অন্যবাদ আরম্ভ করিয়াছিলেন। মঙ্গলাচরণ এবং পরবত্তী কযেকটি শোকে বা অন্যবাদ করিয়াই তিনি মাতৃত্যুশয্যায় শয়ন করেন। অবিশ্রান্ত মস্তিস্ক চালনাস ত্রে মধ্যে মধ্যে ঈশ্বরচন্দ্রের সর্বাস্থ্য ভঙ্গ হইত। সেই জন্যই মধ্যে মধ্যে জলপথে এবং স্থলপথে ভ্ৰমণ করিয়া বেড়াইতেন । ১২৬০ সাল হইতে ঈশ্বরচন্দ্রের শ্রম বদ্ধি হয়। মাসিক পত্র সম্পাদন এবং উপৰ্যাপবি কয়খানি গ্রন্থ এই সমস্যা হটতে লিখেন। কিন্তু এই সময়টিই তাঁহার জীবনের মধ্যাহাকালস্বরূপ সমভূক্ত ল। ১২৬৫ সালের মাঘের মাসিক প্রভাকর সম্পাদনা করিয়াই ঈশ্বরচন্দ্র জরারোগে আক্রান্ত সুখেন। শেষ তাহা বিকারে পরিণত হয়। উক্ত সনের ৮ই মাঘের প্রভাকাবেল সম্পাদকীয় উক্তিতে নিম্নলিখিত কথা প্রকাশ হয় :- “অদ্য কয়েক দিবস হইতে আমাদিগের সব্বাধ্যক্ষ কবিকুলকেশরী শ্ৰীযক্ত বাবা ঈশ্ববচন্দ্র গগুপ্ত মহাশয় জবরবিকার রোগাক্রান্ত হইয়া শয্যাগত আছেন। শারীরিক গ্রানি যথেস্ট হই যাছিল, সদােপযক্ত গণযক্ত এতদ্দেশীয় বিখ্যাত ডাক্তার শ্ৰীযক্ত বাবা গোবিন্দচন্দ্ৰ গগুপ্ত শ্ৰীযক্ত বাব দগাচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রভৃতি মহোদয়েরা চিকিৎসা করিতেন। তন্দ্বারা শারীরিক গ্লানি অনেক নিবত্তি পাইয়াছে। ফলে এক্ষণে রোগ নিঃশেষ হয নাই।” ঈশ্বরচন্দ্রের রোগের সংবাদ প্রকাশ হইবামাত্র দেশের সকলেই উদ্বিগ্ন হইয়া উঠেন। কলিকাতার সম্ভ্রান্ত লোকেরা এবং মিত্রমন্ডলী দঃখিতান্তকরণে ঈশ্ববচন্দ্ৰকে দেখিতে যান। অনেকে বহনক্ষণ পৰ্যন্ত ঈশ্বরচন্দ্রের নিকট অবস্থান, তত্ত্বাবধান এবং চিকিৎসা বিষয়ে পরামর্শ দান করিতে থাকেন। bታ8Ca