পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

श्रैश्चब्रफ़न् श८क्षुद्भ कबऊानश्श्ङ्-कृञ्भका হউক, গীতে হউক, লোককে হাসাইতে বিলক্ষণ পট ছিলেন। সামান্য বালক হইতে বদ্ধ পৰ্যন্ত সকলের সহিত সমান ব্যবহার করিতেন। শত্ররাও তাঁহার ব্যবহারে মন্ধ হইত। চরিত্রটি সম্পণে নিন্দোষ ছিল না। পানদোষ ছিল। প্রকাশ আছে যে, যে সময় তিনি সারাপান করিতেন, সে সময়ে লেখনী অনগাল কবিতা প্রসব করিত। যে কোন শ্রেণীর যে কোন পরিচিত বা অপরিচিত ব্যক্তি যে কোন সময়ে তাঁহাকে যে কোন প্রকার কবিতা, গীত বা ছড়া প্রস্তুত করিয়া দিতে অনরোধ করিত, তিনি আনন্দের সহিত তাঁহাদিগের আশা পণ করিতেন। কাহাকেও নিরাশ করিতেন না। ঈশ্বরচন্দ্ৰ পািনঃ পানঃ আপন কবিতায় স্বীকার করিয়াছেন, তিনি সরাপান করিতেন।-- এক (১) দই (২) তিন (৩) চারি (৪) ছেড়ে দেহ ছয় (৬) । পাঁচোরে (৫) করিলে হাতে রিপ, রিপ নয়৷ তg ছাড়া পঞ্চ সেই অতি পরিপাটি। বােব সেজে পাটির উপরে রাখি পাটি৷ পাত্র হোয়ে পাত্র পেয়ে ঢোলে মারি কাটি। ঝোলমাখা মাছ নিয়া চাটি দিয়া চটি৷ তিনি সরাপান করিতেন, এজন্য লোকে নিন্দা করিত। তাই ঈশ্বর গািপ্ত মধ্যে মধ্যে কবিতায় তাহাদিগের উপর ঝাল। ঝাড়িতেন। ঋতু কবিতার মধ্যে পাঠক এই সংগ্রহে দেখিতে পাইবেন। যখন ঈশ্বর গপ্তের সঙ্গে আমার পরিচয়, তখন আমি বালক, স্কুলের ছাত্র, কিন্তু তথাপি ঈশ্বর গগুপ্ত আমার সন্মতিপথে বড় সমস্তজবল। তিনি সপরিষ, সান্দর কান্তিবিশিষ্ট ছিলেন। কথার সােবর বড় মধ্যর ছিল। আমরা বালক বলিয়া আমাদের সঙ্গে নিজে একটি গম্ভীরভাবে কথাবাৰ্ত্তা কহিতেন-তাঁহার কতকগলা নন্দী ভৃঙ্গী থাকিত-রসাভাসের ভার তাহদের উপর পড়িত। ফলে তিনি রস ব্যতীত এক দন্ড থাকিতে পারিতেন না। সর্বপ্রণীত কবিতাগলি পড়িয়া শনাইতে ভাল বাসিতেন। আমরা বালক হইলেও আমাদিগকেও শনাইতে ঘণা করিতেন না। কিন্তু হেমচন্দ্র প্রভৃতির ন্যায়। তাঁহার আবত্তিশক্তি পরিমাডিজত ছিল না। যাহার কিছ রচনাশক্তি আছে, এমন সকল যবেককে তিনি বিশেষ উৎসাহ দিতেন, তাহা পকেব বলিয়াছি। কবিতা রচনার জন্য দীনবন্ধকে, দ্বারকানাথ অধিকারীকে এবং আমাকে একবার প্রাইজ দেওয়াইয়াছিলেন। দ্বারকানাথ অধিকারী কৃষ্ণনগর কলেজের ছাত্ৰ-তিনিই প্রথম প্রাইজ পান। তাঁহার রচনাপ্রণালীটিা কতকটা ঈশ্বর গপ্তের মত ছিল-সরল স্বচ্ছ-দেশী কথায়, দেশী ভােব তিনি ব্যক্ত করিতেন। অলপ বয়সেই তাঁহার মাতুত্যু হয়। জীবিত থাকিলে বোধ হয় তিনি একজন উৎকৃষ্ট কবি হইতেন। দ্বারকানাথ, দীনবন্ধ, ঈশ্বরচন্দ্র, সকলেই গিয়াছেন-তাঁহাদের কথাগালি লিখিবার জন্য আমি আছি। সারাপান করুন, আর পটার স্তোত্র লিখন, ঈশ্বরচন্দ্ৰ বিলাসী ছিলেন না। সামান্য বেশে, সামান্য ভাবে অবস্থান করিতেন। যথেস্ট অর্থ থাকিলেও ধনী ব্যক্তির উপযোগী সাজসজজা কিছই করিতেন না। বৈঠকখানায় একখানি সামান্য গালিছা বা মাদর পাতা থাকিত, কোন প্রকার আসবাব থাকিত না। সম্পন্দ্ৰান্ত লোকেরা আসিয়া তাহাতে বসিয়াই ঈশবিরের সহিত আলাপ করিয়া তৃপ্ত হইয়া যাইতেন। डूडीघ्र अब्रिान्छ-कबिज़ ঈশ্বর গািপ্ত কবি। কিন্তু কি রকম কবি ? ভারতবর্ষে পকেবা জ্ঞানীমাত্রকেই কবি বলিত। শাস্ত্রবেত্তারা সকলেই “কবি”। ধৰ্ম্মশাস্ত্রকারও কবি, জ্যোতিষশাস্ত্রকারও কবি। তার পর কবি শব্দের অর্থের অনেক রকম পরিবত্তন ঘটিয়াছে। “কাব্যেষ, মাঘঃ কবিঃ কালিদাসঃ” এখানে অর্থটা ইংরেজি Poet শব্দের মত। তার পর এই শতাব্দীর প্রথমাংশে (১) কাম, (২) ক্ৰোধ, (৩) লোভ, (৪) মোহ, (৬) মাৎসন্য, (৫) মদ । “রিপ রিপ নয়।” অর্থাৎ “মদ” শব্দ এখানে রিপ অৰ্থে বঝিবে না। 卒 ミー@8 8S