পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিম রচনাৰলী “কবির লড়াই” হইত। দই দল গায়ক জটিয়া ছন্দোবন্ধে পরস্পরের কথার উত্তর প্রত্যুত্তর দিতেন। সেই রচনার নাম “কবি” । আবার আজকাল কবি অর্থে Poet, তাহাকে পারা যায়, কিন্তু “কবিত্ব" সম্পবন্ধে আজকাল বড় গোল। ইংরেজিতে যাহাকে Poetry বলে, এখন তাহাই কবিত্ব। এখন এই অর্থ প্রচলিত, সতরাং এই অর্থে ঈশ্বর গঞ্জ কবি কি না। আমরা বিচার করিতে বাধ্য। পাঠক বোধ হয়। আমার কাছে এমন প্রত্যাশা করেন না যে, এই কবিত্ব কি সামগ্রী, তাহা আমি বাবাইতে বসিব। অনেক ইংরেজ বাঙ্গালী লেখক সে চেস্টা করিয়াছেন। তাঁহাদের উপর আমার বরাত দেওয়া রহিল। আমার এই মাত্র বক্তব্য যে, সে অর্থে ঈশ্বর গািপ্তকে উচ্চাসনে বসাইতে সমালোচক সম্মত হইবেন না। মনষ্যে-হৃদয়ের কোমল, গম্ভীর, উন্নত, অসফট ভাবগলি ধরিয়া তাহাকে গঠন দিয়া, অব্যক্তকে তিনি বাৰ্ত্ত করিতে জানিতেন না। সৌন্দৰ্য্যসন্টিতে তিনি তােদশ পট ছিলেন না। তাঁহার সন্টিই বড় নাই। মধ্যসদন, হেমচন্দ্র, নবীনচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ ই-হারা সকলেই এ কবিত্বে তাঁহার অপেক্ষা শ্রেণীঠ । প্রাচীনেরাও তাঁহার অপেক্ষা শ্রেণীঠ । ভারতচন্দ্রের ন্যায় হীরামালিনী গড়িবার তাঁহার ক্ষমতা ছিল না; কাশীরামের মত সভদ্ৰাহরণ কি শ্ৰীবৎসচিন্তা, কীৰ্ত্তিবাসের মত তরুণীসেন বধ, মকুন্দরামের মত ফািল্লরা গড়িতে পারিতেন না। বৈষ্ণব কবিদের মত বীণায় ঝঙ্কার দিতে জানিতেন না। তাঁহার কাব্যে সন্দির কারণ, প্ৰেম. এ সব সামগ্রা বড় বেশী নাই । কিন্তু তাঁহার যাহা আছে, তাহা আর কাহারও নাই। আপনি অধিকারের ভিতর তিনি রাজা। সংসারের সকল সামগ্রী কিছ ভাল নহে। যাহা ভাল, তাও কিছর এত ভাল নহে যে, তার অপেক্ষা ভাল। আমরা কামনা করি না। সকল বিষয়েই প্রকৃত অবস্থার অপেক্ষা উৎকর্ষ আমরা কামনা করি। সে উৎকর্ষের আদর্শ সকল, আমাদের হৃদযে অসফট রকম থাকে। সেই আদশ ও সেই কামনা, কবিব সামগ্রী । যিনি তাহা হসন্দয়ঙ্গম করিয়াছেন, তাহাকে গঠন দিয়া শরীরী করিসা, আমাদের হৃদযগ্রাহী করিয়াছেন। সচরাচর তাঁহাকেই আমরা ববি বলি। মধ্যসািদনাদি তাহা পারিয়াছেন, ঈশ্বরচন্দ্র তাহ পারেন নাই বা করেন নাই, এই জন্য এই অর্থে আমরা মধাসােদনাদিকে শ্রেষ্ঠ কবি বলিয়া, ঈশ্বরচন্দ্রকে নিম্নশ্রেণীতে ফেলিয়াছি। কিন্তু এইখানেই কি কবিত্বের বিচার শেষ হইল ? কাব্যের সামগ্রী কি আর কিছু রহিল না ? রহিল বৈকি। যাহা আদশ, যাহা কমনীয়, যাহা আকাঙিক্ষত, তাহা কবির সামগ্রী। কিন্তু যাহা প্রকৃত, যাহা প্রত্যক্ষ, যাহা প্রাপ্ত, তাহাঁই বা নয়। কেন ? তাহাতে কি কিছ রস নাই ? কিছ সৌন্দয্য নাই ? আছে বৈকি ? ঈশ্বর গািস্ত, সেই রসে রসিক, সেই সৌন্দয্যের কবি । যাহা আছে, ঈশ্বর গগুপ্ত তাহার কবি। তিনি এই বাঙ্গালা সমাজের কবি। তিনি কলিকাতা সহরের কবি। তিনি বাঙ্গালার গ্রাম্যদেশের কবি। এই সমাজ, এই সহর, এই দেশ বড় কাব্যময়। অন্যে তাহাতে বড় রস পান না। তোমরা পৌষপাব্বিণে পিটােপালি খাইয়া অজীণে দঃখ পাও, তিনি তাহার কাব্যরসর্টকু সংগ্রহ করেন। অন্যে নববর্ষে মাংস চিবাইয়া, মদ গিলিয়া, গাঁদাফল সাজাইয়া কমন্ট পায়, ঈশ্বর গািপ্ত মক্ষিকাবৎ তাহার সারাদান করিয়া নিজে উপভোগ করেন, অন্যকেও উপহার দেন। দভিক্ষের দিন, তোমরা মাতা বা শিশর চক্ষে অশ্রবিন্দশ্রেণী সাজাইয়া মক্তাহারের সঙ্গে তাহার উপমা দাও — তিনি চালোব দরটি কিষিয়া দেখিয়া তার ভিতর একটা রস পান। D L0 DD LOB0 ভাঙ্গা মন আর গড়ে না কো। তোমরা সন্দরীগণকে পম্পোদ্যানে বা বাতায়নে বসাইয়া প্রতিমা সাজাইয়া পজা কর, তিনি তাহাদের রান্নাঘরে, উনান গোড়ায় বসাইয়া, শাশড়ী ননদের গঞ্জনায় ফেলিয়া, সত্যের সংসারেব এক রকম খাঁটি কাব্যরস বাহির করেন :- কধর মধরে খনি, মাখশতদল। नव्लिव्न ऊानिया शाश, 5भी छब्ल छल। ঈশ্বর গপ্তের কাব্য চালের কাঁটায়, রান্নাঘরের ধাঁয়ায়, নাটরে মাঝির ধবজির ঠেলায়, নীলের দাদনে, হোটেলের খানায়, পাঁটার অস্থিস্থিত মঙ্গজায়। তিনি আনারসে মধর রস ছাড়া কাব্যরস পান, তপসে মাছে মৎস্যাভাব ছাড়া তপস্বীভাব দেখেন, পাঁটার বোকাগন্ধ ছাড়া একটি দধীচির bታó O