পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

श्रेविज्ञष्न शcशुद्ध कबिडान२क्षद-कृभिका অশ্লীল। আর যাহার উদ্দেশ্য সেরাপ নহে, কেবল পাপকে তিরস্কৃত বা উপহাসিত করা যাহার উদ্দেশ্য, তাহার ভাষা রচি এবং সভ্যতার বিরাদ্ধ হইলেও অশ্লীল নহে। ঋষিরা। এরপ ভাষা ব্যবহার করিতেন। সেকালের বাঙ্গালীদিগের ইহা এক প্রকার সর্বভাব সিদ্ধ ছিল। R অনেক দেখিয়াছি, অশীতিপর বদ্ধ, ধৰ্ম্মমাত্মা, আজন্ম সংযতেন্দ্ৰিয় সভ্য, সশীল, সাতজন, এমন সকল লোকও, কুকাজ দেখিয়াই রাগিলেই “বদ জোবান” আরম্ভ করিতেন। তখনকার রাগ প্রকাশের ভাষাই অশ্লীল ছিল। ফলে সে সময়ে ধৰ্ম্মমাত্মা এবং অধৰ্ম্মমাত্মা উভয়কেই অশ্লীলতায় সপট দেখিতাম-প্ৰভেদ এই দেখিতাম, যিনি রাগের বশীভুত হইয়া অশ্লীল, তিনি ধৰ্ম্মমাত্মা। যিনি ইন্দ্ৰিয়ান্তরের বশে অশ্লীল তিনি পাপাত্মা। সৌভাগ্যক্রমে সেরাপ সামাজিক অবস্থা ক্ৰমে ক্ৰমে বিলপ্ত হইতেছে। ঈশ্বর গািপ্ত ধৰ্ম্মমাত্মা, কিন্তু সেকেলে বাঙ্গালী। তাই ঈশ্বর গপ্তের কবিতা অশ্লীল। সংসারের উপর, সমাজের উপর, ঈশ্বর গপ্তের রাগের কারণ অনেক ছিল। সংসার, বাল্যাকালে বালকের অমল্য রত্ন যে মাতা, তাহা তাঁহার নিকট হইতে কাড়িযা লইল। খাঁটি সোনা কড়িয়া লইয়া, তাহার পরিবত্তে এক পিতলের সামগ্ৰী দিয়া গেল-মাব বদলে বিমাতা। তার পর যৌবনের যে অমল্যরত্ন-শািধ, যৌবনেব কেন, যৌবনের, প্রৌঢ় বয়সের, বাদ্ধক্যেব তুল্যর পেই অমল্যরত্ন যে ভাষ্যা, তাহার বেলাও সংসার বড় দাগ দিল। যাহা গ্রহণীয় নহে, ঈশ্ববচন্দ্ৰ তাহা লইলেন না, কিন্তু দাগাবাজির জন্য সংসারের উপর ঈশ্বরের রাগটা রহিয়া গেল। তার পর অলপ বয়সে পিতৃহীন, সহায়হীন হইয়া, ঈশ্বরচন্দ্র অন্নকণ্টে পড়িলেন। কত বানরে, বানরের অট্টালিকায় শিকলে বাঁধা থাকিয়া ক্ষীর সর পায়সান্ন ভোজন করে, আর তিনি দেবতুল্য প্রতিভা লইয়া ভূমন্ডলে আসিয়া, শাকাষের অভাবে ক্ষধাত্ত। কত কুক্কর বা মকট বরষে জাড়ী জাতিয়া, তাঁহার গায়ে কাদা ছড়াইয়া যায়, আর তিনি হৃদযে বাগেদিবী ধারণা করিয়াও খালি পায়ে বিষার কাদা ভাঙ্গিয়া উঠিতে পারেন না। দািব্বল মনষ্যে হইলে অত্যাচারে হরি মানিয়া, রণে ভঙ্গ দিয়া পলায়ন করিয়া দঃখেব অন্ধকার গহবরে লকাইয়া থাকে। কিন্তু প্ৰতিভাশালীরা প্রায়ই दठी । ঈশ্বর গািপ্ত সংসারকে, সমাজকে, স্বীয় বাহবিলে পরাস্ত করিয়া, তাহার নিকট হইতে ধন, যশ, সম্পমান আদায় করিয়া লইলেন। কিন্তু অত্যাচারজনিত যে ক্ৰোধ তাহা মিটিল না। জ্যেঠা মহাশয়ের জন্তা তিনি সমাজেব জন্য তুলিয়া রাখিয়াছিলেন। এখন সমাজকে পদতলে পাইয়া বিলক্ষণ উত্তম মধ্যম দিতে লাগিলেন। সেকেলে বাঙ্গালীর ক্ৰোধ কদায্যের উপর কন্দয্য ভাষাতেই অভিব্যক্ত হইত। বোধ হয়। ইহাদের মনে হইত। বিশদ্ধ পবিত্ৰ কথা, দেবদ্বিজাদি প্রভৃতি যে বিশদ্ধ ও পবিত্র তাহারই ব্যবহাৰ্য্য-যে দারাত্মা, তাহার জন্য এই কদৰ্য ভাষা। এইরূপে ঈশ্বরচন্দ্রের কবিতায্য অশ্লীলতা আসিয়া পড়িয়াছে। আমরা ইহাও সবীকার করি যে, তাহা ছাড়া অন্যবিধ অশ্লীলতাও তাঁহার কবিতায্য আছে। কেবল রঙ্গদারির জন্যে, শােধ। ইয়ারকির জন্য এক আধটা অশ্লীলতাও আছে। কিন্তু দেশ কাল বিবেচনা করিলে, তাহার জন্য ঈশ্বরচন্দ্রের অপরাধ ক্ষমা করা যায়। সে কালে অশ্লীলতা ভিন্ন কথার আমোদ ছিল না। যে ব্যঙ্গ অশ্লীল নহে, তাহা সরস বলিয়া গণ্য হইত না। যে কথা অশ্লীল নহে, তাহা সতেজ বলিয়া গণ্য হইত না। যে গালি অশ্লীল নহে, তাহা কেহ গালি বলিয়া গণ্য করিত না। তখনকার সকল কাব্যই অশ্লীল। চোর, কবি, চোরপঞ্চাশং দই পক্ষে অর্থ খাটাইয়া লিখিবেন-বিদ্যাপক্ষে এবং কালীপক্ষে-দাই পক্ষে সমান অশ্লীল। তখন পজা। পাৰবীণ অশ্লীল-উৎসবগলি অশ্লীল-দগোৎসবের নবমীর রােত্র বিখ্যাত ব্যাপার। সাত্রার সঙ অশ্লীল হইলেই লোকরঞ্জক হইত। পাঁচালি হাফআকড়াই অশ্লীলতার জন্যই রচিত। ঈশ্বর গগুপ্ত সেই বাতাসের জীবন প্রাপ্ত ও বদ্ধিতি। অতএব ঈশ্বর গািপ্তকে আমরা অনায়াসে একটি খানি মাক্তজনা করিতে পারি। আর একটা কথা আছে। অশ্লীলতা সকল সভ্যসমাজেই ঘণিত। তবে যেমন লোকের রচি ভিন্ন ভিন্ন, তেমনি দেশভেদেও রাচি ভিন্ন ভিন্ন প্রকার। এমন অনেক কথা আছে, যাহা BB DBDuD DBD BDBBS DBDBDBD DDD DDD S DBDD BLBBD BBBD BB DBYS BD আমরা অশ্লীল বিবেচনা করি, ইংরেজেরা করেন না। ইংরেজের কাছে, প্যানটালীন বা উরাদেশের নাম অশ্লীলা-ইংরেজের মেয়ের কাছে সে নাম মাখে আনিতে নাই। আমরা ধতি পায়জামা বা ክዖ6ኔte)