পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बकत्र ब्रष्नावणी সব্বদিকে সব্বলোকে, কত কথা কয়। শ্ৰবণে সে সব রব, প্রবেশ না হয়৷ হায় হায় কবি কায়, ঘটিল কি জবালা । জগতের পিতা হোয়ে, তুমি হলে কালা৷ মনে সাধা কথা কই, নিকটে আনিয়া। অধীর হালেম ভেবে, বধির জানিয়া ৷ এ ভক্তের ঘুতি নহে-এ বাপের উপর বেটার অভিমান। ধন্য ঈশ্বরচন্দ্র! তুমি পিতৃপদ লাভ করিয়াছ সন্দেহ নাই। আমরা কেহই তোমার সমালোচক হইবার যোগ্য নাহি। ঈশ্বরচন্দ্রের ঈশ্বরভক্তির যথার্থ সম্বরপ যিনি অনভূত করিতে চান, ভরসা করি তিনি এই সংগ্রহের উপর নিভাির করবেন না। এ সংগ্ৰহ সাধারণের আয়ত্ত ও পাঠ্য করিবার জন্য ইহা নানা দিকে সঙ্কীণী করিতে আমি বাধ্য হইয়াছি। ঈশ্বর সম্পবিন্ধীয় কতকগলি গদ্য পদ্য প্রবন্ধ মাসিক প্রভাকরে প্রকাশিত হয়। যিনি পাঠ করবেন, তিনিই ঈশ্বরচন্দ্রের অকৃত্ৰিম ঈশ্বরভক্তি বঝিতে পরিবেন। সেগলি যাহাতে পািনমাদ্রিত হয়, সে যত্ন পাইব। বৈষ্ণবগণ বলেন, হনমানাদি দাস্যভাবে, শ্ৰীদামাদি সখ্যভাবে, নন্দ যশোদা পত্রিভাবে, এবং গোপীগণ কান্তভাবে সাধনা করিয়া ঈশ্বর পাইয়াছিলেন। কিন্তু পৌরাণিক ব্যাপার সকল আমাদিগের হইতে এত দীর সংস্থিত যে, তদালোচনায় আমাদের যাহা লাভনীয়, তাহা আমরা বড় সহজে পাই না। যদি হন মান, উদ্ধব, যশোদা বা শ্ৰী রাধাকে আমাদের কাছে পাইতাম, তবে সে সাধনা বঝিবার চেন্টা কতক সফল হইত। বাঙ্গালার দাই জন সাধক, আমাদের বড় নিকট । দাই জনই বৈদ্য, দাই জনই কবি। এক রামপ্রসাদ সেন, আর এক ঈশ্বরচন্দ্ৰ গগুপ্ত। ইহারা কেহই বৈষ্ণব ছিলেন না, কেহই ঈশ্বরকে প্রভু, সখা, পত্র, বা কান্তভাবে দেখেন নাই। রামপ্রসাদ ঈশ্বরকে সাক্ষাৎ মাতৃভাবে দেখিয়া ভক্তি সাধিত করিয়াছিলেন-ঈশ্বরচন্দ্র পিতৃভাবে। রামপ্ৰসাদের মাতৃপ্রেমে আর ঈশ্বরচন্দ্রের পিতৃপ্রেমে ভেদ বড় অলপ। তুমি হে ঈশ্বর গািপ্ত ব্যাপ্ত ত্রিসংসার। আমি হে ঈশ্বর গািপ্ত কুমার তোমাব৷ পিতৃ নামে নাম পেয়ে, উপাধি পেযেছি। জন্মভূমি জননীর কোলেতে বসেছি৷ তুমি গঞ্জ আমি গপ্ত, গগুপ্ত কিছ নস। তবে কেন গপ্তে ভাবে ভােব গগুপ্ত রব্য ? পািনশচ-আরও নিকটে তোমার বদনে যদি, না। সরে বচন। কেমনে হইবে। তবে, কথোপকথন। আমি যদি কিছ বলি, বঝে অভিপ্রায়। ইসেরায় ঘাড় নেড়ে সায় দিও তায় ৷ যার এই ঈশ্বরভক্তি-যে ঈশ্বরকে এই রােপ সব্বদা নিকটে, অতি নিকটে দেখে-ঈশ্বরসংসগতৃিষ্ণায় যাহার হৃদয় এইরনুপে দগ্ধ-সে। কি বিলাসী হইতে পারে ? হয় হউক। আমরা এরপ ছাড়িয়া সন্ন্যাসী দেখিতে চাই না। তবে ঈশ্বর সন্ন্যাসী, হবিষ্যাশী বা অভোক্তা ছিলেন না। পাটী, তপসে মাছ, বা গণ গায়িতে ও রসাসবাদনে, উভয়েই সক্ষম ছিলেন। যদি ইহা হয়, তিনি বিলাসী ছিলেন। তাঁহার বিলাসিতা তিনি নিজে সাপলিট করিয়া বৰ্ণনা লক্ষীছাড়া যদি হও, খেয়ে আর দিয়ে। কিছমাত্র সখ নাই, হেন লক্ষী নিয়ে৷ যতক্ষণ থাকে ধন, তোমার আগারে। নিজে খাও, খেতে দাও, সাধ্য অনসারে৷ ইথে যদি কমলার, মন নাহি সরে প্যাঁচা লয়ে যান মাতা, কৃপণের ঘরে। bfé 。