পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিম রচনাবলী ধাতরার বীচি বাটিয়া দেয়। বোধ হয়, এই হিসাবেই বঙ্গীয় লেখকেরা আপনাপন প্রবন্ধমধ্যে অধ্যাপকদিগের নিকট দই-চারিটা বচন লইয়া গাঁথিয়া দেন। প্রবন্ধ-গাঁজার মধ্যে সেই বচনধাতরার বীচিতে পাঠকের নেশা জমাইয়া তুলে। এই নেশায় বঙ্গদেশ আজি কালি মাতিয়া উঠিয়াছে। আমাদের দেশের লেখকদিগকে আমি তেতুল বলিয়া গণি। নিজের সম্পত্তি খোলা আর সিটে, কিন্তু দগ্ধকেও সম্পর্শ করিলে দধি করিয়া তোলেন। গণের মধ্যে কেবল অম্প্রলগণ-তাও নিকৃষ্ট অম্বল। তবে এক গণ মানি-ইহারা সাক্ষাৎ কাঠাবতার। তেতুল কাঠ নীরস বটে, কিন্তু সমালোচনার আগমনে পোড়েন ভাল। সত্য কথা বলিতে কি, তেতুলের মত কুসামগ্ৰী আমি সংসারে দেখিতে পাই না। যেই কিয়ৎপরিমাণে খায়, তাহারই অজীণ হয়, সেই অঞ্চল উদ্গার করে। যেই অধিক পরিমাণে খায়, সেই অঞ্চলপিত্তরোগে চিররশ্ন। যাঁহারা সাহেব হইয়াছেন, টেবিলে বসিয়া, গ্যাসের আলোতে, বা আগােগন্ড জবালিয়া, ফয়জ খানসামার হাতের পাক, কাঁটা চামচে ধরিয়া খাইতে শিখিয়াছেন-তাঁহারা এক দায় এড়াইয়াছেন-তে তুলের অস্পেলর বড় ধার ধারিতে হয় না-আগাগোড়া তেতুলের মাছ দিয়া ভাত মারিতে হয় না। কিন্তু যাহাদিগকে যন্ত্রণা! পদী পিসী কুলীনের মেয়ে, প্ৰাতঃস্নান করে, নামাবলী গায়ে দেয়, হাতে তুলসীর মালা, কিন্তু রাধিবার বেলা কলাইয়ের দাল, আর তেতুলের মাছ ছাড়া আর কিছই রাঁধিতে জানেন না। ফয়জ জাতিতে নেড়ে, কিন্তু রাঁধে। অমাত। আর একটি মনষ্যফলের কথা বলা হইলেই অদ্য ক্ষান্ত হই। দেশী হাকিমেরা কোন ফল বল দেখি ? যিনি রাগ করেন করুন, আমি সাপস্ট কথা বলিব, ইহারা পথিবীর কুম্মান্ড। যদি চালে তুলিয়া দিলে, তবেই ইহারা উচুতে ফলিলেন- নহিলে মাটিতে গড়াগড়ি যান। যেখানে BDDS BBBD DDDB DDDS BBDS BDDD DDBBB DDBD DDDSDDD BB BBDBD S BBBD রূপেও কুলমান্ড, গণেও কুম্পমান্ড -তবে কুম্পমান্ড এখন দই প্রকার হইতেছে-দেশী কুমড়া ও বিলাতী কুমড়া। বিলাতী কুমড়া বলিলে এমত বকায় না যে, এই কুমড়াগলি বিলাত হইতে আসিয়াছে। যেমন দেশী মচির তৈয়ারি জাতাকে ইংরেজি জনতা বলে, ইহারাও সেইরাপ বিলাতী। বিলাতী কুমড়ার যে গৌরব অধিক, ইহা বলা বাহল্য। সংসারোদ্যানে আরও অনেক ফল ফলে, তন্মধ্যে সব্বাপেক্ষা অকম্পমাণ্য, কদৰ্য্য, টক छुङौम्र नरथा-छेब्र्याधै* बा ऐब्र-प्रभॉन বেলথাম হিতবাদ দশনের সন্টি করিয়া ইউরোপে অক্ষয় কীত্তি স্থাপন করিয়া গিয়াছেন। আমি এই হিতবাদমতে অমত করি না; বরং আমি ইহার অন্যামোদক, তবে আপনারা জানেন কি না, বলিতে পারি না, আমি একজন সাযোগ্য দার্শনিক। আমি এই হিতবাদ দশন অবলম্পােবন করিয়া, কিছ ভাঙ্গিয়া, কিছ গড়িয়া, একটি নািতন দর্শনশাস্ত্র প্রণয়ন করিয়াছি। প্রকৃতপক্ষে, তাহা বাঙ্গালায় প্রচলিত হিতবাদ দশনের নাতন ব্যাখ্যা মাত্র। তাহার স্থলে মৰ্ম্মম আমি সংক্ষেপতঃ লিপিবদ্ধ করিতেছি। প্রাচীন প্রথানসারে দর্শনটি সত্রাকারে লিখিত হইয়াছে। এবং আমি স্বয়ংই সত্রের ভাষ্য করিয়া তাহার সঙ্গে সঙ্গে লিখিয়াছি। বাঙ্গালাতেই সত্ৰগলি লিখিত Y SDDDS EBBBBD BBL BB S DDD DDD DBBBBD DDD S BDD DBDBu BDD S DDDD DS কমলাকান্তও কিছ বলিয়া দেয় নাই-অতএব অগত্যা আমার পত্রিকে জিজ্ঞাসা করিয়াছিলাম। আমার পত্ৰ ডেকসনারী দেখিয়া এইরােপ ব্যাখ্যা করিয়াছে “ইউ” শব্দে তুমি বা তোমরা, এটিল” শব্দে চাষ করা, ইট” শব্দে খাওয়া, এই” অর্থে কি, তাহা সে বলিতে পারিল না, কিন্তু বোধ করি। কমলাকান্ত, “ইউ-টিল-ইট-ই” পদে ইহাই অভিপ্ৰেত করিয়াছেন যে, “তোমরা চাষ করিয়াই খাও” কি পাষণডা! সকলকেই চাষা বলিল ! ঈদশ দৰবত্ত দশানন লক্ষ্যেবােদর গজাননের রচনা পাঠ করাতেও পাপ আছে। বোধ হয়, আমার পত্রটি ইংরেজি লেখাপড়ায় ভাল হইয়াছে, নচেৎ এরােপ দারহ শব্দের সদর্থ করিতে পারিত না-শ্ৰীভীমদেব খোেশানবীস। 6.