পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৯০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बध्दका ब्रष्नाबव्ी প্ৰবন্ধ এই সংগ্রহে সঙ্কলিত হইয়াছে, তাহা সেই পালামৌ যাত্রার ফল। প্রথমে ইহা বঙ্গদশনে প্রকাশিত হয়। প্রকাশ কালে, তিনি নিজের রচনা বলিয়া ইহা প্রকাশ করেন নাই। “প্রমথ নাথ বস” ইতি কালপনিক নামের আদ্যক্ষর সহিত ঐ প্রবন্ধগলি প্রকাশিত হইয়াছিল। আমার সম্পমাখে বসিয়াই তিনি এগলি লিখিয়াছিলেন, অতএব এগলি যে তাঁহার রচনা তদ্বিষয়ে পাঠকের সন্দেহ করিবার কোন প্রয়োজন নাই। এবার বিদায়ের অবসানে তিনি যশোহরে প্রেরিত হইলেন। সে স্থান অস্বাস্থ্যকর, তথায় সপরিবারে পীড়িত হইয়া আবার বিদায় লইয়া আসিলেন। তার পর অলপ দিন আলিপরে থাকিয়া পাবনায় প্রেরিত হইলেন । ডিপটিগিরিতে দইটা পরীক্ষা দিতে হয়। পরীক্ষা বিষয়ে তাহার যে অদষ্ট তাহা বলিয়াছি। কিন্তু এবার প্রথম পরীক্ষায় তিনি কোনরপে উত্তীণ হইয়াছিলেন। দ্বিতীয় পরীক্ষায় উত্তীণ হইতে পারিলেন না। কম গেল। তাঁহার নিজমখে শনিয়াছি পরীক্ষায় উত্তীণ হইবার মাক তাঁহার হইয়াছিল। কিন্তু বেঙ্গল অফিসের কোন কৰ্ম্মচারী ঠিক ভুল করিয়া ইচ্ছাপবেক তাঁহার অনিটি করিয়াছিল। বড় সাহেবদিগকে একথা জানাইতে তামি পরামর্শ দিয়াছিলাম ; জানােনও হইয়াছিল। কিন্তু কোন ফলোদয় হয় নাই। কথাটা অমলক কি সমােলক তাহা বলিতে পারি না। সমােলক হইলেও, গবৰ্ণমেন্টের এমন একটা গলৎ সচরাচর সত্বীকার করা প্রত্যাশা করা যায় না। কোন কেরানি যদি কৌশল করে, তবে সাহেবদিগের তাহা ধরিবার উপায় অলপ। কিন্তু গবৰ্ণমেণ্ট এ কথার আন্দোলনে যেরপ ব্যবহার করিলেন, তাহা দই দিক রাখা রকমের। সঞ্জীবচন্দ্র ডেপটিগিরি। আর পাইলেন না। কিন্তু গবৰ্ণমেণ্ট তাঁহাকে তুল্য বেতনের আর একটি চাকরি দিলেন। বারাসতে তখন একজন সেপশিয়াল সবরেজিস্ট্রর থাকিত। গবৰ্ণমেণ্ট সেই পদে সঞ্জীবচন্দ্রকে নিযক্ত করিলেন। যখন তিনি বারাসতে তখন প্রথম সেনািসস হইল। এ কায্যের কত্ত্ব ত্ব Inspector General of Registration এর উপরে অপিত। সেনাসসের অঙক সকল ঠিক ঠাক দিবার জন্য হাজার কেরানি নিযক্ত হইল। তাহদের কায্যের তত্ত্বাবধান জন্য সঞ্জীবচন্দ্র নির্বাচিত ও নিযক্ত হইলেন। BBBD BBB DemDBD BBBS BBBBBBBtB SDDDS DDDSBB SSSSSS gL SLLLLSS S00LL DBBB ইহাতে তিনি সখী হইলেন, কেন না। তিনি বাড়ী হইতে আপিস করিতে লাগিলেন। কিছ দিন পরে হগলীর সবরেজিস্ট্ররী পদের বেতন কমান গাবণমেণ্টের অভিপ্রায় হওযায, সঞ্জীবচন্দ্রের বেতনের লাঘব না হয়, এই অভিপ্ৰায়ে তিনি বদ্ধমানে প্রেরিত হইলেন। বদ্ধমানে সঞ্জীবচন্দ্ৰ খব। সখে ছিলেন। এইখানে থাকিবার সময়েই বাঙ্গালা সাহিত্যেৰ সঙ্গে তাঁহার প্রকাশ্য সম্প্ৰবন্ধ জন্মে। বাল্যকাল হইতে সঞ্জীবচন্দ্রের বাঙ্গালা রচনাযা অন্যরাগ ছিল। কিন্তু তাঁহার বাল্য রচনা কখন প্রকাশিত হয় নাই, এক্ষণেও বিদ্যমান নাই। কিশোর বন্যাসে শ্ৰীযক্ত কালিদাস মৈত্র সম্পাদিত শশধর নামক পত্রে তিনি দাই একটা প্রবন্ধ লিখিয়াছিলেন, তাহা প্রশংসিতও হইয়াছিল। তাহার পর অনেক বৎসর বাঙ্গালা ভাষার সঙ্গে বড় সম্পবিন্ধ রাখেন নাই। ১২৭৯ সালের ১লা বৈশাখ আমি বঙ্গদর্শন সম্মিট করিলাম। ঐ বৎসর ভবানীপ, রে উহা মাদ্রিত ও প্রকাশিত হইতে লাগিল। কিন্তু ইত্যবসরে সঞ্জীবচন্দ্ৰ কাঁটালপাডার বাড়ীতে একটি ছাপাখানা স্থাপিত করিলেন। নাম দিলেন বঙ্গদর্শন প্রেস। তাঁহাব অন্যুরোধে আমি বঙ্গদর্শন ভবানীপার হইতে উঠাইয়া আনিলাম। বঙ্গদর্শন প্রেসে বঙ্গদর্শন চাপা হইতে লাগিল। সঞ্জীবচন্দ্র ও বঙ্গদর্শনের দই একটা প্ৰবন্ধ লিখিলেন। তখন আমি পরামশ স্থির করিলাম যে, আর একখানা ক্ষদ্রতর মাসিক পত্র বঙ্গদশনের সঙ্গে সঙ্গে প্রকাশিত হওধা ভাল। যাহারা বঙ্গদর্শনের মাল্য দিতে পারে না, অথবা বঙ্গদশন যাঁহাদের পক্ষে কঠিন, তাঁহাদের উপযোগী একখানি মাসিক পত্র প্রচার বাঞ্ছনীয় বিবেচনায়, তাঁহাকে অননুরোধ করিলাম যে, তােদশ কোন পত্রের সর্বত্ব ও সম্পাদকতা তিনি গ্রহণ করেন। সেই পরামর্শানসারে তিনি ভ্ৰমর নামে মাসিক পত্র প্রকাশিত করিতে লাগিলেন। পত্ৰখানি অতি উৎকৃষ্ট হইয়াছিল; এবং তাহাতে বিলক্ষণ লাভও হইত। এখন আবার তাঁহার তেজস্বিনী প্ৰতিভা পােনর দীপ্ত হইয়া উঠিল। প্রায় তিনি একাই ভ্ৰমরের সমস্ত প্ৰবন্ধ লিখিতেন; আর কাহারও সাহায্য সচরাচর গ্রহণ করিতেন না। এই সংগ্রহে যে দটি উপন্যাস দেওয়া গেল, তাহা ভ্ৰমরে প্রকাশিত হইয়াছিল। WV W