পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৯১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नी পথক পথক নাম আছে। একটিকে Irror বলে আর একটিকে Mistake বলে । Error ব্যঙ্গের যোগ্য নহে, Mistake ব্যঙ্গের যোগ্য। ক্রিয়া সম্পবন্ধে যেরপ, ক্রিয়ার অপরিণত মনের ভাব সম্বন্ধেও সেইরােপ। পণ্যের উপযোগী চিত্তভাবকে ধৰ্ম্মম বলা যায়; পাপের উপযোগী ভাবকে অধৰ্ম্ম বলি, এবং ভ্রান্তির উপযোগী ভাবকে অজ্ঞানতা বলি। এই তিনই ব্যঙ্গের অযোগ্য। কিন্তু যে চিত্তব্যত্তি হইতে প্ৰমাদ জন্মে, তাহা ব্যঙ্গের যোগ্য। আমরা দাইটি ইংরাজি কথা ব্যবহার করিযাছি, আর একটি ব্যবহার করিলে অধিক দোষ হইবে না। Mistake যেরপে ব্যঙ্গর যোগ্য, Follyও তদ্রপ। এই নাটকে বিধমািখীর বা পণচন্দ্র বা পেররামের চিত্রে যে ব্যঙ্গ দেখা যায়, তাহা ঐরােপ অসঙ্গত কাৰ্য্য বা ভাবের উপর লক্ষিত। সতরাং নিন্দনীয় নহে। পরন্তু এই প্রহসনের আদ্যোপান্ত পাঠ বা অভিনয় দশন প্রীতিকর। ইহা সামান্য প্রশংসা নহে কেন না। অন্যান্য বাঙ্গালা প্রহসনে প্রায় তাহা অসহ্য কম্পন্টকর। পরিতাপের বিষয় এই যে, এ প্রহসনের কোন কোন স্থলে এমত ভাষা ব্যবহৃত হইয়াছে যে ভদ্রলোক পরস্পরের সাক্ষাতে উচ্চারণ করেন না। ইহাকে অশ্লীলতা বলা যাউক বা না যাউক, একটা দোষ বটে। কিন্তু ইহা মক্তকণ্ঠে বলা যাইতে পারা যায় যে, ইহাতে কদৰ্য্যভাবজনক কথা কিছই নাই। এমত কোন কথা নাই যে তাহাতে পাঠকের বা দশকের মন কলষিত হইতে १ाcद्ध -'वश्रमभन', bय ०२१), १1. (११s १७ । দােগা শ্ৰীকৃষ্ণ এবং দােগা এই বঙ্গদেশের প্রধান আরাধা দেবতা। ইহাদিগের পজা না করে। এমত হিন্দ প্রায বঙ্গদেশে নাই। কেবল পজা নহে, কৃষ্ণভক্তি ও দ গাভক্তি এ দেশের লোকের সব্বকমব্যাপী হইযাছে। প্ৰভাতে উঠিয়া শিশরোও “দগা দােগা" বলিয়া গাত্ৰোখান করে। যে কিছ লেখা পড়া আরম্ভ করিতে হইলে, আগে দােগা নাম লিখিতে হয়। “দগে" “দগে" “দগতিনাশিনি” ইত্যাদি শব্দ অনেকের প্রতিনিঃশ্বাসেই নিগতি হস্য। আমাদের প্রধান পৰ্ব্ববাহ দাগোৎসব। সেই উৎসব অনেকের জীবনমধ্যে প্রধান কম বা প্রধান আনন্দ । সম্পবৎসর তাহারই উদ্যোগে যায়। পথে পথে কালীর মঠ। অমাবস্যােষ অমাবস্যায় কালীপজা। কোন গ্রামে পীড়া আবন্ত হইলে রক্ষাকালীপজা। কাহারও কিছ আশােভ সম্ভাবনা হইলেই চন্ডীপাঠ --অর্থাৎ কালীর মহিমা কীৰ্ত্তন। ইহার প্রীতদার্থে পািকব বঙ্গে অনেক প্রাচীন বিজ্ঞ ব্যক্তি ও মদ্যপান ও অন্যান্য কুৎসিত কম্পেম রত। ফলে এই দেবী বঙ্গদেশ শাসন করিতেছেন। ডাকাইতেরা ইহার পজা না দিয়া ডাকাইতি করে না। এই দেবী কোথা হইতে আসিলেন ? ইনি কে ? আমাদিগের হিন্দী ধৰ্ম্মমাকে সনাতন ধৰ্ম্ম বলিবার কারণ এই যে, এই ধৰ্ম্মম বেদমলক । যাহা বেদে নাই, তাহা হিন্দী ধর্মের অন্তগত কি না সন্দেহ। যদি হিন্দী ধৰ্ম্ম সম্পবন্ধে কোন গারতের কথা বেদে না থাকে, তবে হয় বেদ অসম্পণ, না হয় সেই কথা হিন্দুধৰ্ম্মান্তৰ্গত নহে। বেদ অসম্পণে ইহা আমরা বলিতে পারি না, কেন না। তাহা হইলে হিন্দী ধন্মের মালোচ্ছেদ করিতে হন। তবে দ্বিতীয় পক্ষই এমন স্থলে অবলম্পােবনীয় কি না, তাহা হিন্দীদিগের বিচাৰ্য্য। দাগার কথা বেদে আছে কি ? সকল হিন্দরেই কৰ্ত্তব্য যে এ কথার অন্যাসন্ধান করেন। আমরা অদ্য তাঁহাদেব এ বিষয়ে কিছু সাতস্য কবিব। অনেকেই জানেন যে বেদ একখানি গ্রন্থ নয়। অথবা চারি বেদ চারিখানি গ্রন্থ মাত্র নহে। কতকগালিন মন্ত্র, কতকগালিন “ব্রাহ্মণ” নামক গ্রন্থ এবং কতকগালিন উপনিষদ লইয়া এক একটি বেদ সম্পপণ। তন্মধ্যে মন্ত্রই বেদের শ্রেষ্ঠাংশ বলা যাইতে পারে। ইহা একপ্রকার নিশ্চিত যে কোন বৈদিক সংহিতায্য এই দেবীর বিশেষ কোন উল্লেখ নাই । ইন্দ্র, মিত্র, বরণ, বায়, সোম, অগ্নি, বিষ্ণ, রদ, অশ্বিনীকুমার প্রভৃতি দেবতার ভুরি ভুরি উল্লেখ ও স্কৃতিবাদ আছে; পাষণ, অযািমন প্রভৃতি এক্ষণে অপরিচিত অনেক দেবতার উল্লেখ আছে, কিন্তু দােগা বা কালী বা তাঁহার অন্য কোন নামের বিশেষ উল্লেখ নাই। ঋগ্বেদ সংহিতার দশম মণডলের অস্টিমাস্টকে “রাত্রি পরিশিলেন্ট” একটি দাগ-স্তব আছে Yaa