পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৯১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बध्दका ब्रष्नाबव्ी কালী, করালী, মনোজবা, সলোহিতা, সাধমবণা, সফলিঙ্গিনী, এবং বিশ্বর্যপী এই সাতটি অগ্নির জিহবা । ইহা ভিন্ন বেদে আর কোথাও দােগা, কালী, উমা, অম্বিকা প্রভৃতি কোন নামে এই দেবীর কোন উল্লেখ নাই। তৈত্তিরীয় আরণ্যকে দগাগায়ত্ৰী আছে। তাহা এই— কাত্যয়নায় বিদ্মহে কন্যাকুমারী, ধীমহি। তলো দাগীঃ প্ৰচোদয়াৎ। পাঠক দেখিবেন, সন্ত্রীলিঙ্গান্ত দােগা শব্দের পরিবত্তে পংলিঙ্গান্ত দাগী শব্দ ব্যবহৃত হইয়াছে। ইহার জন্য সায়নাচায্য লিখিয়াছেন, “লিঙ্গাদিব্যত্যযঃ সৰ্ব্ববত্ৰ ছান্দসো দুষ্টব্য।” তিনি কাত্যয়ন শব্দের এই ব্যাখ্যা করেন, “কৃতিং বস্তে ইতি কত্যো রদ্রঃ । সি এবায়নং যস্য সা কাত্যায়নী। অথবা কতস্য ঋষিবিশেষস্য অপত্যং কাত্যঃ " কন্যাকুমারীর এই রােপ ব্যাখ্যা করেন, “কুৎসিতং অনিস্টং মায়রতি ইতি কুমারী, কন্যা দীপ্যমানা চাসোঁ কুমারী চ কন্যাকুমারী।” এতদ্ভিন্ন ঋগ্ৰেবদান্তগত রাত্রিপরিশিষ্ট হইতে যে দাগাস্তব উদ্ধত হইযাছে, তাহার ১২ সংখ্যক শ্লোক। ঐ তৈত্তিরীয। আরণ্যকের দ্বিতীয় অনবোকে অগ্নিস্তবে আছে। তাহাতে দাগার উল্লেখ আছে, দেখা গিয়াছে। কৈবল্যোপনিষদে “উমা সহায়ম" বলিয়া মহাদেবের উল্লেখ আছে। কৈবল্যোপনিষদ অপেক্ষাকৃত আধনিক। ঐস্থলে আশ্বলায়ন বক্তা। ওয়েবর বলেন, তৈত্তিরীয় আরণ্যকের অন্টাদশ অনাবাকে “উমাপতিয়ে” শব্দ আছে -কিন্তু ঐ বচন আমরা দেখি নাই। উপনিষদে বা আরণ্যকে আর কোথাও দরগাের উল্লেখ পাওয়া যায় না। এক্ষণে জিজ্ঞাস্য, আমাদিগের পজিত দােগা কি রাত্রি, না মহাদেবের ভগিনী, না ব্রহ্মবিদ্যা, না। অগ্নিজিহবা ?*—“বঙ্গদশন’, জ্যৈষ্ঠ ১২৮ o, প, ৪৯-৫৩ ৷৷ জন আটয়ার্ট মিল মিলের মাতু্য হইযাছে! আমরা কখন তাঁহাকে চক্ষে দেখি নাই; তিনিও কখন বঙ্গদর্শনের পরিচয় গ্রহণ করেন নাই। তথাপি আমাদিগের মনে হইতেছে যেন আমাদিগের কোন পরম আত্মীয়ের সহিত চিরবিচ্ছেদ হইয়াছে ! ২৭। বৈশাখ তারিখের টেলিগ্রাম ২৮ তারিখে প্রকাশ হয যে মিল সঙ্কটাপন্নরপে পীড়িত। পরদিন প্রাতে মিলের কুশল জানিবার জন্য সাতিশয় আগ্রহচিত্তে সম্পবাদপত্র খলিলাম, দেখিলান ষে, চিকিৎসকেরা মিলের জীবনের আশা পরিত্যাগ করিয়াছেন। সেই দিবস অপরাহ্রে সম্পবাদ আইসে যে মিল নাই! ” ছয় হাজার মাইল দরে থাকিয়া আমরা এই শোক পাইয়াছি, না জানি ইংলন্ডবাসীরা কতই দঃখ করিতেছেন!! কিন্তু কেনই দঃখ করি তাহা বলা যায় না! যে মহোদয় আপন বদ্ধিবলে প্রায় সমস্ত মানব জাতিকে ঋণী করিয়াছেন, যিনি যাবতজীবন ঋণ প্রদানে নিযক্ত ছিলেন এবং যিনি এতাদশ কীৰ্ত্তি রাখিয়া গিয়াছেন যে, যে কেহ হউক যত্নসহকারে আবেদন করিলেই তাঁহার বদন্যতার ফলভোগী হইতে পরিবে, এরাপ মহাপরিষ এত কাল পরে বিশ্রাম লাভ করিয়াছেন বলিয়া কেনই এত কাতর হই ? তথাচ মাতৃশোক দরি হইবার নহে, “মিল নাই” এই কথা মনে করিলে চিত্ত সর্বভাবতঃই ব্যথিত হয়। মিল অতি সক্ষম্বদ্ধিসম্পন্ন নৈয়ায়িক ছিলেন। তাঁহার কৃত ইংরাজি ন্যায়শাস্ত্র এবং অর্থব্যবহারশাস্ত্র তাঁহার প্রধান কীৰ্ত্তি। ইহাতে তিনি যে কোন নতেন। কথার উদ্ভাবন করিযাছেন তাহা নহে। কিন্তু এতৎসংক্রান্ত সমদায় কথা এমন সশঙ্খিল করিয়া লিখিয়াছেন এবং প্রত্যেক বিষয় এত পরিস্কার করিয়া বঝাইয়াছেন যে, তাঁহার গ্রন্থ পাঠ না করিলে কাহারই উক্তশাস্ত্ৰ অধ্যয়ন সম্পণ্য হইবেক না।

  • এই প্রবন্ধে যাহা কিছ বেদ হইতে উদ্ধত হইয়াছে তাহা ডাক্তার জন মিয়োরের সংগ্ৰহ (Sanskrit Texts) হইতে নীতি। সেই সংগ্রহই প্রবন্ধের অবলম্বন।

ከቃbታ0