পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৯৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बष्किअ झफ़नाक्छौं লিপিশক্তি, বিদ্যাবত্তা, উৎসাহ, এবং শ্রমশীলতাই বঙ্গদর্শনের উন্নতির মািল কারণ। ঈদশ ব্যক্তিগণের সহায়তা লাভ করিয়াছিলাম, ইহা আমার অগপ গ্রাঘার বিষয় নহে। আর একজন আমার সহায় ছিলেন--সাহিত্যে আমার সহায়, সংসারে আমার সখ দঃখের ভাগী-তাঁহার নাম উল্লেখ করিব মনে করিয়াও উল্লেখ করিতে পারিতেছি না। এই বঙ্গদর্শনের ঃক্ৰম অধিক হইতে না হইতেই দীনবন্ধ আমাকে পরিত্যাগ করিয়া গিয়াছিলেন। তাঁহার জন্য তখন বঙ্গসমাজ রোদন করিতেছিল, কিন্তু এই বঙ্গদর্শনে আমি তাঁহার নামোল্লেখও করি নাই। কেন, তাহা কেহ বঝে না। আমার যে দঃখ কে তাহার ভাগী হইবে ? কাহার কাছে দীনবন্ধর জন্য কাঁদিলে প্ৰাণ জড়াইবে ? অন্যের কাছে দীনবন্ধ সলেখক-আমার কাছে প্রাণত্তুল্য বন্ধআমার সঙ্গে সে শোকে পাঠকের সহ দয়তা হইতে পারে না বলিয়া, তখনও কিছ বলি নাই এখনও আর কিছল বলিলাম না। তৃতীয়, যে সকল সহযোগিবগ বঙ্গদর্শনকে উৎসাহিত করিয়াছিলেন তাঁহাদিগকে আমার শত শত ধন্যবাদ। ইহাতেও আমার একটি সাপদ্ধার কথা আছে। উচ্চশ্রেণীর দেশী সম্পবাদপত্র মাত্ৰই বঙ্গদর্শনের অনকােল ছিলেন, অধিকতর সপদ্ধার কথা এই যে, নিম্নশ্রেণীর সম্পবাদপত্র মাত্রেই ইহার প্রতিকলতা করিয়াছিলেন। ইংরেজেরা বাঙ্গালা সাময়িক পত্রের বড় খবর রাখেন না; কিন্তু এক্ষণে গতাস, ইন্ডিয়ান অবজবর বঙ্গদর্শনের বিশেষ সহায়তা করিতেন। আমি ইন্ডিয়ান অবজািবর ও ইন্ডিয়ান মিররের নিকঢ় যেরপে উৎসাহ প্রাপ্ত হইয়াছিলাম, এরপ আর কোন ইংরেজি পত্রের নিকট প্রাপ্ত হই নাই। অবজবর এক্ষণে গত হইয়াছেন, কিন্তু সৌভাগ্যবশতঃ মিরর অদ্যাপি উন্নত ভাবে দেশের মঙ্গল সাধন করিতেছেন। এবং ঈশ্বরেছায্য বহকাল। তদুপ মঙ্গল সাধন করিবেন : তাঁহাকে আমার শত সহস্র ধন্যবাদ। বঙ্গদর্শনের সহিত অনেক গারতের বিষয়ে তাঁহার মতভেদ খাকাতেও তিনি যে এইরাপ সহৃদয়তা প্রকাশপর্বক বল প্রদান করিতেন ইহা তাঁহার উদারতার সামান্য পরিচয় নহে। সহৃদয়তা, এবং বল, আমি কেবল অবজােবর ও মিররের কাছে প্রাপ্ত হইয়াছ। এমত নহে। দেশী সম্পবাদপত্রের অগ্রগণ্য হিন্দ পেট্রিয়ট এবং স্থিরবদ্ধি ও দেশবংসলী সহচরের দ্বারা আমি তদ্ৰপ উপকৃত, এবং তাঁহাদের কাছে আমি সেইরূপ কৃতজ্ঞ। নিরপেক্ষ সদ্বিদ্বান এবং যথার্থবাদী ভারতসংস্কারক, বিজ্ঞ এডুকেশন গেজেট ও তেজস্বিনী, তীক্ষদস্টিশালিনী সাধারণী এবং সত্যাপ্রিয় সাপ্তাহিক সমাচার প্রভৃতি পত্রকে বহবিধ আনকল্যের জন্য, আমি শত শত ধন্যবাদ করি। চারি বৎসর হইল বঙ্গদর্শনের পত্ৰসচনায় বঙ্গদর্শনকে কালস্রোতে জলবদ্বদ বলিয়াছিলাম। আজি সেই জলবদ্বদ জলে মিশাইল—“বঙ্গদশন’, চৈত্র ১২৮২, প. ৫৭৪-৭৬ ৷৷ বঙ্গদশন যখন বঙ্গদর্শনের চতুর্থ খণড সমাপ্ত করিয়া আমি পাঠকদিগের নিকট বিদায় গ্রহণ করি, তখন স্বীকার করিয়াছিলাম যে, প্রয়োজন দেখিলে সম্ভবতঃ হউক অন্যতঃ হউক বঙ্গদশনা পািনজীবিত করিব। বঙ্গদর্শনের লোপ জন্য আমি অনেকের কাছে তিরস্কৃত হইয়াছি। সেই তিরস্কারের প্রাচুৰ্য্যে আমার এমত প্রতীতি জন্মিয়াছে যে, বঙ্গদর্শনে দেশের প্রয়োজন আছে। প্রয়োজন আছে বলিয়া, ইহা পািনজীবিত হইল। যাহা এক জনের উপর নিভাির করে, তাহার স্থায়িত্ব অনিশ্চিত। বঙ্গদশন যত দিন আমার ইচ্ছা, প্রবত্তি, সংবাস্থ্য বা জীবনের উপর নির্ভর করিবে তত দিন বঙ্গদর্শনের স্থায়িত্ব অসম্ভব। g丐可 বঙ্গদর্শনের সম্পাদকীয় কাৰ্য্য পরিত্যাগ করিলাম। বঙ্গদর্শনের স্থায়িত্ব বিধান করাই আমার উদ্দেশ্য। যাঁহার হন্তে বঙ্গদর্শন সমপণ করিলাম তাঁহার দ্বারা ইহা পৰিবাপেক্ষা শ্ৰীবদ্ধি লাভ করিবে, ইহা আমার সম্পণে ভরসা আছে। তাঁহার সম্প্রকল্প সকল আমি অবগত আছি। তিনি নিজের উপর নির্ভর ঘাত করন বা না করন দেশীয় সলেখক মাত্রেরই উপর অধিকতর নিভাির করবেন। Sc.